বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনাসহ চার দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি তুলে দেন।
দাবিগুলোর বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্মারকলিপিতে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আত্মস্বীকৃত পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর, তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর এবং বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আমরা বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত, লড়াই-সংগ্রাম আন্দোলনের মাধ্যমে বেড়ে ওঠা গৌরবময় ইতিহাসের ধারক সংগঠন; লাখ লাখ যুবকের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাতিঘর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের পক্ষ থেকে আপনার মাধ্যমে সরকারের কাছে নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাচ্ছি।
১। ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড, অসাংবিধনিক উপায়ে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখতে অবৈধ উপায়ে সামরিক আদালতে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা অফিসার ও সৈনিকদের ফাঁসি দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী খুনি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করছি।
২। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আত্মস্বীকৃত খুনিদের মধ্যে ছয়জনের রায় ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরও পাঁচ আসামি এখনো পলাতক, যাদের দুজন কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত পলাতক খুনিদের অনতিবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকরের জোর দাবি জানাচ্ছি।
৩। ২০০৭ সালে তৎকালীন সরকারের কাছে জীবনে কখনো রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে পালানো তারেক রহমান বিদেশে বসে এখনো দেশের চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে বাংলাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চক্রান্ত করে চলেছে খুনি জিয়াউর রহমানের এই কু-পুত্র। এ ছাড়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের নারকীয় ঘটনা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড, দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানকে অনতিবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকরের জোর দাবি জানাচ্ছি।
৪. স্মারক লিপিতে বলা হয়েছে, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। কানাডার ফেডারেল কোর্ট পর পর ৫ বার বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দপ্তর) মামলায়ও বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। নানা অপতৎপরতার কারণেই আন্তর্জাতিক মহল বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। আজও তারা পূর্বের ন্যায় মানুষ হত্যা করছে, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করছে এবং দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করে চলেছে। অবিলম্বে সন্ত্রাসী সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নিবন্ধন বাতিল এবং রাজনীতি নিষিদ্ধের জোর দাবি জানাচ্ছি।
স্মারকলিপি তুলে দিয়ে যুবলীগ সভাপতি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা দাবিগুলো নিয়ে আইন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নির্বাচন কমিশনে যাব। আমাদের দাবি অত্যন্ত পরিষ্কার। ১৯৭৫ সালে হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড যে জিয়াউর রহমান সেটি জনসাধারণের কাছে পরিষ্কার। তারাই এ হত্যাকাণ্ডের সুবিধাভোগী। তারাই বন্দুকের নল উঁচু করে দল গঠন করেছে। তারা সন্ত্রাসের মাধ্যমে সৃষ্টি হওয়া দল। এ সংগঠন বাংলাদেশের জনগণের ওপর ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে যে নির্যাতন করেছে; একাত্তরের আদলে তারা যেভাবে সন্ত্রাস, নির্যাতন খুন, রাহাজানি করেছে, আমরা নৈতিকভাবে মনে করি বিএনপি-জামায়াতের এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই।
তিনি বলেন, আমরা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার চাই। এটি আজকের যুব সমাজ এবং প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক, উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণের ক্ষেত্রে যারা সংগ্রাম করে যাচ্ছে, সেই নাগরিকদের প্রত্যাশা। এটি না হলে প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হবে না। তাই জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার এখন সময়ের দাবি এবং একটি ন্যায্য দাবি বলে আমরা মনে করি। এ দাবি আজ আমরা উপস্থাপন করার জন্য এসেছি।
তিনি আরও বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তি, সর্বোপরি আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ তার সংগঠনকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার অপপ্রয়াস চালানো হয়েছে। এ বিষয়ে হাইকোর্টের রায় রয়েছে। সেই রায় কার্যকর করার জন্য আমরা চাই, খুনি তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনা হোক।
স্মারকলিপি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা তাদের স্মারকলিপি পেয়েছি। আইন অনুযায়ী যে ব্যবস্থা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে করা দরকার, সেটা আমরা করব। আমরা সব ঘটনা জানি। ইতোমধ্যে তারেক জিয়া ও তার স্ত্রী আদালতের মাধ্যমে দণ্ডিত। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের যা যা করার, আমরা তা করব। আমার মনে হয় সবগুলো যৌক্তিক দাবি। আমরা এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেব।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি তুলে দেন।
