আমিরুল ইসলাম , সিরাজগঞ্জ থেকে: নদীমাতৃক বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার বুক চিরে বয়ে চলেছে ইছামতি নদী। কালের বিবর্তনে ভরা বর্ষা মৌসুমেও পানির অভাবে ইছামতি নদীর প্রাণ বিলীনের পথে। নাব্যতা সংকট ও পর্যাপ্ত পানির অভাবে নদীর বুকে আবাদ হচ্ছে সবুজ ফসলের। অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে ইছামতি সহ অনেক নদী। এক সময়ের খরস্রোতা এ নদীর বুক জুড়ে দেখা দিয়েছে সবুজ ফসলের মাঠ। বর্ষা মৌসুমেও পানি না থাকায় হুমকির মুখে জীববৈচিত্র।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ইছামতি নদীতে পানি নেই বললেই চলে। নদীর বুকে জেগে উঠেছে চর। সেখানে আমন ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। ধানের পাশাপাশি নদীর বুকে নানা ধরনের ফসলের আবাদ হলেও নদীর তলদেশে পানি না থাকায় নদী পাড়ের মানুষদের অনেকটা আত্মসমর্পণের মত মনে হয়। ইছামতিতে ভরা বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি না থাকায় সেচের ওপর শতভাগ নির্ভর করতে হয় এই এলাকার কৃষকদের। বসন্ত ও গ্রীষ্মকালে এর তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। এলাকার কৃষকদের অভিযোগ, একাধিকবার নদী খননের দাবি জানানো হলেও তেমন কোন সুফল মেলেনি।
উপজেলার জামতৈল গ্রামের কৃষক ফজল প্রাঃ বলেন, ইছামতী নদী পানি সংকটে পড়েছে । এই নদী একসময় ভরা থাকতো। নদী আমাদেরকে শুধু মাছই দেয় না, সারাবছর চাষাবাদের কাজে সেচের পাশাপাশি নদীর পানিও ভূমিকা রাখে। বর্ষার সময় নদীর পানি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় ফসলের জমিতে পলি পরে মাটির উর্বরতা বাড়ায়, এতে ফসলের ফলন বৃদ্ধি হয়। তাই আমরা উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ইছামতি নদী খননের জোর দাবি জানাই।
উপজেলার পাট চাষি সেলিম রেজা বলেন, আমি কয়েক বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছি। গত বছরের তুলনায় এবছর কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে পাট আবাদ করায় ফলনও বেশি হয়েছে। ভাদ্র মাসের শুরুতে পাট কাটার উপযোগী হবে। তবে সমস্যা হচ্ছে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে। এখন বর্ষার ভরা মৌসুমেও নদ-নদীতে পানি নেই, বৃষ্টিপাতও অনেক কম হচ্ছে। যথা সময়ে যদি আবহাওয়া এরকম থাকে তাহলে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।
আলোকদিয়ার গ্রামের কৃষক আবু বক্করসহ কয়েকজন বলেন, ছোট বেলায় ইছামতি নদীতে স্রোতের যে ধারা দেখেছি, সেখানে অনেকেই স্রোতে ভেসে যেত স্রোতের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, নদীতে নামতেই অনেকে ভয় পেয়েছি। বহু দূর দূরান্ত থেকে নৌকায় করে কৃষি পণ্য ক্রয় বিক্রয় করতে কামারখন্দ হাটে নিয়ে আসতো। অথচ সেই নদী আজ মরা গাঙে পরিণত হয়েছে। এর জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা এই ইছামতি নদী খনন করে নাব্যতা দূর করে নদীর স্বাভাবিক জীবন ফেরানোর দাবি জানাই।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিৎ কুমার সরকার জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর খুবই কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। শুধু দেশের অভ্যন্তরেই নয় যমুনা নদীর উজানে অর্থাৎ ভারতেও তুলনামূলক বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। এ কারণে যমুনার পানির স্তর স্বাভাবিকের তুলনায় কম। ফলে সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ফুলজোড়, ইছামতি ও হুড়াসাগর নদীতে পানি অনেক কম রয়েছে। অনেক অংশে পানি নেই বললেই চলে। তিনি আরও জানান, এ তিন নদীর মধ্যে ফুলজোড় নদীর খনন কাজ অব্যাহত আছে। ইছামতি নদীর প্রবেশ-মুখ কাজীপুর উপজেলায় ইতিমধ্যে খনন