দেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রিয়াজ চট্টগ্রামের গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় বন্দরনগরীর রাস্তাকে ইউরোপের রাস্তার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন জনপ্রিয় এ অভিনেতা। বিপাকের শুরু মূলত সেখান থেকেই। এরপর প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলেই নেটিজনরা পেয়ে বসেন রিয়াজকে। তাকে নিয়ে মিম বানানো হয়।
এ বছরও সেটির ব্যতিক্রম হলো না। হাতে কাতলা মাছ ধরা একটি ছবি দিয়ে তাকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে ডুবে যাওয়া শহরে। জলাবদ্ধতা পেয়ে বসেছে চট্টগ্রামকে আর নেটাগরিকরা পেয়ে বসেছেন রিয়াজকে! সমাজমাধ্যমে ভেসে বেড়ানো ট্রলগুলো চোখ এড়ায়নি রিয়াজের। এটা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে চট্টগ্রামবাসীদের দুর্ভোগের নিরসন চাই। আমার মনে হয় চট্টগ্রাম নগরীর দায়িত্বে যারা আছেন তাদের বিষয়টি দেখা উচিত। প্রতিবছর শহরের বাসিন্দাদের এমন দুর্ভোগ আমারও কাম্য না। সমস্যাটির সমাধান হলে আমারও ভালো লাগবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামবাসীর দুর্ভোগ শুরু হলেই আমাকে নিয়ে ট্রল শুরু হয়। কিন্তু যারা ট্রল করছেন তারাই দেখবেন, ট্রল শেষে প্লাস্টিকের প্যাকেটটি রাস্তায় ছুড়ে ফেলছেন, পানি কিংবা কোমল পানীয়র বোতল যেখানে সেখানে ফেলছেন। আমাকে কটাক্ষ না করে এই দায়িত্বগুলো যদি তারা সঠিকভাবে পালন করতেন তাহলেও তো এই সমস্যার অনেকটা সমাধান হত।’
রিয়াজ বলেন, ‘আমাকে নিয়ে ট্রল যারা করছেন তাদের আইডিগুলো দেখলে, পোস্টগুলো পড়লেই স্পষ্ট হয়ে যায়— তারা কারা! তারা একটি চক্র। তারা গুজব ছড়ান। সরকারবিরোধী কথা বলেন। উন্নয়ন বিরোধী কথা বলেন। এতে আমি কিছু মনে করি না, আমার কিছু যায় আসে না।’
এই চক্রের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে চান কি না, জানতে চাইলে রিয়াজ বলেন, ‘না। আমি একজন এন্টারটেইনার। আমাকে নিয়ে ট্রল করে কেউ যদি মজা পান, বিনোদিত হন তবে আমি খুশি। তারা যদি আমাকে নিয়ে ট্রল করে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ ভুলে থাকতে পারেন তাহলে আমার কিছু বলার নেই। তবে হ্যাঁ। বিষয়টি আমাকে মাঝে মাঝে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে। চট্টগ্রাম নগর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে যারা আছেন নগর পিতাসহ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
তারা যেন জলাবদ্ধতার নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে বের করে এ সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসেন। তাহলে চট্টগ্রামবাসীর দুর্ভোগ কাটবে। আমার মনে হয় নগরীর পানি নিষ্কাশনের ড্রেনগুলো ব্লক হয়ে এ সমস্যা হচ্ছে। ড্রেনগুলো পরিষ্কার করতে গেলে দেখা যাবে ভেতরে আটকে থাকা পলিথিন, প্লাস্টিকের কারণে এটা হচ্ছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এই পলিথিন কিংবা প্লাস্টিক ফেলছেন কারা? অতএব নিজেদেরও সচেতন হওয়া উচিত।’
এখন সমালোচিত মন্তব্যটি তুলে নিতে চান, জানতে চাইলে দৃঢ়কণ্ঠে রিয়াজ বলেন, ‘না, আমি কখনও আমার মন্তব্য উইথড্র করতে চাই না। বরং আবার মন্তব্যটি করতে চাই। কেননা, আমি একজন ইতিবাচক মানুষ। আমার সামনে একটি গ্লাসে অর্ধেক পানি রাখলে বলব না— গ্লাসটি অর্ধেক খালি। আমি বলব— গ্লাসটি অর্ধেক ভরা। যাতে করে সবার ভেতর ইতিবাচক মনোভাব জাগে।’