দাবিগুলোর বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্মারকলিপিতে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আত্মস্বীকৃত পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর, তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর এবং বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আমরা বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত, লড়াই-সংগ্রাম আন্দোলনের মাধ্যমে বেড়ে ওঠা গৌরবময় ইতিহাসের ধারক সংগঠন; লাখ লাখ যুবকের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাতিঘর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের পক্ষ থেকে আপনার মাধ্যমে সরকারের কাছে নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাচ্ছি।
১। ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড, অসাংবিধনিক উপায়ে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখতে অবৈধ উপায়ে সামরিক আদালতে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা অফিসার ও সৈনিকদের ফাঁসি দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী খুনি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করছি।
২। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আত্মস্বীকৃত খুনিদের মধ্যে ছয়জনের রায় ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরও পাঁচ আসামি এখনো পলাতক, যাদের দুজন কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত পলাতক খুনিদের অনতিবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকরের জোর দাবি জানাচ্ছি।
৩। ২০০৭ সালে তৎকালীন সরকারের কাছে জীবনে কখনো রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে পালানো তারেক রহমান বিদেশে বসে এখনো দেশের চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে বাংলাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চক্রান্ত করে চলেছে খুনি জিয়াউর রহমানের এই কু-পুত্র। এ ছাড়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের নারকীয় ঘটনা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড, দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানকে অনতিবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকরের জোর দাবি জানাচ্ছি।
৪. স্মারক লিপিতে বলা হয়েছে, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। কানাডার ফেডারেল কোর্ট পর পর ৫ বার বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দপ্তর) মামলায়ও বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। নানা অপতৎপরতার কারণেই আন্তর্জাতিক মহল বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। আজও তারা পূর্বের ন্যায় মানুষ হত্যা করছে, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করছে এবং দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করে চলেছে। অবিলম্বে সন্ত্রাসী সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নিবন্ধন বাতিল এবং রাজনীতি নিষিদ্ধের জোর দাবি জানাচ্ছি।
স্মারকলিপি তুলে দিয়ে যুবলীগ সভাপতি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা দাবিগুলো নিয়ে আইন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নির্বাচন কমিশনে যাব। আমাদের দাবি অত্যন্ত পরিষ্কার। ১৯৭৫ সালে হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড যে জিয়াউর রহমান সেটি জনসাধারণের কাছে পরিষ্কার। তারাই এ হত্যাকাণ্ডের সুবিধাভোগী। তারাই বন্দুকের নল উঁচু করে দল গঠন করেছে। তারা সন্ত্রাসের মাধ্যমে সৃষ্টি হওয়া দল। এ সংগঠন বাংলাদেশের জনগণের ওপর ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে যে নির্যাতন করেছে; একাত্তরের আদলে তারা যেভাবে সন্ত্রাস, নির্যাতন খুন, রাহাজানি করেছে, আমরা নৈতিকভাবে মনে করি বিএনপি-জামায়াতের এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই।
তিনি বলেন, আমরা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার চাই। এটি আজকের যুব সমাজ এবং প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক, উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণের ক্ষেত্রে যারা সংগ্রাম করে যাচ্ছে, সেই নাগরিকদের প্রত্যাশা। এটি না হলে প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হবে না। তাই জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার এখন সময়ের দাবি এবং একটি ন্যায্য দাবি বলে আমরা মনে করি। এ দাবি আজ আমরা উপস্থাপন করার জন্য এসেছি।
তিনি আরও বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তি, সর্বোপরি আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ তার সংগঠনকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার অপপ্রয়াস চালানো হয়েছে। এ বিষয়ে হাইকোর্টের রায় রয়েছে। সেই রায় কার্যকর করার জন্য আমরা চাই, খুনি তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনা হোক।
স্মারকলিপি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা তাদের স্মারকলিপি পেয়েছি। আইন অনুযায়ী যে ব্যবস্থা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে করা দরকার, সেটা আমরা করব। আমরা সব ঘটনা জানি। ইতোমধ্যে তারেক জিয়া ও তার স্ত্রী আদালতের মাধ্যমে দণ্ডিত। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের যা যা করার, আমরা তা করব। আমার মনে হয় সবগুলো যৌক্তিক দাবি। আমরা এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেব।