আসাদুল ইসলাম সবুজ, লালমনিরহাট: কোন কোন বগিতেই জ্বলে না বাতি। ভেতরে বিদঘুঁটে অন্ধকার। কোন বগি সংলগ্ন পায়খানার দুর্গন্ধে থাকা কঠিন। অপরিচ্ছন্ন-নোংরা পরিবেশ তো আছেই। আসনগুলোর ও জানালার অবস্থাও খারাপ। যাত্রী নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকা আরএনবি ও ট্রেনের বিদ্যুৎ সিস্টেম দায়িত্বে থাকা ইলেকট্রিশিয়ানরা ভুয়া টিটি সেজে যাত্রী হয়রানীতে ব্যস্ত থাকছেন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ছিনতাই, মলম ও অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা সহজেই অপরাধ করে নিরাপদে চলে যায়। এবস্থায় ৬টি সেকশনের ট্রেনের সেবার মান এতো খারাপ ও ভোগান্তি জেনেও শুধু নিরাপদ ও কম টাকায় ভুয়া টিটিকে ম্যানেছ করে টিকিট ছাড়াই ভ্রমণ করা যায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় সেকশনের ‘লোকাল-মিক্সড’ ট্রেন-এমনটাই অভিযোগ যাত্রীদের ।
বিভাগীয় রেল সূত্র জানান, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় কার্যালয় ৬টি সেকশন লালমনিরহাট-টু-বুড়িমারী, লালমনিরহাট তিস্তা-রমনাবাজার, লালমনিরহাট-টু- পার্বতীপুর, লালমনিরহাট -টু সান্তাহার, পার্বতীপুর-বিরল বর্ডার ও কাঞ্চন-টু-পঞ্চগড়। ট্রেনের সময়-সূচি অনুযায়ী এ সেকশনে এক সময় প্রতিদিন ‘লোকাল-মিক্সড’ ট্রেন ২৪টি চলাচল করছিল। সেখানে এখন চলছে মাত্র ৬টি। পর্যায়ক্রমে বাকী ১৮টি ‘লোকাল-মিক্সড’ ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে।
নিয়মিত যাত্রীরা জানান, সম্প্রতি সময়ে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেল-রুটের ট্রেনগুলোতে ৯জন ভুয়া টিটি ট্রেন পরিচালকের নিয়ন্ত্রণে রেলে ভ্রমণকারী যাত্রীদের টিকিট চেক করছেন। এতে যে যাত্রীর টিকিট নেই, তাদের জরিমানা আদায় করছেন ২০, ৫০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। টাকা বিনিময় যারা টিকিট চান তাদের হাতে ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে ব্যাগডেটে পুরাতন টিকিট। এ নিয়ে মাঝে মাঝে যাত্রীদের সাথে বাকবিতন্ডা ঘটছে। অথচ এসব টিটির কাঁধে নেই টিটি লেখা। বুকে নেই নাম লেখা। ইলেকট্রিশিয়ানরা সাদা পোষাকে টিটি সেজেছে আর কোন কোন আরএনবির সদস্যরা পোশাকের উপর অন্য পোষাক পড়ে টিকিট চেক করছেন বছরের পর বছর ধরে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। এসব ধান্দাবাজির টাকা ট্রেন পরিচালক, নিরাপত্তা বাহিনী ও ইলেকট্রিশিয়ানদের মাঝে প্রতিদিনেই ভাগাভাগি হচ্ছে।
নাম-প্রকাশে অনিচ্ছুককে পাওয়ার ডিপার্টমেন্ট ও আরএনবি সূত্র জানান, এরেল বিভাগে দীর্ঘদিন ধরে টিটি সংকট, তাছাড়া লোকাল ট্রেনে টিটি উঠতে চায় না। আন্তঃনগর ট্রেনের ডিউটির জন্য টিটিরা প্রায় পাগল। কারণ লোকাল ট্রেনে খুচরা টাকা আর আন্তঃনগর ট্রেনে একশ ৩৯; নিচে আদায় নেই। তাই ৬টি রুটে লোকাল ট্রেন টিটি ছাড়াই ফাঁকা যাত্রা করে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ট্রেনের গার্ড নিরাপত্তা বাহিনী ও ইলেকট্রিশিয়ানরা নিয়মিত যাত্রীদের টিকিট চেকের নামে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। যাত্রীদের দিচ্ছেন ভুয়া টিকিট। ফলে সরকার রেল খাতের রাজস্ব থেকে বছরের পর বছর বঞ্চিত হচ্ছেন।
লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ট্রেনে কোন আরএনবির সদস্য টিটি সেজে টাকা আদায় সম্পূর্ণ অবৈধ। যদি রেল কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেন তাহলে করতে পারবেন। অনুমতি ছাড়া এধরনে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আর এ বিষয়ে লালমনিরহাট রেল বিভাগের ডিটিএস আব্দুল্লাহ আল মামুন টিটি সংকটের দায় স্বীকার করে বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী ও ইলেকট্রিশিয়ানরা টিটি সেজে টিকিট চেক করতে পারবেন না। যাত্রীদের টিকিট দেখার বিপরী অর্থ-আদায়ের জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিভাগীয় রেল সূত্র জানান, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় কার্যালয় ৬টি সেকশন লালমনিরহাট-টু-বুড়িমারী, লালমনিরহাট তিস্তা-রমনাবাজার, লালমনিরহাট-টু- পার্বতীপুর, লালমনিরহাট -টু সান্তাহার, পার্বতীপুর-বিরল বর্ডার ও কাঞ্চন-টু-পঞ্চগড়। ট্রেনের সময়-সূচি অনুযায়ী এ সেকশনে এক সময় প্রতিদিন ‘লোকাল-মিক্সড’ ট্রেন ২৪টি চলাচল করছিল। সেখানে এখন চলছে মাত্র ৬টি। পর্যায়ক্রমে বাকী ১৮টি ‘লোকাল-মিক্সড’ ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে।
নিয়মিত যাত্রীরা জানান, সম্প্রতি সময়ে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেল-রুটের ট্রেনগুলোতে ৯জন ভুয়া টিটি ট্রেন পরিচালকের নিয়ন্ত্রণে রেলে ভ্রমণকারী যাত্রীদের টিকিট চেক করছেন। এতে যে যাত্রীর টিকিট নেই, তাদের জরিমানা আদায় করছেন ২০, ৫০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। টাকা বিনিময় যারা টিকিট চান তাদের হাতে ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে ব্যাগডেটে পুরাতন টিকিট। এ নিয়ে মাঝে মাঝে যাত্রীদের সাথে বাকবিতন্ডা ঘটছে। অথচ এসব টিটির কাঁধে নেই টিটি লেখা। বুকে নেই নাম লেখা। ইলেকট্রিশিয়ানরা সাদা পোষাকে টিটি সেজেছে আর কোন কোন আরএনবির সদস্যরা পোশাকের উপর অন্য পোষাক পড়ে টিকিট চেক করছেন বছরের পর বছর ধরে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। এসব ধান্দাবাজির টাকা ট্রেন পরিচালক, নিরাপত্তা বাহিনী ও ইলেকট্রিশিয়ানদের মাঝে প্রতিদিনেই ভাগাভাগি হচ্ছে।
নাম-প্রকাশে অনিচ্ছুককে পাওয়ার ডিপার্টমেন্ট ও আরএনবি সূত্র জানান, এরেল বিভাগে দীর্ঘদিন ধরে টিটি সংকট, তাছাড়া লোকাল ট্রেনে টিটি উঠতে চায় না। আন্তঃনগর ট্রেনের ডিউটির জন্য টিটিরা প্রায় পাগল। কারণ লোকাল ট্রেনে খুচরা টাকা আর আন্তঃনগর ট্রেনে একশ ৩৯; নিচে আদায় নেই। তাই ৬টি রুটে লোকাল ট্রেন টিটি ছাড়াই ফাঁকা যাত্রা করে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ট্রেনের গার্ড নিরাপত্তা বাহিনী ও ইলেকট্রিশিয়ানরা নিয়মিত যাত্রীদের টিকিট চেকের নামে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। যাত্রীদের দিচ্ছেন ভুয়া টিকিট। ফলে সরকার রেল খাতের রাজস্ব থেকে বছরের পর বছর বঞ্চিত হচ্ছেন।
লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ট্রেনে কোন আরএনবির সদস্য টিটি সেজে টাকা আদায় সম্পূর্ণ অবৈধ। যদি রেল কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেন তাহলে করতে পারবেন। অনুমতি ছাড়া এধরনে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আর এ বিষয়ে লালমনিরহাট রেল বিভাগের ডিটিএস আব্দুল্লাহ আল মামুন টিটি সংকটের দায় স্বীকার করে বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী ও ইলেকট্রিশিয়ানরা টিটি সেজে টিকিট চেক করতে পারবেন না। যাত্রীদের টিকিট দেখার বিপরী অর্থ-আদায়ের জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।