এরপর রিয়াজ বলেন, ‘এই জলাবদ্ধতা শুধু আমাদের এখানেই হয় না। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশেও এমনটা দেখা যায়। সামাজিক মাধ্যমে খুঁজলেই চোখে পড়বে। আমার মনে সেখানে বিষয়টি নিরসনে কাজ করা হয়, ট্রল করা হয় না।’
এ বছরও সেটির ব্যতিক্রম হলো না। হাতে কাতলা মাছ ধরা একটি ছবি দিয়ে তাকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে ডুবে যাওয়া শহরে। জলাবদ্ধতা পেয়ে বসেছে চট্টগ্রামকে আর নেটাগরিকরা পেয়ে বসেছেন রিয়াজকে! সমাজমাধ্যমে ভেসে বেড়ানো ট্রলগুলো চোখ এড়ায়নি রিয়াজের। এটা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে চট্টগ্রামবাসীদের দুর্ভোগের নিরসন চাই। আমার মনে হয় চট্টগ্রাম নগরীর দায়িত্বে যারা আছেন তাদের বিষয়টি দেখা উচিত। প্রতিবছর শহরের বাসিন্দাদের এমন দুর্ভোগ আমারও কাম্য না। সমস্যাটির সমাধান হলে আমারও ভালো লাগবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামবাসীর দুর্ভোগ শুরু হলেই আমাকে নিয়ে ট্রল শুরু হয়। কিন্তু যারা ট্রল করছেন তারাই দেখবেন, ট্রল শেষে প্লাস্টিকের প্যাকেটটি রাস্তায় ছুড়ে ফেলছেন, পানি কিংবা কোমল পানীয়র বোতল যেখানে সেখানে ফেলছেন। আমাকে কটাক্ষ না করে এই দায়িত্বগুলো যদি তারা সঠিকভাবে পালন করতেন তাহলেও তো এই সমস্যার অনেকটা সমাধান হত।’
রিয়াজ বলেন, ‘আমাকে নিয়ে ট্রল যারা করছেন তাদের আইডিগুলো দেখলে, পোস্টগুলো পড়লেই স্পষ্ট হয়ে যায়— তারা কারা! তারা একটি চক্র। তারা গুজব ছড়ান। সরকারবিরোধী কথা বলেন। উন্নয়ন বিরোধী কথা বলেন। এতে আমি কিছু মনে করি না, আমার কিছু যায় আসে না।’
এই চক্রের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে চান কি না, জানতে চাইলে রিয়াজ বলেন, ‘না। আমি একজন এন্টারটেইনার। আমাকে নিয়ে ট্রল করে কেউ যদি মজা পান, বিনোদিত হন তবে আমি খুশি। তারা যদি আমাকে নিয়ে ট্রল করে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ ভুলে থাকতে পারেন তাহলে আমার কিছু বলার নেই। তবে হ্যাঁ। বিষয়টি আমাকে মাঝে মাঝে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে। চট্টগ্রাম নগর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে যারা আছেন নগর পিতাসহ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
তারা যেন জলাবদ্ধতার নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে বের করে এ সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসেন। তাহলে চট্টগ্রামবাসীর দুর্ভোগ কাটবে। আমার মনে হয় নগরীর পানি নিষ্কাশনের ড্রেনগুলো ব্লক হয়ে এ সমস্যা হচ্ছে। ড্রেনগুলো পরিষ্কার করতে গেলে দেখা যাবে ভেতরে আটকে থাকা পলিথিন, প্লাস্টিকের কারণে এটা হচ্ছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এই পলিথিন কিংবা প্লাস্টিক ফেলছেন কারা? অতএব নিজেদেরও সচেতন হওয়া উচিত।’
এখন সমালোচিত মন্তব্যটি তুলে নিতে চান, জানতে চাইলে দৃঢ়কণ্ঠে রিয়াজ বলেন, ‘না, আমি কখনও আমার মন্তব্য উইথড্র করতে চাই না। বরং আবার মন্তব্যটি করতে চাই। কেননা, আমি একজন ইতিবাচক মানুষ। আমার সামনে একটি গ্লাসে অর্ধেক পানি রাখলে বলব না— গ্লাসটি অর্ধেক খালি। আমি বলব— গ্লাসটি অর্ধেক ভরা। যাতে করে সবার ভেতর ইতিবাচক মনোভাব জাগে।’
এরপর রিয়াজ বলেন, ‘এই জলাবদ্ধতা শুধু আমাদের এখানেই হয় না। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশেও এমনটা দেখা যায়। সামাজিক মাধ্যমে খুঁজলেই চোখে পড়বে। আমার মনে সেখানে বিষয়টি নিরসনে কাজ করা হয়, ট্রল করা হয় না।’