আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার সমুদ্র এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে আঞ্চলিক বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। আজ বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি বলেন, বিদেশিদের উদ্দেশ্যে গণতন্ত্র বা নির্বাচন নয়। তাদের লক্ষ্য উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করা।
আওয়ামী লীগের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের স্বার্থ বিক্রি করে কখনও ক্ষমতায় আসার ইচ্ছা নেই জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিদেশিরা এরশাদ-জিয়া ও খালেদার প্রহসনের নির্বাচন নিয়ে কোনো উদ্বেগ দেখায়নি। নির্বাচন বা গণতন্ত্র নয়; বিদেশিদের উদ্দেশ্যে উন্নয়ন ধ্বংস করা। দক্ষিণ এশিয়ার সমুদ্র এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে তারা আঞ্চলিক বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়।’
এদিকে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন এ ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। শেখ হাসিনা আরও বলেন ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওতপ্রোতভাব জড়িত জিয়াউর রহমান। সেই সাথে বেইমানী করেছে বঙ্গবন্ধুরই কিছু কাছের লোকেরা।
এ সময় ১৫ আগস্টের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের দুঃসহ স্মৃতি স্মরণ করে শেখ হাসিনা জানান, ছোটবোন রেহানাকে নিয়ে কীভাবে তিনি দেশে দেশে শরনার্থীর জীবন কাটিয়েছেন। দেশের মানুষকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করতেন বঙ্গবন্ধু। বাঙালি তাকে হত্যা করতে পারে না এই বিশ্বাসের কি মূল্য তিনি পেয়েছেন ? প্রশ্ন বঙ্গবন্ধু কন্যার।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৫ আগস্ট বাঙালির জাতীয় জীবনে সবচেয়ে একটি কলঙ্কময় অধ্যায়। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছিল এই ১৫ আগস্ট। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করা হয় বাঙালির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। একই সঙ্গে আমার মা, আমার তিন ভাই, কামাল-জামালের বউদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ইতিহাসের এ জঘন্য ঘটনা বাংলার মাটিতে ঘটে যায়। সেই কারবালার ঘটনাকেও যেন হার মানায়। কারবালার ঘটনা শিশু-নারীদের হত্যা করা হয়নি, কিন্তু ১৫ আগস্ট শিশু-নারীদেরও তারা ছাড়েনি। আমি আর আমার ছোট বোন রেহানা মাত্র ১৫ দিন আগে ৩০ জুলাই জার্মানির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে ৩১ জুলাই আমরা সেখানে পৌঁছাই। আমরা ভাবতেও পারিনি আমাদের জীবনে এমন একটা আঘাত অপেক্ষা করছে। ১৩ তারিখে আব্বার সঙ্গে, মায়ের সঙ্গে, সবার সঙ্গে কথা হয়। ১৫ তারিখে এ ঘটনা ঘটার পর যখন আমরা জানতে পারি, তখন সব তথ্য আমরা জানতে পারিনি।’
শেখ হাসিনা বলেন, আমার আপনজন হারিয়েছি, স্বজন হারিয়েছি, বিদেশে রিফিউজি হিসেবে থাকতে হয়েছে। আমরা যারা আপনজন হারিয়েছি, আমারও তো হারিয়েছি, সবচেয়ে বড় প্রশ্ন বাংলাদেশে কী হারিয়েছিল? বাংলাদেশের মানুষ কী হারিয়েছিল?
তিনি বলেন, ‘আমার বাবা সারাটা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন এদেশে মানুষের জন্য। মানুষের কথাই বেশি ভাবতেন। তিনিতো ভালোবেসেছিলেন মানুষকে। এদেশে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করবেন। তাদের সুখী জীবন দেবেন। অন্য, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করে তাদের উন্নত জীবন দেবে। সেটাইতো তার জীবনের একমাত্র সাধন, সংগ্রাম। কাজে তিনি নিজের জীবনকে সেভাবে উৎসর্গ করে গেছেন। বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলেছেন।’
আওয়ামী লীগের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের স্বার্থ বিক্রি করে কখনও ক্ষমতায় আসার ইচ্ছা নেই জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিদেশিরা এরশাদ-জিয়া ও খালেদার প্রহসনের নির্বাচন নিয়ে কোনো উদ্বেগ দেখায়নি। নির্বাচন বা গণতন্ত্র নয়; বিদেশিদের উদ্দেশ্যে উন্নয়ন ধ্বংস করা। দক্ষিণ এশিয়ার সমুদ্র এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে তারা আঞ্চলিক বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়।’
এদিকে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন এ ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। শেখ হাসিনা আরও বলেন ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওতপ্রোতভাব জড়িত জিয়াউর রহমান। সেই সাথে বেইমানী করেছে বঙ্গবন্ধুরই কিছু কাছের লোকেরা।
এ সময় ১৫ আগস্টের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের দুঃসহ স্মৃতি স্মরণ করে শেখ হাসিনা জানান, ছোটবোন রেহানাকে নিয়ে কীভাবে তিনি দেশে দেশে শরনার্থীর জীবন কাটিয়েছেন। দেশের মানুষকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করতেন বঙ্গবন্ধু। বাঙালি তাকে হত্যা করতে পারে না এই বিশ্বাসের কি মূল্য তিনি পেয়েছেন ? প্রশ্ন বঙ্গবন্ধু কন্যার।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৫ আগস্ট বাঙালির জাতীয় জীবনে সবচেয়ে একটি কলঙ্কময় অধ্যায়। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছিল এই ১৫ আগস্ট। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করা হয় বাঙালির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। একই সঙ্গে আমার মা, আমার তিন ভাই, কামাল-জামালের বউদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ইতিহাসের এ জঘন্য ঘটনা বাংলার মাটিতে ঘটে যায়। সেই কারবালার ঘটনাকেও যেন হার মানায়। কারবালার ঘটনা শিশু-নারীদের হত্যা করা হয়নি, কিন্তু ১৫ আগস্ট শিশু-নারীদেরও তারা ছাড়েনি। আমি আর আমার ছোট বোন রেহানা মাত্র ১৫ দিন আগে ৩০ জুলাই জার্মানির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে ৩১ জুলাই আমরা সেখানে পৌঁছাই। আমরা ভাবতেও পারিনি আমাদের জীবনে এমন একটা আঘাত অপেক্ষা করছে। ১৩ তারিখে আব্বার সঙ্গে, মায়ের সঙ্গে, সবার সঙ্গে কথা হয়। ১৫ তারিখে এ ঘটনা ঘটার পর যখন আমরা জানতে পারি, তখন সব তথ্য আমরা জানতে পারিনি।’
শেখ হাসিনা বলেন, আমার আপনজন হারিয়েছি, স্বজন হারিয়েছি, বিদেশে রিফিউজি হিসেবে থাকতে হয়েছে। আমরা যারা আপনজন হারিয়েছি, আমারও তো হারিয়েছি, সবচেয়ে বড় প্রশ্ন বাংলাদেশে কী হারিয়েছিল? বাংলাদেশের মানুষ কী হারিয়েছিল?
তিনি বলেন, ‘আমার বাবা সারাটা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন এদেশে মানুষের জন্য। মানুষের কথাই বেশি ভাবতেন। তিনিতো ভালোবেসেছিলেন মানুষকে। এদেশে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করবেন। তাদের সুখী জীবন দেবেন। অন্য, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করে তাদের উন্নত জীবন দেবে। সেটাইতো তার জীবনের একমাত্র সাধন, সংগ্রাম। কাজে তিনি নিজের জীবনকে সেভাবে উৎসর্গ করে গেছেন। বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলেছেন।’