ঢাকাই সিনেমার দুই যুগের দাপুটে অভিনেতা এস এম আসলাম তালুকদার মান্না চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। মান্নার মৃত্যুতে চিকিৎসার অবহেলার অভিযোগ এনে ২০০৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের ছয় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করে মান্নার পরিবার। বর্তমানে উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। ফলে মান্নার মৃত্যুর ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও নিষ্পত্তি হয়নি মামলাটি।
আজ রবিবার ৬ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টে সংবাদ সম্মেলন মান্নার স্ত্রী শেলী বলেন, ‘২০০৮ সালে মান্না আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, সেই ২০০৮ সালে আমরা একটা মামলা করেছিলাম হাসপাতালের বিরুদ্ধে। মামলাটি হলো অবহেলা জনিত। সেই সময় মামলাটি একটা মিডিয়া ট্রায়াল হয়েছিল। সবার মধ্যে একটা প্রত্যাশা ছিল মামলটি বিষয়ে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে, কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেছে আমরা তার পরিবার কোনো রেজাল্ট পাচ্ছি না। আমরা পরিবার চাই মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি হোক।’
এদিকে পুলিশের তদন্তেও চিকিৎসকদের অবহেলায় মৃত্যুর বিষয়ে প্রমাণ মিলে। কিন্তু আদালত আসামিদের বিচার শুরু করলেও পাল্টে যায় দৃশ্যপট। আসামিরা বেরিয়ে যান জামিনে। যে চিকিৎসকদের অবহেলায় চিত্রনায়ক মান্নার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হয় তারা হলেন- ডা. এনায়েত হোসেন শেখ, ডা. জহির উদ্দিন মাহমুদ ইলিয়াস, ডা. মোমেনুজ্জামান, ডা. খন্দকার মাহবুব সোহাইল, ডা. ফাতেমা ও ডা. মাইনুল ইসলাম মজুমদার।
এদিকে বাদী পক্ষের আইনজীবীর দাবি, ডিসেম্বরে মামলার চূড়ান্ত রায় আসার ব্যাপারে আশাবাদী তারা। গত ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয় নায়ক মান্নার। বুকে ব্যথা নিয়ে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। মান্নার মৃত্যুতে কয়েকজন চিকিৎসকের অবহেলার অভিযোগ এনে ২০০৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার আদালতে একটি মামলা করেন তার স্ত্রী শেলী কাদেরের ভাই রেজা কাদের।
মামলার আর্জিতে বলা হয়, বুকে ব্যথা অনুভব করায় ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ভোর চারটায় মান্না হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু চিকিৎসকরা হাসপাতালে আসেন সকাল ৯টায়। চিকিৎসা দেরিতে শুরু হওয়ায় ‘অ্যাকিউট মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশনে’ আক্রান্ত হন তিনি। এই রোগের ক্ষেত্রে আক্রান্ত হওয়ার ৯০ মিনিটের মধ্যে রোগীকে নির্দিষ্ট ইনজেকশন দিতে হয়। কিন্তু মান্নাকে ইনজেকশন দেওয়া হয় আক্রান্ত হওয়ার ৫ ঘণ্টা পর। হৃদরোগ বিভাগের ওই ৬ চিকিৎসকদের এমন অবহেলায় মান্নার মৃত্যু হয়।
ওই বছর ১৩ নভেম্বর তৎকালীন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান সিদ্দিক বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে ৬ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তাই ২০০৯ সালের ২৮ জানুয়ারি আদালত ছয় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তাদের আট সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন। ওই বছরের ১৬ মার্চ চিকিৎসকরা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত ৫০ হাজার টাকা বন্ডে তাদের জামিন দেন।
এরপর ২০০৯ সালের ১৮ অক্টোবর ওই ছয় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক ফিরোজ আলম। এরপর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন রাখা হলেও অভিযোগ গঠনের বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টে যায় আসামিপক্ষ। হাইকোর্ট ওই বছরই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। পরবর্তীতে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ায় দীর্ঘ ১৪ বছরেও এই মামলায় কোনো সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
আজ রবিবার ৬ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টে সংবাদ সম্মেলন মান্নার স্ত্রী শেলী বলেন, ‘২০০৮ সালে মান্না আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, সেই ২০০৮ সালে আমরা একটা মামলা করেছিলাম হাসপাতালের বিরুদ্ধে। মামলাটি হলো অবহেলা জনিত। সেই সময় মামলাটি একটা মিডিয়া ট্রায়াল হয়েছিল। সবার মধ্যে একটা প্রত্যাশা ছিল মামলটি বিষয়ে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে, কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেছে আমরা তার পরিবার কোনো রেজাল্ট পাচ্ছি না। আমরা পরিবার চাই মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি হোক।’
এদিকে পুলিশের তদন্তেও চিকিৎসকদের অবহেলায় মৃত্যুর বিষয়ে প্রমাণ মিলে। কিন্তু আদালত আসামিদের বিচার শুরু করলেও পাল্টে যায় দৃশ্যপট। আসামিরা বেরিয়ে যান জামিনে। যে চিকিৎসকদের অবহেলায় চিত্রনায়ক মান্নার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হয় তারা হলেন- ডা. এনায়েত হোসেন শেখ, ডা. জহির উদ্দিন মাহমুদ ইলিয়াস, ডা. মোমেনুজ্জামান, ডা. খন্দকার মাহবুব সোহাইল, ডা. ফাতেমা ও ডা. মাইনুল ইসলাম মজুমদার।
এদিকে বাদী পক্ষের আইনজীবীর দাবি, ডিসেম্বরে মামলার চূড়ান্ত রায় আসার ব্যাপারে আশাবাদী তারা। গত ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয় নায়ক মান্নার। বুকে ব্যথা নিয়ে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। মান্নার মৃত্যুতে কয়েকজন চিকিৎসকের অবহেলার অভিযোগ এনে ২০০৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার আদালতে একটি মামলা করেন তার স্ত্রী শেলী কাদেরের ভাই রেজা কাদের।
মামলার আর্জিতে বলা হয়, বুকে ব্যথা অনুভব করায় ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ভোর চারটায় মান্না হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু চিকিৎসকরা হাসপাতালে আসেন সকাল ৯টায়। চিকিৎসা দেরিতে শুরু হওয়ায় ‘অ্যাকিউট মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশনে’ আক্রান্ত হন তিনি। এই রোগের ক্ষেত্রে আক্রান্ত হওয়ার ৯০ মিনিটের মধ্যে রোগীকে নির্দিষ্ট ইনজেকশন দিতে হয়। কিন্তু মান্নাকে ইনজেকশন দেওয়া হয় আক্রান্ত হওয়ার ৫ ঘণ্টা পর। হৃদরোগ বিভাগের ওই ৬ চিকিৎসকদের এমন অবহেলায় মান্নার মৃত্যু হয়।
ওই বছর ১৩ নভেম্বর তৎকালীন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান সিদ্দিক বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে ৬ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তাই ২০০৯ সালের ২৮ জানুয়ারি আদালত ছয় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তাদের আট সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন। ওই বছরের ১৬ মার্চ চিকিৎসকরা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত ৫০ হাজার টাকা বন্ডে তাদের জামিন দেন।
এরপর ২০০৯ সালের ১৮ অক্টোবর ওই ছয় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক ফিরোজ আলম। এরপর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন রাখা হলেও অভিযোগ গঠনের বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টে যায় আসামিপক্ষ। হাইকোর্ট ওই বছরই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। পরবর্তীতে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ায় দীর্ঘ ১৪ বছরেও এই মামলায় কোনো সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।