কাজ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য অংশেও খনন করা হবে। আর হুড়াসাগর নদী খননের ব্যাপারে দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলে হুড়াসাগর নদীও খনন করা হবে। এসব নদীর খনন কাজ শেষ হলে নদীর সেই আগের রুপ ফিরে পাবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ইছামতি নদীতে পানি নেই বললেই চলে। নদীর বুকে জেগে উঠেছে চর। সেখানে আমন ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। ধানের পাশাপাশি নদীর বুকে নানা ধরনের ফসলের আবাদ হলেও নদীর তলদেশে পানি না থাকায় নদী পাড়ের মানুষদের অনেকটা আত্মসমর্পণের মত মনে হয়। ইছামতিতে ভরা বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি না থাকায় সেচের ওপর শতভাগ নির্ভর করতে হয় এই এলাকার কৃষকদের। বসন্ত ও গ্রীষ্মকালে এর তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। এলাকার কৃষকদের অভিযোগ, একাধিকবার নদী খননের দাবি জানানো হলেও তেমন কোন সুফল মেলেনি।
উপজেলার জামতৈল গ্রামের কৃষক ফজল প্রাঃ বলেন, ইছামতী নদী পানি সংকটে পড়েছে । এই নদী একসময় ভরা থাকতো। নদী আমাদেরকে শুধু মাছই দেয় না, সারাবছর চাষাবাদের কাজে সেচের পাশাপাশি নদীর পানিও ভূমিকা রাখে। বর্ষার সময় নদীর পানি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় ফসলের জমিতে পলি পরে মাটির উর্বরতা বাড়ায়, এতে ফসলের ফলন বৃদ্ধি হয়। তাই আমরা উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ইছামতি নদী খননের জোর দাবি জানাই।
উপজেলার পাট চাষি সেলিম রেজা বলেন, আমি কয়েক বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছি। গত বছরের তুলনায় এবছর কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে পাট আবাদ করায় ফলনও বেশি হয়েছে। ভাদ্র মাসের শুরুতে পাট কাটার উপযোগী হবে। তবে সমস্যা হচ্ছে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে। এখন বর্ষার ভরা মৌসুমেও নদ-নদীতে পানি নেই, বৃষ্টিপাতও অনেক কম হচ্ছে। যথা সময়ে যদি আবহাওয়া এরকম থাকে তাহলে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।
আলোকদিয়ার গ্রামের কৃষক আবু বক্করসহ কয়েকজন বলেন, ছোট বেলায় ইছামতি নদীতে স্রোতের যে ধারা দেখেছি, সেখানে অনেকেই স্রোতে ভেসে যেত স্রোতের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, নদীতে নামতেই অনেকে ভয় পেয়েছি। বহু দূর দূরান্ত থেকে নৌকায় করে কৃষি পণ্য ক্রয় বিক্রয় করতে কামারখন্দ হাটে নিয়ে আসতো। অথচ সেই নদী আজ মরা গাঙে পরিণত হয়েছে। এর জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা এই ইছামতি নদী খনন করে নাব্যতা দূর করে নদীর স্বাভাবিক জীবন ফেরানোর দাবি জানাই।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিৎ কুমার সরকার জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর খুবই কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। শুধু দেশের অভ্যন্তরেই নয় যমুনা নদীর উজানে অর্থাৎ ভারতেও তুলনামূলক বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। এ কারণে যমুনার পানির স্তর স্বাভাবিকের তুলনায় কম। ফলে সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ফুলজোড়, ইছামতি ও হুড়াসাগর নদীতে পানি অনেক কম রয়েছে। অনেক অংশে পানি নেই বললেই চলে। তিনি আরও জানান, এ তিন নদীর মধ্যে ফুলজোড় নদীর খনন কাজ অব্যাহত আছে। ইছামতি নদীর প্রবেশ-মুখ কাজীপুর উপজেলায় ইতিমধ্যে খনন কাজ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য অংশেও খনন করা হবে। আর হুড়াসাগর নদী খননের ব্যাপারে দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলে হুড়াসাগর নদীও খনন করা হবে। এসব নদীর খনন কাজ শেষ হলে নদীর সেই আগের রুপ ফিরে পাবে।