আলমডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ আলমডাঙ্গা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার নাজমুল হোসেনকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে একই কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী (হিসাবরক্ষক) মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে।গতকাল রবিবার বিকাল ২ টার সময় উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে পাল্টা অভিযোগ করেন মনিরুজ্জামান।তিনি বলেন অনেক আগে থেকেই তিনি আমার সাথে খারাপ আচরণ করে।তার নানান আর্থিক অনিয়মের বিষয় আমি জানি বিধায় আমাকে ট্রান্সফার করার জন্য এই অভিনব পদ্ধতি বেছে নিয়েছে । যেহেতু হিসাব রক্ষনে আমি আছি তার অনিয়মের অনেক তথ্য আমার জানা।এর পূর্বে গত, ১১-০৬-২৩ তারিখে সোনালী ব্যাংক থেকে তিনি ভিক্ষুক পুনর্বাসনে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ আসলে তিনি একটি ভ্যান কিনে বাকি টাকাগুলো আত্মসাৎ করেছে। গত মে মাসে ১৩ টি এতিমখানার নামে আসা বরাদ্দকৃত টাকা থেকে ডিজি স্যারের আপ্যায়নের খরচ বাবদ মোট টাকার উপর ৪% হারে টাকা কর্তন করেছে যা অনেকাংশেই তার পকেটে ।
সর্বশেষ সুদমুক্ত ঋনখাতে ১০ লক্ষ টাকা এসেছিল। একটা মিটিংয়ে এই টাকা পাঁচটি গ্রামে বিতরন করার কথা থাকলেও সব টাকা নিজের একাউন্টে নিয়েছেন বলে মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন ।
আর তিনি বলেন, গতকালের ঘটনা কোন ইস্যু হতে পারে না। নিজেই হসপিটালে যেয়ে ভর্তি হয়ে আমাকে ফাসানোর চেষ্টা করছে।আসলেই তার গোপন হিসাব নিকাশে আমি বাধা হয়ে ছিলাম তাই আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছে। একটি চিঠি ইস্যু করা নিয়ে নাজমুল হোসেনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। তারপর সে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে আমাকে উত্তপ্ত করে এবং ফাইল ছিড়ে আমার রিঅ্যাকশন নিজের ফোনে ভিডিও ধারন করার চেষ্টা করলে তার কাছ থেকে আমি ফোন নেওয়ার চেষ্টা করি ।পরে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালকের উপস্থিতিতে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে।
এদিকে সমাজসেবা অফিসার নাজমুল হোসেনের অফিসে গেলে তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি। তার ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস বলেন, বিষয়টি গতকালই শুনেছি যেহেতু সমাজ সেবা অধিদপ্তরের বিষয় তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি দেখবেন। আমার কাছে যেহেতু কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।