মোঃ সাইমুন ইসলাম, (পটুয়াখালী) কুয়াকাটা থেকে: উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। যে কারণে গভীর সমুদ্রে থাকা সকল ধরনের মাছ ধরার ট্রলার ফিশিং বোর্ড সমূহ কে উপকূলে এসে আশ্রয় গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আবহাওয়া অফিস।
ঢেউয়ের তান্ডবে এফবি বিসমিল্লাহ ও মায়ের দেয়া-১ সহ ৭টি মাছ ধরা ট্রলার নিমজ্জিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসব ট্রলারের জেলেদের অন্য ট্রলারের জেলেরা উদ্ধার করে আড়ৎ ঘাটে নিয়ে আসেন বলে মৎস্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান।
সমুদ্রের প্রচন্ড তান্ডবে টিকতে না পেরে মাছ ধরা ট্রলার নিয়ে জেলেরা মৎস্য বন্দর আলীপুর ও মহিপুর আড়ৎ ঘাট শিববাড়িয় নদী সহ বিভিন্ন পয়েন্টে আশ্রয় নিয়েছে। ফিরে আসা এসব জেলেদের চোখে-মুখে রয়েছে হতাশার ছাপ।
বঙ্গোপসাগর উত্তাল ৭টি মাছ ধরা ট্রলার নিমজ্জিত কারণ ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নতুন আশা নিয়ে রুপালি ইলিশের সন্ধানে গভীর সমুদ্রে নেমেছিলো তারা। এদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শংকা করছে আবহাওয়া অফিস। তাই পটুয়াখালীর পায়রা সহ দেশের সব সমুদ্র বন্দর সমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
মহিপুর ও আলীপুর আড়ৎ ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, একের পর এক সমুদ্রগামী মাছ ধরার ট্রলার আড়ৎ ঘাটে এসে নোঙ্গর করছে। তীরে আসা জেলেরা জানান, ইলিশ পাবার আশা নিয়ে গভীর সমুদ্রে গিয়ে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ সাগর উত্তাল হয়ে গেছে । ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে টিকে থাকাই দায়। তাই কেউ জাল না ফেলে আবার কেউ জাল তুলে তীরে এসেছেন। জেলে হাসান মাঝি বলেন, সাগর উত্তাল হয়ে ওঠার কারণে জাল তুলে শূন্য হাতে ঘাটে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন।
কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন বলেন, বর্তমানে সাগর উত্তাল। গভীর সমুদ্রে অবস্থানরত মাছ ধরা ট্রলার তীরে আসতে শুরু করেছে। এসব ট্রলার মহিপুর আলীপুর আড়ৎ ঘাটসহ বিভিন্ন পয়েন্টে আশ্রয় নিয়েছে। আবহাওয়া ভাল হওয়ার সাথে সাথে এসব জেলার ট্রলার নিয়ে আবার সাগরে যাত্রা করবেন বলে তিনি জানান।
মহিপুর মৎস্য আড়দ মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাজা মিয়া জানান, আজকে সাগর আকর্ষিক উত্তলে কত ট্রলার সাগরে নিমজ্জিত হয়েছে সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। আমার জানামতে ৭ টি ট্রলার নিমজ্জিত সব জেলে উদ্ধার।
বুধবার (২ আগস্ট) সকাল থেকেই উপকূলের বেশিরভাগ এলাকায় থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। নদ-নদীর পানির উচ্চতা কিছুটা বেড়েছে। বেড়েছে বাতাসের গতির চাপও।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিমে অগ্রসর হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, নিম্নচাপকে কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
ঢেউয়ের তান্ডবে এফবি বিসমিল্লাহ ও মায়ের দেয়া-১ সহ ৭টি মাছ ধরা ট্রলার নিমজ্জিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসব ট্রলারের জেলেদের অন্য ট্রলারের জেলেরা উদ্ধার করে আড়ৎ ঘাটে নিয়ে আসেন বলে মৎস্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান।
সমুদ্রের প্রচন্ড তান্ডবে টিকতে না পেরে মাছ ধরা ট্রলার নিয়ে জেলেরা মৎস্য বন্দর আলীপুর ও মহিপুর আড়ৎ ঘাট শিববাড়িয় নদী সহ বিভিন্ন পয়েন্টে আশ্রয় নিয়েছে। ফিরে আসা এসব জেলেদের চোখে-মুখে রয়েছে হতাশার ছাপ।
বঙ্গোপসাগর উত্তাল ৭টি মাছ ধরা ট্রলার নিমজ্জিত কারণ ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নতুন আশা নিয়ে রুপালি ইলিশের সন্ধানে গভীর সমুদ্রে নেমেছিলো তারা। এদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শংকা করছে আবহাওয়া অফিস। তাই পটুয়াখালীর পায়রা সহ দেশের সব সমুদ্র বন্দর সমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
মহিপুর ও আলীপুর আড়ৎ ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, একের পর এক সমুদ্রগামী মাছ ধরার ট্রলার আড়ৎ ঘাটে এসে নোঙ্গর করছে। তীরে আসা জেলেরা জানান, ইলিশ পাবার আশা নিয়ে গভীর সমুদ্রে গিয়ে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ সাগর উত্তাল হয়ে গেছে । ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে টিকে থাকাই দায়। তাই কেউ জাল না ফেলে আবার কেউ জাল তুলে তীরে এসেছেন। জেলে হাসান মাঝি বলেন, সাগর উত্তাল হয়ে ওঠার কারণে জাল তুলে শূন্য হাতে ঘাটে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন।
কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন বলেন, বর্তমানে সাগর উত্তাল। গভীর সমুদ্রে অবস্থানরত মাছ ধরা ট্রলার তীরে আসতে শুরু করেছে। এসব ট্রলার মহিপুর আলীপুর আড়ৎ ঘাটসহ বিভিন্ন পয়েন্টে আশ্রয় নিয়েছে। আবহাওয়া ভাল হওয়ার সাথে সাথে এসব জেলার ট্রলার নিয়ে আবার সাগরে যাত্রা করবেন বলে তিনি জানান।
মহিপুর মৎস্য আড়দ মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাজা মিয়া জানান, আজকে সাগর আকর্ষিক উত্তলে কত ট্রলার সাগরে নিমজ্জিত হয়েছে সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। আমার জানামতে ৭ টি ট্রলার নিমজ্জিত সব জেলে উদ্ধার।
বুধবার (২ আগস্ট) সকাল থেকেই উপকূলের বেশিরভাগ এলাকায় থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। নদ-নদীর পানির উচ্চতা কিছুটা বেড়েছে। বেড়েছে বাতাসের গতির চাপও।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিমে অগ্রসর হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, নিম্নচাপকে কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।