এই গ্রীষ্মেই কিলিয়ান এমবাপ্পেকে ছেড়ে দিতে প্রস্তুত ছিল প্যারিস সেইন্ট-জার্মেই (পিএসজি)। তবে তার নামের পাশে লাগিয়ে দেয়া হয় রেকর্ড ২১৩ মিলিয়ন পাউন্ডের প্রাইজ ট্যাগ। মৌসুমের প্রথম ম্যাচটি সাইডলাইনে বসে কাটানোর পর গত শনিবার টুলুসের বিপক্ষে পিএসজির মূল দলে ফিরেই গোল করেছেন এমবাপ্পে। ওই ঘটনায় ক্লাবটিতেই নিজের ভবিষ্যৎ এগিয়ে নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ফরাসি স্ট্রাইকার। তবে তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন গুঞ্জন। এই গ্রীষ্ম থেকে রিয়াল মাদ্রিদ এমবাপ্পের সার্ভিস নেয়ার জন্য নতুন একটি প্রস্তাবনা তৈরী করেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। শেষ চেষ্টা হিসেবে ২৪ বছর বয়সী ফরাসি আন্তর্জাতিক তারকার জন্য স্প্যানিশ জায়ান্টরা ১০৩ মিলিয়ন পাউন্ডের নতুন প্রস্তাবনা প্রস্তুত করছে বলে জানিয়েছে তারা।
স্প্যানিশ আউটলেট এএস এর রিপোর্টে বলা হয়েছে ১২ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে বর্তমান চুক্তি শেষ হতে যাওয়া প্যারিসের ক্লাবটি আশা করছে এমবাপ্পের সঙ্গে নতুন একটি চুক্তি সম্পাদন করতে পারবে। তারপরও লা লিগার ক্লাবটি উপযুক্ত মূল্য দিলে তাকে ছেড়ে দিতে প্রস্তুত পিএসজি।
এই তিন পক্ষের মধ্যে চলমান দীর্ঘ নাটকে এটি সর্বশেষ সংযোজন। শেষ পর্যন্ত এমবাপ্পে ১৪ বারের ইউরোপীয় খেতাবধারীদের শিবিরেই যুক্ত হবেন বলে অনেকের প্রত্যাশা সত্বেও তার বর্তমান মালিকপক্ষ তাদের ধারনার চেয়ে বেশী দাবী করে বসে আছেন।
আগামী বছর বিনা ট্রান্সফার ফিতে এমবাপ্পের বাল্যকালের ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্তের পরও পিএসজি তাদের ক্রোধের বহি:প্রকাশ ঘটিয়ে অনুশীলনের জন্য তাকে ‘বি’ দলে পাঠিয়ে দিয়েছিল। নতুন কোচ লুইস এনরিখের দায়িত্ব গ্রহনের পর গত শনিবার এই তারকাকে মুল দলে ফিরিয়ে আনা হয়।
উল্লেখ্য পরপর দুই ড্র নিয়ে লিগ ওয়ানের নতুন মিশন শুরু করেছে পিএসজি। আগামী শনিবার লেন্সের বিপক্ষে ম্যাচেও এমবাপ্পেকে মূল একাদশে রাখা হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
চলতি জুনে এমবাপ্পের দলবদল নিয়ে নাটকের শুরু। আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি পিএসজি ছাড়ার কয়েকদিন পরেই এমবাপ্পে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন, পিএসজির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করছেন না তিনি। তার এই ঘোষণার পর নড়েচড়ে বসে লিগ ওয়ানের চ্যাম্পিয়নরা। এমবাপ্পের সঙ্গে আগামী বছর জুনে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে পিএসজির, তখন ইচ্ছা করলেই বিনামূল্যেই পিএসজি ছাড়তে পারবেন তিনি। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী এমবাপ্পে চাইলে পিএসজির সঙ্গে চুক্তি এক বছরের জন্য নবায়ন করতে পারবেন। তবে চুক্তি নবায়ন করা বা না করার এই সিদ্ধান্ত ২০২৩ এর জুনের মধ্যেই জানানোর বাধ্যবাধকতা ছিল। ওই সময়ের মধ্যে এমবাপ্পে চুক্তি নবায়ন করতে রাজি না হওয়ায় তাকে বিক্রির জন্য মাঠে নামে পিএসজি। দলের সেরা তারকাকে বিনামূল্যে ছেড়ে দিতে রাজি নয় লিগ ওয়ানের ক্লাবটি। কিন্তু এমবাপ্পেও মেয়াদ শেষ করার আগে পিএসজি ছাড়তে রাজি নন। কারণ চুক্তির শর্ত অনুযায়ী এই মৌসুমের শেষ পর্যন্ত পিএসজিতে কাটালে আনুগত্য বোনাসের পুরাটাই পাবেন তিনি। এরপর তিনি নাম লেখাতে চান লা লিগার সফলতম দল রিয়াল মাদ্রিদে।
