তার বয়স আশির আশপাশ। সঙ্গে একটি ব্যাগ। এ ছাড়া কিছুই নেই। সাত দিন ধরে আছেন এক বাড়ির বারান্দায়। দেখেই বোঝা যায় তিনি ভিক্ষুক নন। মস্তিষ্ক বিকৃতও না তার। কথা বলতে চাইলে সাবলীল ভাষায় অল্প-স্বল্প কথা বলেন। কেউ কিছু দিলে খান। ক্ষুধা পেটেও কারো কাছে চান না খাবার। পরিচয় বলতে দুটি কথাই বলেন তিনি। বাড়ি ঢাকাতে, নাম শাকিলা বেগম।
এ ছাড়া কিছু বলতে গেলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। সাত দিন ধরে এই বৃদ্ধা আছেন দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলি স্থলবন্দর এলাকার সি পি মোড়ে। তাকে বারান্দায় ঠাঁই দিয়েছেন মোড়ের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম সুইট। আজ শনিবার ২২ জুলাই দুপুর ১টার দিকে সেখানে কথা হয় বৃদ্ধার সঙ্গে। দীর্ঘ কথায় ধীরগতিতে জানান, তার বাসা ঢাকায়। নাম শাকিলা বেগম। তার একমাত্র ছেলের নাম জামিল হোসেন। ছেলের চার মেয়ে আছে, তাদের মধ্যে তিন মেয়ের বিয়ে হয়েছে।
এদিকে কান্নাস্বরে শাকিলা জানান, কয়েক দিন আগে তার ছেলে এবং ছেলের বউ একটি কাপড়ের ব্যাগ হাতে দিয়ে বাসে তুলে দেন। এ সময় তাকে বলেছেন ‘আর বাসায় ফিরো না। চোখ যেদিকে যায় সেদিকে চলে যাও।’ বৃদ্ধা মা ছেলের কাছে তার মোবাইল নম্বরটি চাইলে তাও দেননি। বাসে ওঠার পর গন্তব্য বলতে না পারায় চালক তাকে হিলি সি পি মোড়ে নামিয়ে দেন।
হিলি স্থলবন্দর এলাকার সিএনজিচালক শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘কয়েক দিন থেকে বৃদ্ধা নারীকে এই বিল্ডিংয়ের বারান্দায় থাকতে দেখতেছি। কখনো বসে থাকে আবার কখনো দাঁড়িয়ে থেকে শুধু রাস্তার দিকে চেয়ে থাকেন। বাসার কথা জিজ্ঞেস করলে বলেন- বাড়ি ঢাকায়, নাম শাকিলা। আর কিছু বললে শুধু কান্নাকাটি করে বলেন ছেলের বাড়িতে যামু। কারো কাছে কিছু চান না। কেউ কিছু দিলে সেটি নিয়ে খান।’
হিলি সি পি মোড়ের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম সুইট বলেন, ‘আমি সাত দিন ধরে বাসার বারান্দায় এই বৃদ্ধাকে থাকতে দেখছি। তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি নাম ছাড়া কিছুই বলতে পারছেন না। শুধু বলছেন, তার ছেলে এবং ছেলের বউ বাসা থেকে বের করে দিয়েছে। মাঝে মাঝে খাবার কিনে দিলে খাচ্ছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) আমি তার ছবিসহ ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি গত রাতে মুঠো ফোনে আমাকে বলেছেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসারকে অবগত করা হয়েছে তারা খুব দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’ এ বিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় বলেন, ‘আমি বৃদ্ধ মহিলার বিষয়ে জানতে পেরেছি। ইতোমধ্যে উপজেলা সমাজসেবা অফিসারকে বিষয়টি জানিয়েছি। খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ছাড়া কিছু বলতে গেলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। সাত দিন ধরে এই বৃদ্ধা আছেন দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলি স্থলবন্দর এলাকার সি পি মোড়ে। তাকে বারান্দায় ঠাঁই দিয়েছেন মোড়ের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম সুইট। আজ শনিবার ২২ জুলাই দুপুর ১টার দিকে সেখানে কথা হয় বৃদ্ধার সঙ্গে। দীর্ঘ কথায় ধীরগতিতে জানান, তার বাসা ঢাকায়। নাম শাকিলা বেগম। তার একমাত্র ছেলের নাম জামিল হোসেন। ছেলের চার মেয়ে আছে, তাদের মধ্যে তিন মেয়ের বিয়ে হয়েছে।
এদিকে কান্নাস্বরে শাকিলা জানান, কয়েক দিন আগে তার ছেলে এবং ছেলের বউ একটি কাপড়ের ব্যাগ হাতে দিয়ে বাসে তুলে দেন। এ সময় তাকে বলেছেন ‘আর বাসায় ফিরো না। চোখ যেদিকে যায় সেদিকে চলে যাও।’ বৃদ্ধা মা ছেলের কাছে তার মোবাইল নম্বরটি চাইলে তাও দেননি। বাসে ওঠার পর গন্তব্য বলতে না পারায় চালক তাকে হিলি সি পি মোড়ে নামিয়ে দেন।
হিলি স্থলবন্দর এলাকার সিএনজিচালক শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘কয়েক দিন থেকে বৃদ্ধা নারীকে এই বিল্ডিংয়ের বারান্দায় থাকতে দেখতেছি। কখনো বসে থাকে আবার কখনো দাঁড়িয়ে থেকে শুধু রাস্তার দিকে চেয়ে থাকেন। বাসার কথা জিজ্ঞেস করলে বলেন- বাড়ি ঢাকায়, নাম শাকিলা। আর কিছু বললে শুধু কান্নাকাটি করে বলেন ছেলের বাড়িতে যামু। কারো কাছে কিছু চান না। কেউ কিছু দিলে সেটি নিয়ে খান।’
হিলি সি পি মোড়ের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম সুইট বলেন, ‘আমি সাত দিন ধরে বাসার বারান্দায় এই বৃদ্ধাকে থাকতে দেখছি। তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি নাম ছাড়া কিছুই বলতে পারছেন না। শুধু বলছেন, তার ছেলে এবং ছেলের বউ বাসা থেকে বের করে দিয়েছে। মাঝে মাঝে খাবার কিনে দিলে খাচ্ছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) আমি তার ছবিসহ ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি গত রাতে মুঠো ফোনে আমাকে বলেছেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসারকে অবগত করা হয়েছে তারা খুব দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’ এ বিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় বলেন, ‘আমি বৃদ্ধ মহিলার বিষয়ে জানতে পেরেছি। ইতোমধ্যে উপজেলা সমাজসেবা অফিসারকে বিষয়টি জানিয়েছি। খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’