আমিরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ থেকে: ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ভূইয়ার বিরুদ্ধে ইউপি মেম্বার আব্দুর রাজ্জাককে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নে। শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার তামাই গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহত ইউপি সদস্য বর্তমানে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হাসপাতাল থেকে আহত ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের উত্তর বানিয়াগাঁতীতে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি হিসেবে মনোনীত হই। চেয়ারম্যান এ প্রকল্পের সভাপতি না হওয়ায় প্রকল্পের কাজে বাধাগ্রস্ত করতে আমার নিকট থেকে বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দেওয়ার হাত থেকে বাঁচতে আমি সিরাজগঞ্জ দ্রুত বিচার আদালতে গত ৩ আগস্ট একটি মামলা দায়ের করি। আদালতে মামলা করার অপরাধে বিভিন্ন সময়ে চেয়ারম্যান আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
তিনি আরও বলেন, এরই একপর্যায়ে শুক্রবার আমি এক আত্মীয়ের বাড়িতে কুলখানি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে যাই। সেখান থেকে ফিরে আসার সময় চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলামের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ওপর হামলা চালায়। এতে আমি গুরুতর আহত হই।
পরে থানায় গেলে পুলিশের পরামর্শে চিকিৎসার জন্য প্রথমে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাকে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে আমি এখানে চিকিৎসাধীন।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ভূইয়ার মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বেলকুচি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাশার বলেন, ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক রক্তাক্ত অবস্থায় থানায় এসেছিলেন। আমরা তাকে আগে চিকিৎসা নিতে বলেছি। তবে এ বিষয়ে থানায় এখনও কোনও অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাসপাতাল থেকে আহত ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের উত্তর বানিয়াগাঁতীতে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি হিসেবে মনোনীত হই। চেয়ারম্যান এ প্রকল্পের সভাপতি না হওয়ায় প্রকল্পের কাজে বাধাগ্রস্ত করতে আমার নিকট থেকে বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দেওয়ার হাত থেকে বাঁচতে আমি সিরাজগঞ্জ দ্রুত বিচার আদালতে গত ৩ আগস্ট একটি মামলা দায়ের করি। আদালতে মামলা করার অপরাধে বিভিন্ন সময়ে চেয়ারম্যান আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
তিনি আরও বলেন, এরই একপর্যায়ে শুক্রবার আমি এক আত্মীয়ের বাড়িতে কুলখানি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে যাই। সেখান থেকে ফিরে আসার সময় চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলামের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ওপর হামলা চালায়। এতে আমি গুরুতর আহত হই।
পরে থানায় গেলে পুলিশের পরামর্শে চিকিৎসার জন্য প্রথমে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাকে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে আমি এখানে চিকিৎসাধীন।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ভূইয়ার মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বেলকুচি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাশার বলেন, ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক রক্তাক্ত অবস্থায় থানায় এসেছিলেন। আমরা তাকে আগে চিকিৎসা নিতে বলেছি। তবে এ বিষয়ে থানায় এখনও কোনও অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।