আলমডাঙ্গা থেকে: চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গার তিয়রবিলা গ্রামে পরকীয়ার অভিযোগে প্রবাসীর স্ত্রী সালমা ও একই গ্রামের ব্যবসায়ীকে লালনকে গ্রাম্য সালিশে গলাঁয় জুতার মালা পরিয়ে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসির আহম্মেদ লালের বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে দিবালকে আইন-বহির্ভূত ও ন্যক্কারজনক এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
গত ৩১ জুলাই সোমবার আলমডাঙ্গা থানাতে বাদী হয়ে চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন অভিযুক্ত ব্যবসায়ী। ঘটনার পর পরই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং চেয়ারম্যান পলাতক।
এর আগে গত ২৯ জুলাই শনিবার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের তিয়রবিলা গ্রামে গণ্যমান্য ব্যক্তি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সামনে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে লোক লজ্জায় গা ঢাকা দিয়েছেন ওই নির্যাতিত নারী ও তার পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের তিয়রবিলা গ্রামের প্রবাসী পান্নার স্ত্রী সালমা খাতুনের সাথে একই গ্রামে ব্যবসায়ী লালনের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে খাসকররা ইউনিয়নের তিয়রবিলা গ্রামে সালমা খাতুন গৃহবধূর বাড়ির সন্নিকটে সালিশ বৈঠক ডাকেন ইউপি চেয়ারম্যান। অভিযুক্ত লালন সালিশে আসতে না চাইলেও জোরপূর্বক বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসা হয়। প্রায় ২ শতাধিক সাধারণ মানুষের উপস্থিতে সালিশ বৈঠক হয়। পরে সালিশের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তাফসির আহম্মেদ লাল অভিযুক্ত দু'জনের কাছে থেকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা আদায় ধার্য করে এবং পরকীয়া গৃহবধূ ও লালনকে শারীরিক নির্যাতনের পর জুতার মালা পড়িয়ে এলাকা ঘুরানো হয়। গ্রাম ঘুরিয়ে গ্রামের মসজিদে নিয়ে তাদেরকে তওবা পড়ানোও হয়। এছাড়া দু'জনকে গ্রাম ছাড়তে নির্দেশ দেয় চেয়ারম্যান তাফসির আহম্মেদ লাল। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো চেয়ারম্যান নিজেই পলাতক আছেন। ক্ষমতা হলো সূর্যের আলোর মতো, তাতে কেউ আলোকিত হয় আবার কেউ পুড়ে শেষ হয়ে যায়।
খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসির আহম্মেদ লালের ফোনে একাধিকবার রিং দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
এদিকে গ্রামের সাধারণ মানুষের ভেতর অনেকেই মন্তব্য করেন গ্রাম্য সালিশে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করার কোন এখতিয়ার আছে কি চেয়ারম্যানের আর এই বর্তমান যুগে এসেও জুতার মালা গলায় দিয়ে গ্রাম ঘোরানো প্রথা কতটুকু মেনে নেওয়ার মতো তা ভাববার বিষয়।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, 'ঘটনা শোনার পরই মামলা নিয়েছি। সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত পলাতকদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনার সাথে চেয়ারম্যানসহ যারা যারা জড়িত আছে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
গত ৩১ জুলাই সোমবার আলমডাঙ্গা থানাতে বাদী হয়ে চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন অভিযুক্ত ব্যবসায়ী। ঘটনার পর পরই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং চেয়ারম্যান পলাতক।
এর আগে গত ২৯ জুলাই শনিবার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের তিয়রবিলা গ্রামে গণ্যমান্য ব্যক্তি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সামনে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে লোক লজ্জায় গা ঢাকা দিয়েছেন ওই নির্যাতিত নারী ও তার পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের তিয়রবিলা গ্রামের প্রবাসী পান্নার স্ত্রী সালমা খাতুনের সাথে একই গ্রামে ব্যবসায়ী লালনের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে খাসকররা ইউনিয়নের তিয়রবিলা গ্রামে সালমা খাতুন গৃহবধূর বাড়ির সন্নিকটে সালিশ বৈঠক ডাকেন ইউপি চেয়ারম্যান। অভিযুক্ত লালন সালিশে আসতে না চাইলেও জোরপূর্বক বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসা হয়। প্রায় ২ শতাধিক সাধারণ মানুষের উপস্থিতে সালিশ বৈঠক হয়। পরে সালিশের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তাফসির আহম্মেদ লাল অভিযুক্ত দু'জনের কাছে থেকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা আদায় ধার্য করে এবং পরকীয়া গৃহবধূ ও লালনকে শারীরিক নির্যাতনের পর জুতার মালা পড়িয়ে এলাকা ঘুরানো হয়। গ্রাম ঘুরিয়ে গ্রামের মসজিদে নিয়ে তাদেরকে তওবা পড়ানোও হয়। এছাড়া দু'জনকে গ্রাম ছাড়তে নির্দেশ দেয় চেয়ারম্যান তাফসির আহম্মেদ লাল। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো চেয়ারম্যান নিজেই পলাতক আছেন। ক্ষমতা হলো সূর্যের আলোর মতো, তাতে কেউ আলোকিত হয় আবার কেউ পুড়ে শেষ হয়ে যায়।
খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসির আহম্মেদ লালের ফোনে একাধিকবার রিং দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
এদিকে গ্রামের সাধারণ মানুষের ভেতর অনেকেই মন্তব্য করেন গ্রাম্য সালিশে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করার কোন এখতিয়ার আছে কি চেয়ারম্যানের আর এই বর্তমান যুগে এসেও জুতার মালা গলায় দিয়ে গ্রাম ঘোরানো প্রথা কতটুকু মেনে নেওয়ার মতো তা ভাববার বিষয়।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, 'ঘটনা শোনার পরই মামলা নিয়েছি। সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত পলাতকদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনার সাথে চেয়ারম্যানসহ যারা যারা জড়িত আছে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।