গত ২০১২ সালে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার জন্য ‘লিনিয়ার এক্সিলেটর’ নামের একটি মেশিন দেয়া হয়। প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের মেশিনটি ওই সময় থেকেই অব্যবহৃত। হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগের সামনে বাক্সবন্দি পড়ে রয়েছে মেশিনটি। ১১ বছর ধরে অব্যবহৃত থাকায় মেশিনটি আদৌ আর সচল হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে খুমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১২ সালের ২৯ মে জাতীয় ক্যানসার ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের জন্য লিনিয়ার এক্সিলেটর মেশিন কেনা হয়। ব্যয় হয় ১৩ লাখ ৬০ হাজার ইউএস ডলার। তখনকার হিসেবে যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১০ কোটি টাকা। কিন্তু সেখানে বাংকার না থাকায় মেশিনটি স্থাপন করা যায়নি।
এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ওই বছরের ৮ আগস্ট মেশিনটি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। অথচ তখন এই হাসপাতাল থেকে মেশিনটির জন্য কোনো চাহিদা দেয়া হয়নি। খুমেক হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগে মেশিনটি স্থাপনের জন্য কোনো বাংকার না থাকায় হাসপাতালের তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক মেশিনটি গ্রহণ করেননি। তখন থেকে মেশিনটি রেডিওথেরাপি বিভাগে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
পরে ১২ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মেশিনটি খুমেক হাসপাতালে স্থাপনের জন্য রেডিওথেরাপি বিভাগে বাংকার তৈরির জন্য ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা অনুদানসহ অর্থ ব্যয়ের সরকারি মঞ্জুরি প্রদান করে। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ১৭ নভেম্বর খুলনার গণপূর্ত বিভাগ-১ চিঠি দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানায় যে, বাংকার তৈরির অনুকুলে তাদের কোনো বরাদ্দ দেয়া হয়নি।
ওই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর মেশিনটির সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আমেরিকার ভ্যারিয়েন মেডিকেল সিস্টেম থেকে একটি প্রতিনিধিদল আসে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ১৯ সেপ্টেম্বর মেশিনটি স্থাপন ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়। ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সভা করে মেশিনটি জাতীয় ক্যান্সার ইন্সটিটিউটে স্থানান্তর ও স্থাপনের নির্দেশনা দেন। কিন্তু অদ্যাবধি মেশিনটি ফেরত নেয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে খুমেক হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগের প্রধান ডা. মুকিতুল হুদা জানান, মেশিনটি গত ১১ বছর ধরে বাক্সবন্দি অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় প্রতিনিধি ট্রেড ভিশন লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। মেশিনটি ফেরত নেয়ার জন্য ৭ বছর আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেয়, কিন্তু এখনও ফেরত নেয়নি।
এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএ’র খুলনা শাখার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অদূরদর্শিতা এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে রাষ্ট্রের টাকার অপচয় হয়েছে। তার চেয়েও বড় দুর্ভোগ হয়েছে ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের। খুলনার রোগীদের রেডিওথেরাপির জন্য এখন ঢাকায় অথবা কোলকাতায় যেতে হয়। অথচ মেশিনটি স্থাপন করা গেলে তারা এখান থেকেই রেডিওথেরাপি নিতে পারতো। ক্যানসারের সেল নষ্ট করার জন্য চিকিৎসকরা রেডিওথেরাপি দেন।
এদিকে খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হোসেন বলেন, মেশিনটি বসানোর জন্য যে ধরণের বাংকার বা অবকাঠামো প্রয়োজন হয়, তা এই হাসপাতালে নেই। মেশিনটি বাক্সবন্দি রয়েছে, কোনোদিন খোলা হয়নি। ফলে এটি ভালো আছে নাকি বিকল হয়ে গেছে তা তাদের জানা নেই।
এদিকে খুমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১২ সালের ২৯ মে জাতীয় ক্যানসার ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের জন্য লিনিয়ার এক্সিলেটর মেশিন কেনা হয়। ব্যয় হয় ১৩ লাখ ৬০ হাজার ইউএস ডলার। তখনকার হিসেবে যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১০ কোটি টাকা। কিন্তু সেখানে বাংকার না থাকায় মেশিনটি স্থাপন করা যায়নি।
এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ওই বছরের ৮ আগস্ট মেশিনটি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। অথচ তখন এই হাসপাতাল থেকে মেশিনটির জন্য কোনো চাহিদা দেয়া হয়নি। খুমেক হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগে মেশিনটি স্থাপনের জন্য কোনো বাংকার না থাকায় হাসপাতালের তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক মেশিনটি গ্রহণ করেননি। তখন থেকে মেশিনটি রেডিওথেরাপি বিভাগে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
পরে ১২ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মেশিনটি খুমেক হাসপাতালে স্থাপনের জন্য রেডিওথেরাপি বিভাগে বাংকার তৈরির জন্য ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা অনুদানসহ অর্থ ব্যয়ের সরকারি মঞ্জুরি প্রদান করে। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ১৭ নভেম্বর খুলনার গণপূর্ত বিভাগ-১ চিঠি দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানায় যে, বাংকার তৈরির অনুকুলে তাদের কোনো বরাদ্দ দেয়া হয়নি।
ওই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর মেশিনটির সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আমেরিকার ভ্যারিয়েন মেডিকেল সিস্টেম থেকে একটি প্রতিনিধিদল আসে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ১৯ সেপ্টেম্বর মেশিনটি স্থাপন ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়। ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সভা করে মেশিনটি জাতীয় ক্যান্সার ইন্সটিটিউটে স্থানান্তর ও স্থাপনের নির্দেশনা দেন। কিন্তু অদ্যাবধি মেশিনটি ফেরত নেয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে খুমেক হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগের প্রধান ডা. মুকিতুল হুদা জানান, মেশিনটি গত ১১ বছর ধরে বাক্সবন্দি অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় প্রতিনিধি ট্রেড ভিশন লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। মেশিনটি ফেরত নেয়ার জন্য ৭ বছর আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেয়, কিন্তু এখনও ফেরত নেয়নি।
এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএ’র খুলনা শাখার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অদূরদর্শিতা এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে রাষ্ট্রের টাকার অপচয় হয়েছে। তার চেয়েও বড় দুর্ভোগ হয়েছে ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের। খুলনার রোগীদের রেডিওথেরাপির জন্য এখন ঢাকায় অথবা কোলকাতায় যেতে হয়। অথচ মেশিনটি স্থাপন করা গেলে তারা এখান থেকেই রেডিওথেরাপি নিতে পারতো। ক্যানসারের সেল নষ্ট করার জন্য চিকিৎসকরা রেডিওথেরাপি দেন।
এদিকে খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হোসেন বলেন, মেশিনটি বসানোর জন্য যে ধরণের বাংকার বা অবকাঠামো প্রয়োজন হয়, তা এই হাসপাতালে নেই। মেশিনটি বাক্সবন্দি রয়েছে, কোনোদিন খোলা হয়নি। ফলে এটি ভালো আছে নাকি বিকল হয়ে গেছে তা তাদের জানা নেই।