গত মৌসুমে এমবাপ্পের কাছে ধোঁকা খাওয়া রিয়ালও আগামী মৌসুমে তাকে বিনামূল্যে দলে ভেড়ানোর জন্য অপেক্ষা করছিল। তাই এমবাপ্পের জন্য কোন প্রস্তাব দেয়নি লা লিগার ক্লাবটি। এমবাপ্পে চুক্তি নবায়ন না করার বিষয়টি জানানোর পর তাকে ছাড়াই এশিয়ায় প্রাক-মৌসুম সফর সেরে আসে পিএসজি। সে সময়েই সৌদি ক্লাব আল-হিলাল এমবাপ্পেকে দলে ভেড়াতে পিএসজির কাছে প্রস্তাবাব নিয়ে আসে। কিন্তু আল-হিলালে যোগ দেওয়া তো দূরের কথা, ক্লাবটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতেও রাজি হননি এমবাপ্পে।
এই ঘটনার পরেই এমবাপ্পের বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয় পিএসজি। এই সুপারস্টারকে পাঠিয়ে দেয়া হয় বি টিমের অনুশীলনে। মূল দল থেকে বিশেষ কারণে আলাদা করে ফেলা খেলোয়াড়দের জায়গা দেওয়া হয় সেখানে। সাধারণত এই স্কোয়াডে স্বল্প বেতনের খেলোয়াড়দের রাখা হয়, যারা প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারে না কিংবা যাদের ক্লাব প্রয়োজনীয় খেলোয়াড় বলে মনে করে না।
এই স্কোয়াডে অবশ্য বেশিদিন এমবাপ্পেকে রাখতে পারেনি পিএসজি। লিগের প্রথম ম্যাচেই এমবাপ্পে ও নেইমারকে ছাড়া খেলতে নেমে লরিয়েন্তের সঙ্গে ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে লিগ ওয়ানের চ্যাম্পিয়নরা। বাধ্য হয়ে এমবাপ্পেকে মূল দলে ফিরিয়ে আনে পিএসজি। টুলুসের বিপক্ষে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে গোল করেন তিনি। ওই ম্যাচেও ১-১ গোলে ড্র করে প্যারিস জায়ান্টরা।সূত্র-বাসস
স্প্যানিশ আউটলেট এএস এর রিপোর্টে বলা হয়েছে ১২ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে বর্তমান চুক্তি শেষ হতে যাওয়া প্যারিসের ক্লাবটি আশা করছে এমবাপ্পের সঙ্গে নতুন একটি চুক্তি সম্পাদন করতে পারবে। তারপরও লা লিগার ক্লাবটি উপযুক্ত মূল্য দিলে তাকে ছেড়ে দিতে প্রস্তুত পিএসজি।
এই তিন পক্ষের মধ্যে চলমান দীর্ঘ নাটকে এটি সর্বশেষ সংযোজন। শেষ পর্যন্ত এমবাপ্পে ১৪ বারের ইউরোপীয় খেতাবধারীদের শিবিরেই যুক্ত হবেন বলে অনেকের প্রত্যাশা সত্বেও তার বর্তমান মালিকপক্ষ তাদের ধারনার চেয়ে বেশী দাবী করে বসে আছেন।
আগামী বছর বিনা ট্রান্সফার ফিতে এমবাপ্পের বাল্যকালের ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্তের পরও পিএসজি তাদের ক্রোধের বহি:প্রকাশ ঘটিয়ে অনুশীলনের জন্য তাকে ‘বি’ দলে পাঠিয়ে দিয়েছিল। নতুন কোচ লুইস এনরিখের দায়িত্ব গ্রহনের পর গত শনিবার এই তারকাকে মুল দলে ফিরিয়ে আনা হয়।
