আমিরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ থেকে: চারিদিকের নান্দনিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি জলের উপর বিছানো সবুজ পাতা ভেদ করে গোলাপি, সাদা পদ্মফুলে ছেয়ে গেছে সোনাকান্ত বিল। সেই সৌন্দর্যের অভিভূত হয়ে হাজারো শোভা প্রেমী ভাসমান পদ্ম উপভোগ করতে ভিড় করছে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের আমডাঙ্গা গ্রামের সোনাকান্ত বিলটিতে যা এখন ‘পদ্ম ফুলের বিল’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে পর্যটকদের কাছে।
পদ্ম ফুল তুলতে আসা খুকু এবং টুম্পা জানায়, প্রতিদিন পদ্ম গাছের কাঁটার আঘাত সহ্য করে তারা ফুল তোলে। এ সব ফুল বাজারে বিক্রি করে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা আয় করে। শ্রাবণ থেকে ভাদ্র— দুই মাস তারা ফুল তোলে। এতে জমির মালিকেরা বাধা দেয় না।
জানা যায়, উল্লাপাড়া উপজেলার আমডাঙ্গা, সড়াতৈল, অলিপুর ও বাগধা গ্রামের কৃষকেরা এখানে চাষাবাদ করে। প্রায় ৪০ বিঘা জমি নিয়ে সোনাকান্ত বিল। বিলের জমিতে বছরে একবার ধান চাষ হয়। নিচু জমি হওয়ায় বছরের ৬ মাসেরও বেশি সময় এখানে পানি জমে থাকে। এখানে বর্ষাকালে পদ্ম ফুল জন্মে। তখন চারদিকে শুধু পদ্ম আর পদ্ম। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে গোলাপি রঙের পদ্ম দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। প্রতিদিন সোনাকান্ত বিলে পদ্ম ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসে। তারা মোবাইলে ছবি তুলে সৌন্দর্য ফ্রেমবন্দি করে। এলাকার অভাবি পরিবারের ছেলে-মেয়ে এই বিলে নেমে পদ্ম ফুল তুলে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে। প্রতিটি ফুলের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা। এই ফুল অনেকে প্রছন্দ করে এবং কিনে বাড়িতে নিয়ে যায়।
পদ্ম ফুল দেখতে আসা কয়েক জন দর্শনার্থী জানান, এমন পদ্ম সচরাচর দেখা যায় না। আর পুরো বিলজুড়ে গোলাপি পদ্ম দেখা সত্যি আনন্দের। তবে বিলে যাতায়াতের রাস্তা ও নৌকা না থাকায় অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তারা বলেন, এক সময় এই রূপসী বাংলায় অনেক পদ্ম দেখা যেত। কিন্তু বিল, জলাশয় ভরাট করে ফেলার কারণে পদ্ম ফুল বিলুপ্তির পথে।
জেলা জুড়ে পরিচিতি পাওয়া সোনাকান্ত বিলের জমির মালিক উপজেলার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের বাগধা গ্রামের রফিকুল ও আমডাঙ্গা গ্রামের ছাত্তার বলেন, এই বিলে বর্ষা মৌসুমে পদ্ম ফুল ফোটে। এতে বিলের সৌন্দর্য বাড়ে। এলাকার ও দূরের লোকজন প্রতিদিন পদ্ম ফুলের মনোরম দৃশ্য দেখতে বিল পাড়ে আসে। অনেকে পদ্ম ফুল তুলে বাজারেও বিক্রি করে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. শামীমুর ইসলাম বলেন, দুই বছর হলো বর্ষায় উপজেলার সোনাকান্ত বিলে পদ্ম ফুলের দেখা মিলছে। পদ্ম ফুলের ঔষধি গুণাগুণও অনেক। কৃষি জমিতে কীটনাশকের ব্যবহার কমে যাওয়ায় শাপলা ও পদ্মের দেখা মিলছে। কৃষক জমিতে কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে দিলে এই ফুল বিলুপ্তির হাত থেকে ফিরে আসবে বলে তিনি জানান।
সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর মোহাম্মদ ইয়াসিন আলী জানান, পদ্ম ফুলের নানা ঔষধি গুণ রয়েছে। এক সময় দেশে বিলে বিলে অনেক পদ্ম ফুল দেখা যেত। কিন্তু বর্তমানে বিল জলাশয় ভরাটের ফলে এই ফুল বিলুপ্তির পথে। পদ্ম ফুলের বিস্তার ঘটাতে এবং এই ফুলের গুরুত্ব বিবেচনায় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এ বছর উল্লাপাড়ার সোনাকান্ত বিল ছাড়াও বেলকুচি, তাড়াশ ও রায়গঞ্জ উপজেলার কয়েকটি বিলেও পদ্ম ফুল ফুটেছে।
পদ্ম ফুল তুলতে আসা খুকু এবং টুম্পা জানায়, প্রতিদিন পদ্ম গাছের কাঁটার আঘাত সহ্য করে তারা ফুল তোলে। এ সব ফুল বাজারে বিক্রি করে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা আয় করে। শ্রাবণ থেকে ভাদ্র— দুই মাস তারা ফুল তোলে। এতে জমির মালিকেরা বাধা দেয় না।
জানা যায়, উল্লাপাড়া উপজেলার আমডাঙ্গা, সড়াতৈল, অলিপুর ও বাগধা গ্রামের কৃষকেরা এখানে চাষাবাদ করে। প্রায় ৪০ বিঘা জমি নিয়ে সোনাকান্ত বিল। বিলের জমিতে বছরে একবার ধান চাষ হয়। নিচু জমি হওয়ায় বছরের ৬ মাসেরও বেশি সময় এখানে পানি জমে থাকে। এখানে বর্ষাকালে পদ্ম ফুল জন্মে। তখন চারদিকে শুধু পদ্ম আর পদ্ম। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে গোলাপি রঙের পদ্ম দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। প্রতিদিন সোনাকান্ত বিলে পদ্ম ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসে। তারা মোবাইলে ছবি তুলে সৌন্দর্য ফ্রেমবন্দি করে। এলাকার অভাবি পরিবারের ছেলে-মেয়ে এই বিলে নেমে পদ্ম ফুল তুলে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে। প্রতিটি ফুলের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা। এই ফুল অনেকে প্রছন্দ করে এবং কিনে বাড়িতে নিয়ে যায়।
পদ্ম ফুল দেখতে আসা কয়েক জন দর্শনার্থী জানান, এমন পদ্ম সচরাচর দেখা যায় না। আর পুরো বিলজুড়ে গোলাপি পদ্ম দেখা সত্যি আনন্দের। তবে বিলে যাতায়াতের রাস্তা ও নৌকা না থাকায় অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তারা বলেন, এক সময় এই রূপসী বাংলায় অনেক পদ্ম দেখা যেত। কিন্তু বিল, জলাশয় ভরাট করে ফেলার কারণে পদ্ম ফুল বিলুপ্তির পথে।
জেলা জুড়ে পরিচিতি পাওয়া সোনাকান্ত বিলের জমির মালিক উপজেলার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের বাগধা গ্রামের রফিকুল ও আমডাঙ্গা গ্রামের ছাত্তার বলেন, এই বিলে বর্ষা মৌসুমে পদ্ম ফুল ফোটে। এতে বিলের সৌন্দর্য বাড়ে। এলাকার ও দূরের লোকজন প্রতিদিন পদ্ম ফুলের মনোরম দৃশ্য দেখতে বিল পাড়ে আসে। অনেকে পদ্ম ফুল তুলে বাজারেও বিক্রি করে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. শামীমুর ইসলাম বলেন, দুই বছর হলো বর্ষায় উপজেলার সোনাকান্ত বিলে পদ্ম ফুলের দেখা মিলছে। পদ্ম ফুলের ঔষধি গুণাগুণও অনেক। কৃষি জমিতে কীটনাশকের ব্যবহার কমে যাওয়ায় শাপলা ও পদ্মের দেখা মিলছে। কৃষক জমিতে কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে দিলে এই ফুল বিলুপ্তির হাত থেকে ফিরে আসবে বলে তিনি জানান।
সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর মোহাম্মদ ইয়াসিন আলী জানান, পদ্ম ফুলের নানা ঔষধি গুণ রয়েছে। এক সময় দেশে বিলে বিলে অনেক পদ্ম ফুল দেখা যেত। কিন্তু বর্তমানে বিল জলাশয় ভরাটের ফলে এই ফুল বিলুপ্তির পথে। পদ্ম ফুলের বিস্তার ঘটাতে এবং এই ফুলের গুরুত্ব বিবেচনায় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এ বছর উল্লাপাড়ার সোনাকান্ত বিল ছাড়াও বেলকুচি, তাড়াশ ও রায়গঞ্জ উপজেলার কয়েকটি বিলেও পদ্ম ফুল ফুটেছে।