আমিরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ থেকে: গরুর লাম্পি স্কিন রোগ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলাতে। এই ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বিগত ১ মাসে প্রায় অর্ধ শতাধিক গরু মারা গেছে বলে জানিয়েছেন গেরস্ত লোকজন। বিশেষ করে, লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গবাদি পশুর সুস্থ হয়ে ওঠা নিয়ে অধিকাংশ গেরস্ত আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
এদিকে তাড়াশ প্রাণীসম্পদ দপ্তরে চিকিৎসক নেই দীর্ঘ দিন ধরে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে রায়গঞ্জ উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. অলিউল ইসলামকে তাড়াশ উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি সপ্তাহে এক থেকে দুইদিন হাসপাতালে আসেন। ভুক্তভোগী গেরস্তরা সরকারি চিকিৎসাসেবা না পেয়ে বাধ্য হয়ে পল্লী ভেটেনারী চিকিৎসক, ভেটেনারী ওষুধের দোকানদারের পরামর্শে ওষুধ কিনে রোগাক্রান্ত গরুর চিকিৎসা করছেন। এতে গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
প্রাণীসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন, ইউএলএ, ভিএফএ, এফ.এ.(এ.আই), কম্পাউন্ডার, অফিস সহকারী, ড্রেসার ও অফিস সহায়কের পদের আরও ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ শূন্য রয়ে গেছে দীর্ঘ দিন ধরে। এ কারণে চিকিৎসা ব্যবস্থাও একেবারে বন্ধ।
পৌর এলাকার আসানবাড়ী গ্রামের গেরস্ত রেজাউল বলেন, লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ১টি গরু মারা গেছে আমার। সরকারিভাবে কোন চিকিৎসাসেবা পাইনি। এ গ্রামের রফিক নামের আরেক গেরস্ত বলেন, লাম্পি স্কিন রোগে আমারও ১টি গরু মারা গেছে। ২৫ দিন চিকিৎসা করিয়েছি পল্লী পশু চিকিৎসক দিয়ে। এতে আমার বাড়তি টাকা খরচ হয়েছে। লাম্পি স্কিনে আক্রান্ত আমার গোয়ালের ১টি বাছুরের মুর্মূর্ষ অবস্থা এখনো।
অপরদিকে একই গ্রামের আলমাছের স্ত্রী ছাবেদা খাতুন বলেন, অভাব-অনটনের সংসার আমাদের। গোয়ালের দুইটি গরু অর্থ যোগানের অন্যতম ভরসা। ১টি গরুর লাম্পি স্কিন রোগ হয়েছে ১৫ দিন হয়ে গেল। বিগত ৩ দিন ধরে অসুস্থ গরুটি দাঁড়িয়ে আছে। অনেক শুকিয়ে গেছে গরুটি। দুশ্চিন্তায় রাতে ঘুমাইনা আমিও। বারুহাস ইউনিয়নের কাজিপুর গ্রামের খোকা মিয়া ও আব্দুল মজিদ বলেন, আমাদের ১১ টি গরুর লাম্পি স্কিন রোগ হয়েছে।
সরেজমিনে গতকাল রবিবার দেখা গেছে, পৌর এলাকার আসানবাড়ী গ্রামের আলমাছের গরু, আবু ছাইমের গরু ও আব্দুল মালেকসহ আরো অনেক গেরস্তের গরু লাম্পি স্কিন রোগে কাতর হয়ে পড়েছে। এসব গরুর সমস্ত শরীরে গুটি বেড়িয়েছে। কোন কোন গরুর শরীরে ঘা হয়ে গেছে। গেরস্তরা কাপড়ের ন্যাকড়া দিয়ে ঘা বেঁধে রেখেছেন মশা-মাছি পড়ার ভয়ে। জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলার ২৫৬ গ্রামেই লাম্পি স্কিন রোগ অনুরূপ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. অলিউল ইসলাম বলেন, প্রত্যেক সপ্তাহে একদিন হলেও তিনি তাড়াশে অফিস করেন।