উল্লেখ্য পরপর দুই ড্র নিয়ে লিগ ওয়ানের নতুন মিশন শুরু করেছে পিএসজি। আগামী শনিবার লেন্সের বিপক্ষে ম্যাচেও এমবাপ্পেকে মূল একাদশে রাখা হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
চলতি জুনে এমবাপ্পের দলবদল নিয়ে নাটকের শুরু। আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি পিএসজি ছাড়ার কয়েকদিন পরেই এমবাপ্পে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন, পিএসজির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করছেন না তিনি। তার এই ঘোষণার পর নড়েচড়ে বসে লিগ ওয়ানের চ্যাম্পিয়নরা। এমবাপ্পের সঙ্গে আগামী বছর জুনে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে পিএসজির, তখন ইচ্ছা করলেই বিনামূল্যেই পিএসজি ছাড়তে পারবেন তিনি। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী এমবাপ্পে চাইলে পিএসজির সঙ্গে চুক্তি এক বছরের জন্য নবায়ন করতে পারবেন। তবে চুক্তি নবায়ন করা বা না করার এই সিদ্ধান্ত ২০২৩ এর জুনের মধ্যেই জানানোর বাধ্যবাধকতা ছিল। ওই সময়ের মধ্যে এমবাপ্পে চুক্তি নবায়ন করতে রাজি না হওয়ায় তাকে বিক্রির জন্য মাঠে নামে পিএসজি। দলের সেরা তারকাকে বিনামূল্যে ছেড়ে দিতে রাজি নয় লিগ ওয়ানের ক্লাবটি। কিন্তু এমবাপ্পেও মেয়াদ শেষ করার আগে পিএসজি ছাড়তে রাজি নন। কারণ চুক্তির শর্ত অনুযায়ী এই মৌসুমের শেষ পর্যন্ত পিএসজিতে কাটালে আনুগত্য বোনাসের পুরাটাই পাবেন তিনি। এরপর তিনি নাম লেখাতে চান লা লিগার সফলতম দল রিয়াল মাদ্রিদে।
গত মৌসুমে এমবাপ্পের কাছে ধোঁকা খাওয়া রিয়ালও আগামী মৌসুমে তাকে বিনামূল্যে দলে ভেড়ানোর জন্য অপেক্ষা করছিল। তাই এমবাপ্পের জন্য কোন প্রস্তাব দেয়নি লা লিগার ক্লাবটি। এমবাপ্পে চুক্তি নবায়ন না করার বিষয়টি জানানোর পর তাকে ছাড়াই এশিয়ায় প্রাক-মৌসুম সফর সেরে আসে পিএসজি। সে সময়েই সৌদি ক্লাব আল-হিলাল এমবাপ্পেকে দলে ভেড়াতে পিএসজির কাছে প্রস্তাবাব নিয়ে আসে। কিন্তু আল-হিলালে যোগ দেওয়া তো দূরের কথা, ক্লাবটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতেও রাজি হননি এমবাপ্পে।
এই ঘটনার পরেই এমবাপ্পের বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয় পিএসজি। এই সুপারস্টারকে পাঠিয়ে দেয়া হয় বি টিমের অনুশীলনে। মূল দল থেকে বিশেষ কারণে আলাদা করে ফেলা খেলোয়াড়দের জায়গা দেওয়া হয় সেখানে। সাধারণত এই স্কোয়াডে স্বল্প বেতনের খেলোয়াড়দের রাখা হয়, যারা প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারে না কিংবা যাদের ক্লাব প্রয়োজনীয় খেলোয়াড় বলে মনে করে না।
এই স্কোয়াডে অবশ্য বেশিদিন এমবাপ্পেকে রাখতে পারেনি পিএসজি। লিগের প্রথম ম্যাচেই এমবাপ্পে ও নেইমারকে ছাড়া খেলতে নেমে লরিয়েন্তের সঙ্গে ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে লিগ ওয়ানের চ্যাম্পিয়নরা। বাধ্য হয়ে এমবাপ্পেকে মূল দলে ফিরিয়ে আনে পিএসজি। টুলুসের বিপক্ষে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে গোল করেন তিনি। ওই ম্যাচেও ১-১ গোলে ড্র করে প্যারিস জায়ান্টরা।সূত্র-বাসস