এবার নির্ধারিত অতিথির চেয়ে কনেপক্ষে পাঁচজন বেশি কেন? এই নিয়ে শুরু তর্কাতর্কি। তারপর হাতাহাতি আর লাঠিপেটা। বৌভাতের অনুষ্ঠানে খেতে বসা মেয়ের বাড়ির অতিথিদের বেধড়ক মারধরের ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৪ জন। লাঠি ও বাঁশের আঘাতে কারও ফেটেছে মাথা, কারও ভেঙেছে হাত-পা।
কনের মামার গালে সপাটে চর মারায় তিনি কানে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তিনি কিছু শুনতে পারছিলেন না। ঝামেলার মাঝে পড়ে আঘাত পান কনে নিজেও। তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। আর বরকে পাঠানো হয় কারাগারে। এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের সিউড়িতে।
জানা গিয়েছে বীরভূম জেলার সিউড়ি দুবরাজপুরের লোবা পঞ্চায়েতের শিমুলডিহি গ্রামের সুরিয়া খাতুনের সঙ্গে পাশের সদাইপুর থানার গুনসিমা গ্রামের শেখ আতিকুলের দেখাশোনা করেই বিয়ে হয়। গত শনিবার মুসলিম মতে বিয়ের অনুষ্ঠান সারা হয়। এর পরেরদিন, রোববার বৌভাত উপলক্ষে শিমুলডিহি থেকে কনের পরিবারের ৩০ জন কনেযাত্রী হিসেবে যান গুনসিমা গ্রামে।
অভিযোগ, যাওয়ার পরেই তাদের শুনতে হয়, ২৫ জন কনেযাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। ৫ জন বেশি অতিথি কেন নিয়ে আসা হয়েছে। প্রথমে হতচকিত হয়ে যান কনেপক্ষের লোকজন, তার পরেই শুরু হয়ে যায় বচসা। বরপক্ষ দাবি করতে থাকে ৫ জন বেশি আসায় তাদের খাবারের আয়োজনে টান পড়ছে। কনেপক্ষের অভিযোগ মাত্র পাঁচ জন অতিথি বিয়েবাড়িতে বেশি এসেছেন বলে তাদের খেতে প্রশ্ন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।
এরপরেই শুরু হয় বচসা সেই থেকে মারামারি। নববধূ সুরিয়ার ভাই আবুল হোসেনের দাবি তাদের উপর রীতিমতো চড়াও হয় বরপক্ষের লোকজন। লাঠি-বাঁশ দিয়ে মাটিতে ফেলে মারধরের পাশাপাশি এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষিও মারা হয় তাদের। এই সময় কনেপক্ষের ৬ জন পালিয়ে গেলেও ২৪ জন গুরুতর আহত হয়। কনে পক্ষের দুই নারী সদস্যর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনায় কনেসহ কনেপক্ষের আহত লোকজনকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। কনের ভাই সুরিয়ার ভাই আবুল হোসেনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সদাইপুর ও দুবরাজপুর থানার পুলিশ কনের পরিবার ও আত্মীয়দের খুনের চেষ্টার অভিযোগে বর শেখ আতিকুল ও শ্বশুর শেখ কালোসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে। যদিও বর পক্ষের বাকি অভিযুক্ত আত্মীয়রা ঘটনার পর থেকেই পলাতক।
কনের মামার গালে সপাটে চর মারায় তিনি কানে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তিনি কিছু শুনতে পারছিলেন না। ঝামেলার মাঝে পড়ে আঘাত পান কনে নিজেও। তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। আর বরকে পাঠানো হয় কারাগারে। এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের সিউড়িতে।
জানা গিয়েছে বীরভূম জেলার সিউড়ি দুবরাজপুরের লোবা পঞ্চায়েতের শিমুলডিহি গ্রামের সুরিয়া খাতুনের সঙ্গে পাশের সদাইপুর থানার গুনসিমা গ্রামের শেখ আতিকুলের দেখাশোনা করেই বিয়ে হয়। গত শনিবার মুসলিম মতে বিয়ের অনুষ্ঠান সারা হয়। এর পরেরদিন, রোববার বৌভাত উপলক্ষে শিমুলডিহি থেকে কনের পরিবারের ৩০ জন কনেযাত্রী হিসেবে যান গুনসিমা গ্রামে।
অভিযোগ, যাওয়ার পরেই তাদের শুনতে হয়, ২৫ জন কনেযাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। ৫ জন বেশি অতিথি কেন নিয়ে আসা হয়েছে। প্রথমে হতচকিত হয়ে যান কনেপক্ষের লোকজন, তার পরেই শুরু হয়ে যায় বচসা। বরপক্ষ দাবি করতে থাকে ৫ জন বেশি আসায় তাদের খাবারের আয়োজনে টান পড়ছে। কনেপক্ষের অভিযোগ মাত্র পাঁচ জন অতিথি বিয়েবাড়িতে বেশি এসেছেন বলে তাদের খেতে প্রশ্ন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।
এরপরেই শুরু হয় বচসা সেই থেকে মারামারি। নববধূ সুরিয়ার ভাই আবুল হোসেনের দাবি তাদের উপর রীতিমতো চড়াও হয় বরপক্ষের লোকজন। লাঠি-বাঁশ দিয়ে মাটিতে ফেলে মারধরের পাশাপাশি এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষিও মারা হয় তাদের। এই সময় কনেপক্ষের ৬ জন পালিয়ে গেলেও ২৪ জন গুরুতর আহত হয়। কনে পক্ষের দুই নারী সদস্যর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনায় কনেসহ কনেপক্ষের আহত লোকজনকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। কনের ভাই সুরিয়ার ভাই আবুল হোসেনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সদাইপুর ও দুবরাজপুর থানার পুলিশ কনের পরিবার ও আত্মীয়দের খুনের চেষ্টার অভিযোগে বর শেখ আতিকুল ও শ্বশুর শেখ কালোসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে। যদিও বর পক্ষের বাকি অভিযুক্ত আত্মীয়রা ঘটনার পর থেকেই পলাতক।