এ প্রসঙ্গে রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণীসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মত চিকিৎসক তাড়াশ প্রাণীসম্পদ দপ্তরে নেই। বিসিএস এর নতুন নিয়োগ থেকে জনবল নিয়োগ দেওয়ার জোর সুপারিশ করা হবে।
এদিকে তাড়াশ প্রাণীসম্পদ দপ্তরে চিকিৎসক নেই দীর্ঘ দিন ধরে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে রায়গঞ্জ উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. অলিউল ইসলামকে তাড়াশ উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি সপ্তাহে এক থেকে দুইদিন হাসপাতালে আসেন। ভুক্তভোগী গেরস্তরা সরকারি চিকিৎসাসেবা না পেয়ে বাধ্য হয়ে পল্লী ভেটেনারী চিকিৎসক, ভেটেনারী ওষুধের দোকানদারের পরামর্শে ওষুধ কিনে রোগাক্রান্ত গরুর চিকিৎসা করছেন। এতে গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
প্রাণীসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন, ইউএলএ, ভিএফএ, এফ.এ.(এ.আই), কম্পাউন্ডার, অফিস সহকারী, ড্রেসার ও অফিস সহায়কের পদের আরও ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ শূন্য রয়ে গেছে দীর্ঘ দিন ধরে। এ কারণে চিকিৎসা ব্যবস্থাও একেবারে বন্ধ।
পৌর এলাকার আসানবাড়ী গ্রামের গেরস্ত রেজাউল বলেন, লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ১টি গরু মারা গেছে আমার। সরকারিভাবে কোন চিকিৎসাসেবা পাইনি। এ গ্রামের রফিক নামের আরেক গেরস্ত বলেন, লাম্পি স্কিন রোগে আমারও ১টি গরু মারা গেছে। ২৫ দিন চিকিৎসা করিয়েছি পল্লী পশু চিকিৎসক দিয়ে। এতে আমার বাড়তি টাকা খরচ হয়েছে। লাম্পি স্কিনে আক্রান্ত আমার গোয়ালের ১টি বাছুরের মুর্মূর্ষ অবস্থা এখনো।
অপরদিকে একই গ্রামের আলমাছের স্ত্রী ছাবেদা খাতুন বলেন, অভাব-অনটনের সংসার আমাদের। গোয়ালের দুইটি গরু অর্থ যোগানের অন্যতম ভরসা। ১টি গরুর লাম্পি স্কিন রোগ হয়েছে ১৫ দিন হয়ে গেল। বিগত ৩ দিন ধরে অসুস্থ গরুটি দাঁড়িয়ে আছে। অনেক শুকিয়ে গেছে গরুটি। দুশ্চিন্তায় রাতে ঘুমাইনা আমিও। বারুহাস ইউনিয়নের কাজিপুর গ্রামের খোকা মিয়া ও আব্দুল মজিদ বলেন, আমাদের ১১ টি গরুর লাম্পি স্কিন রোগ হয়েছে।
সরেজমিনে গতকাল রবিবার দেখা গেছে, পৌর এলাকার আসানবাড়ী গ্রামের আলমাছের গরু, আবু ছাইমের গরু ও আব্দুল মালেকসহ আরো অনেক গেরস্তের গরু লাম্পি স্কিন রোগে কাতর হয়ে পড়েছে। এসব গরুর সমস্ত শরীরে গুটি বেড়িয়েছে। কোন কোন গরুর শরীরে ঘা হয়ে গেছে। গেরস্তরা কাপড়ের ন্যাকড়া দিয়ে ঘা বেঁধে রেখেছেন মশা-মাছি পড়ার ভয়ে। জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলার ২৫৬ গ্রামেই লাম্পি স্কিন রোগ অনুরূপ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. অলিউল ইসলাম বলেন, প্রত্যেক সপ্তাহে একদিন হলেও তিনি তাড়াশে অফিস করেন।
এ প্রসঙ্গে রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণীসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মত চিকিৎসক তাড়াশ প্রাণীসম্পদ দপ্তরে নেই। বিসিএস এর নতুন নিয়োগ থেকে জনবল নিয়োগ দেওয়ার জোর সুপারিশ করা হবে।