বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ভালবাসার কারণে বাংলাদেশকে পানি দিতে আপত্তি নেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এজন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বকেয়া অর্থ দাবি করেছেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে মালদায় এক সমাবেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে জল দিতে আমার কোনো আপত্তি নেই। আমি হাসিনাজিকে ব্যক্তিগতভাবে ভালবাসি।’
মমতা প্রশ্ন তোলেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ফারাক্কা চুক্তি বাবদ রাজ্য সরকারের প্রাপ্য টাকা কেন্দ্রীয় সরকার এখনও দেয় নি কেন? বাংলাদেশকে পানি বণ্টনের বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে মমতা বলেন, ‘তুমি আমাদের জল বাংলাদেশকে দিলে, আমার তাতে আপত্তি নেই। হাসিনাজিকে আমি ব্যক্তিগতভাবে ভালবাসি। ঠিক আছে। কিন্তু তার পরিবর্তে কেন্দ্র আমাদের রাজ্য সরকারকে ৭০০ কোটি টাকা দেবে বলেছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত এক পয়সা দাও নি।
তিনি আরও বলেন, ‘বলতে বলতে আমার মুখ ব্যথা হয়ে গেছে। হয়তো কেউ ভাবতে পারে, আমি কেন প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলছি না। কিন্তু আমি অন্তত ৫০ বার গেছি। হয়তো এত বার যাই নি, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সাত-আটবার তো গেছিই।’ ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি হয়।
চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালে। চুক্তি নবায়নের দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে ফারাক্কা নিয়ে তত বেশি সরব হতে দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে। সমাবেশের আগে দুপুরে মালদহে প্রশাসনিক বৈঠকেও বাংলাদেশের সাথে ফারাক্কা চুক্তির প্রসঙ্গ তোলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘এটি কেন্দ্রের সরকারের অধীনস্থ একটি বিষয়। ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের বিষয়টিও কেন্দ্রের। তারা ড্রেজিং পর্যন্ত করেনি। ফলে মানুষের খুব অসুবিধা হয়।
তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার যখন বাংলাদেশের সাথে ফারাক্কা চুক্তি করেছিল, আমরা তাদের জল দিয়েছিলাম। কেন্দ্রীয় সরকার তখন লিখিতভাবে চুক্তি করেছিল যে, পরিবর্তে আমাদের টাকা দেওয়া হবে এবং সেটা আমাদের ফারাক্কাকে ভালো রাখবার জন্য। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমরা সেই ৭০০ কোটি টাকা পাই নি।’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গঙ্গা নদীর ভাঙ্গন ১০০ বছর ধরে চলছে। সবাই ক্ষমতায় এসেছে, চলেও গেছে। কিন্তু ভাঙন রোধে কেউ কিছুই করেনি। অথচ গঙ্গার ভাঙ্গন বিষয়টি কেন্দ্রের সরকারের অধীনে, আমার অধীনে নয়। ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পটিও কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে।’
ভারতের জাতীয় নাগরিক পঞ্জী (এনআরসি) ইস্যুতেও এদিন কেন্দ্রীয় সরকারকে সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন "কয়েকদিন আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের থেকে চিঠি এসেছে। নির্বাচন আসলেই তাদের এ কথা মনে পড়ে। ওই চিঠিতে সীমান্তবর্তী কয়েকটা জায়গার নাম এমন ভাবে দিয়েছে... তাতে বলা হয়েছে কারো যদি আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড না থাকে তবে তাদেরকে বিদেশি বলে ঘোষণা করা হবে।’
মমতা বলেন, ‘অর্থাৎ তাদের যাতে তাড়িয়ে দেওয়া যায়, ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করা হবে। আমি বলি তোদের (কেন্দ্র) ক্ষমতা থাকলে হাত তুলে দেখা। আমি একটাও করতে দেব না। আমরা সবাই মানুষ, এটাই আমাদের পরিচয়।’
মমতা প্রশ্ন তোলেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ফারাক্কা চুক্তি বাবদ রাজ্য সরকারের প্রাপ্য টাকা কেন্দ্রীয় সরকার এখনও দেয় নি কেন? বাংলাদেশকে পানি বণ্টনের বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে মমতা বলেন, ‘তুমি আমাদের জল বাংলাদেশকে দিলে, আমার তাতে আপত্তি নেই। হাসিনাজিকে আমি ব্যক্তিগতভাবে ভালবাসি। ঠিক আছে। কিন্তু তার পরিবর্তে কেন্দ্র আমাদের রাজ্য সরকারকে ৭০০ কোটি টাকা দেবে বলেছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত এক পয়সা দাও নি।
তিনি আরও বলেন, ‘বলতে বলতে আমার মুখ ব্যথা হয়ে গেছে। হয়তো কেউ ভাবতে পারে, আমি কেন প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলছি না। কিন্তু আমি অন্তত ৫০ বার গেছি। হয়তো এত বার যাই নি, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সাত-আটবার তো গেছিই।’ ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি হয়।
চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালে। চুক্তি নবায়নের দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে ফারাক্কা নিয়ে তত বেশি সরব হতে দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে। সমাবেশের আগে দুপুরে মালদহে প্রশাসনিক বৈঠকেও বাংলাদেশের সাথে ফারাক্কা চুক্তির প্রসঙ্গ তোলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘এটি কেন্দ্রের সরকারের অধীনস্থ একটি বিষয়। ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের বিষয়টিও কেন্দ্রের। তারা ড্রেজিং পর্যন্ত করেনি। ফলে মানুষের খুব অসুবিধা হয়।
তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার যখন বাংলাদেশের সাথে ফারাক্কা চুক্তি করেছিল, আমরা তাদের জল দিয়েছিলাম। কেন্দ্রীয় সরকার তখন লিখিতভাবে চুক্তি করেছিল যে, পরিবর্তে আমাদের টাকা দেওয়া হবে এবং সেটা আমাদের ফারাক্কাকে ভালো রাখবার জন্য। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমরা সেই ৭০০ কোটি টাকা পাই নি।’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গঙ্গা নদীর ভাঙ্গন ১০০ বছর ধরে চলছে। সবাই ক্ষমতায় এসেছে, চলেও গেছে। কিন্তু ভাঙন রোধে কেউ কিছুই করেনি। অথচ গঙ্গার ভাঙ্গন বিষয়টি কেন্দ্রের সরকারের অধীনে, আমার অধীনে নয়। ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পটিও কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে।’
ভারতের জাতীয় নাগরিক পঞ্জী (এনআরসি) ইস্যুতেও এদিন কেন্দ্রীয় সরকারকে সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন "কয়েকদিন আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের থেকে চিঠি এসেছে। নির্বাচন আসলেই তাদের এ কথা মনে পড়ে। ওই চিঠিতে সীমান্তবর্তী কয়েকটা জায়গার নাম এমন ভাবে দিয়েছে... তাতে বলা হয়েছে কারো যদি আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড না থাকে তবে তাদেরকে বিদেশি বলে ঘোষণা করা হবে।’
মমতা বলেন, ‘অর্থাৎ তাদের যাতে তাড়িয়ে দেওয়া যায়, ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করা হবে। আমি বলি তোদের (কেন্দ্র) ক্ষমতা থাকলে হাত তুলে দেখা। আমি একটাও করতে দেব না। আমরা সবাই মানুষ, এটাই আমাদের পরিচয়।’