এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ট্রেন্ডিং বা আলোচনায় রয়েছে যে, ‘নারী কিসে আটকায়’। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তাঁর স্ত্রী সোভি গ্রেগয়ের ট্রুডোর আলাদা থাকার ঘোষণার পরই আলোচনাটির সূত্রপাত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বইতে শুরু করে পোস্টের ঝড়। এর মধ্যে একটি পোস্টে প্রশ্ন ছিল এমন—‘জাস্টিন ট্রুডোর ক্ষমতা, বিল গেটসের টাকা, হাকিমির জনপ্রিয়তা, হুমায়ুন ফরিদীর ভালোবাসা, তাহসানের কণ্ঠ কিংবা হৃত্বিক রোশানের স্মার্টনেস—কোনো কিছুই নারীকে আটকাতে পারে নাই, বলতে পারবেন নারী কিসে আটকায়?’
আর এই বক্তব্যটি নিয়ে আলোচনার গতি বহুলাংশে বেড়েছে। এমন প্রশ্নে মূলত নারীকে ছোট করা হয়। বোঝানো হয় যে, নারী বিনিময়ে বিশ্বাসী। অর্থাৎ এমন কিছুর বিনিময়ে নারীকে আটকানো যায়, যেখানে ভালোবাসাও মূল্যহীন। অথবা, বোঝানো হয় যে নারী স্বেচ্ছাচারী। তার মন কোথায় বসবে সে নিজেও জানে না। হয়ত বাধ্য হয়ে কোথাও গিয়ে থেমে যায়।
এসব প্রশ্ন নারীর জন্য অপমানজনক। একইসঙ্গে পুরুষের জন্যও অপমানজনক। কেননা নারী না থাকলে আমরা পৃথিবীর আলো দেখতাম না। এটি সৃষ্টিকর্তারই এক কুদরত যে, সমাজের ভারসাম্য রক্ষায় ও মানবজাতীর পূর্ণতার জন্য নারীর উপস্থিতি অনিবার্য। তাই নারীকে অপমান করা মানে নিজেরই অপমান। প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহর কাছে সম্প্রতি এক প্রশ্নপর্বে বিষয়টির উত্তর চাওয়া হয়।
তিনি বলেন, কিছুদিন পরপর অহেতুক আলোচনার একেকটা আইটেম বের হয়। ওই আইটেমের ওপর আমরা নানা মত দেই। আমাদের মেধা ও বুদ্ধিকে কাজে লাগাই। যথেষ্ট সময় ব্যয় করি। প্রচুর সময় থাকলে যা হয় আর কি! কেউ বলছে, নারীকে প্রেসিডেন্টও আটকাতে পারে না। আবার কেউ বলছে, অমুক অমুক দিয়ে নারীকে আটকানো যায়। যার যার মতো চিন্তা গবেষণা করে সবাই মতামত দিচ্ছে।
আসলে আমরা এমন একটি সমাজে বসবাস করছি, যেই সমাজের স্রোত হলো আখেরাত পরিপন্থী; ঈমানের বিপরীত। যার কারণে এসব অহেতুক বিষয় নিয়ে মাতামাতি। একজন ঈমানওয়ালার কাছে এসব হাস্যকর মনে হবে। প্রশ্ন যেহেতু করেই ফেলেছেন, উত্তর দিচ্ছি। একজন মুসলমান হিসেবে নারী ও পুরুষ সবারই আটকানোর একটাই জায়গা আছে।
সেটি হলো- আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আদেশ ও নিষেধ। মুসলমান পুরুষ হোক বা নারী, বৃদ্ধ হোক বা যুবক, ধনী হোক বা গরীব—যখন কিছু করতে গিয়ে দেখবে যে, এ বিষয়ে আল্লাহর এই আদেশ আছে বা এই নিষেধ আছে, তখন সে আটকে যাবে। অর্থাৎ আল্লাহর আদেশ-নিষেধের বিরোধী চিন্তা নিয়ে সে অগ্রসর হতে পারবে না। এটা শুধু আটকে যাওয়া নয়, একইসঙ্গে তার চূড়ান্ত সফলতার পথও।
আল্লাহ তাআলা যেহেতু নির্দেশ করেছেন, তুমি তোমার সংসার জীবনে এই এই পদ্ধতি অবলম্বন করো, সবর করো, শোকর করো। সুতরাং এটা তার ঠেকার জায়গা। কেননা নির্দেশটা আল্লাহ তাআলারই। ঠিক একই কথা পুরুষের জন্যও প্রযোজ্য। স্ত্রীর প্রতি অন্যায়, অবিচার করা নিষেধ। তিনি আদেশ করেছেন- স্ত্রীদেরকে ভালোবাসার, তাদের সঙ্গে ভালো আচরণ করার এবং সুন্দরভাবে সংসার জীবন অতিবাহিত করার।
ছোটলোকের মতো আচরণ স্ত্রীদের সাথে করা যাবে না। সুতরাং এসব বিষয়ে পুরুষ আটকে যাবে। মুসলমানদের আটকানোর আর কোনো জায়গা নেই। সেটা পুরুষ হোক বা নারী হোক। এটি আমার দৃষ্টিভঙ্গি। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে পরিপূর্ণভাবে তাঁর কাছে সারেন্ডার করার তাওফিক দান করুন।
আর এই বক্তব্যটি নিয়ে আলোচনার গতি বহুলাংশে বেড়েছে। এমন প্রশ্নে মূলত নারীকে ছোট করা হয়। বোঝানো হয় যে, নারী বিনিময়ে বিশ্বাসী। অর্থাৎ এমন কিছুর বিনিময়ে নারীকে আটকানো যায়, যেখানে ভালোবাসাও মূল্যহীন। অথবা, বোঝানো হয় যে নারী স্বেচ্ছাচারী। তার মন কোথায় বসবে সে নিজেও জানে না। হয়ত বাধ্য হয়ে কোথাও গিয়ে থেমে যায়।
এসব প্রশ্ন নারীর জন্য অপমানজনক। একইসঙ্গে পুরুষের জন্যও অপমানজনক। কেননা নারী না থাকলে আমরা পৃথিবীর আলো দেখতাম না। এটি সৃষ্টিকর্তারই এক কুদরত যে, সমাজের ভারসাম্য রক্ষায় ও মানবজাতীর পূর্ণতার জন্য নারীর উপস্থিতি অনিবার্য। তাই নারীকে অপমান করা মানে নিজেরই অপমান। প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহর কাছে সম্প্রতি এক প্রশ্নপর্বে বিষয়টির উত্তর চাওয়া হয়।
তিনি বলেন, কিছুদিন পরপর অহেতুক আলোচনার একেকটা আইটেম বের হয়। ওই আইটেমের ওপর আমরা নানা মত দেই। আমাদের মেধা ও বুদ্ধিকে কাজে লাগাই। যথেষ্ট সময় ব্যয় করি। প্রচুর সময় থাকলে যা হয় আর কি! কেউ বলছে, নারীকে প্রেসিডেন্টও আটকাতে পারে না। আবার কেউ বলছে, অমুক অমুক দিয়ে নারীকে আটকানো যায়। যার যার মতো চিন্তা গবেষণা করে সবাই মতামত দিচ্ছে।
আসলে আমরা এমন একটি সমাজে বসবাস করছি, যেই সমাজের স্রোত হলো আখেরাত পরিপন্থী; ঈমানের বিপরীত। যার কারণে এসব অহেতুক বিষয় নিয়ে মাতামাতি। একজন ঈমানওয়ালার কাছে এসব হাস্যকর মনে হবে। প্রশ্ন যেহেতু করেই ফেলেছেন, উত্তর দিচ্ছি। একজন মুসলমান হিসেবে নারী ও পুরুষ সবারই আটকানোর একটাই জায়গা আছে।
সেটি হলো- আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আদেশ ও নিষেধ। মুসলমান পুরুষ হোক বা নারী, বৃদ্ধ হোক বা যুবক, ধনী হোক বা গরীব—যখন কিছু করতে গিয়ে দেখবে যে, এ বিষয়ে আল্লাহর এই আদেশ আছে বা এই নিষেধ আছে, তখন সে আটকে যাবে। অর্থাৎ আল্লাহর আদেশ-নিষেধের বিরোধী চিন্তা নিয়ে সে অগ্রসর হতে পারবে না। এটা শুধু আটকে যাওয়া নয়, একইসঙ্গে তার চূড়ান্ত সফলতার পথও।
আল্লাহ তাআলা যেহেতু নির্দেশ করেছেন, তুমি তোমার সংসার জীবনে এই এই পদ্ধতি অবলম্বন করো, সবর করো, শোকর করো। সুতরাং এটা তার ঠেকার জায়গা। কেননা নির্দেশটা আল্লাহ তাআলারই। ঠিক একই কথা পুরুষের জন্যও প্রযোজ্য। স্ত্রীর প্রতি অন্যায়, অবিচার করা নিষেধ। তিনি আদেশ করেছেন- স্ত্রীদেরকে ভালোবাসার, তাদের সঙ্গে ভালো আচরণ করার এবং সুন্দরভাবে সংসার জীবন অতিবাহিত করার।
ছোটলোকের মতো আচরণ স্ত্রীদের সাথে করা যাবে না। সুতরাং এসব বিষয়ে পুরুষ আটকে যাবে। মুসলমানদের আটকানোর আর কোনো জায়গা নেই। সেটা পুরুষ হোক বা নারী হোক। এটি আমার দৃষ্টিভঙ্গি। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে পরিপূর্ণভাবে তাঁর কাছে সারেন্ডার করার তাওফিক দান করুন।