শ্রমিকদের মজুরি ২৫ হাজার টাকা করতে হবে, নতুন মজুরি ঘোষণার আগে এর ৬০ শতাংশ দিতে হবে। সেই সাথে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে সাত গ্রেড কমিয়ে পাঁচ গ্রেড করতে হবে এমন সাত দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকাল ১১টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশ করে সংগঠনটি। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করেন আন্দোলনকারীরা।
এসময় বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি সভাপতি ও সমাবেশের সভাপ্রধান তাসলিমা আখতারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বিশিষ্ট আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, ট্রেন ইউনিয়নের অন্যতম সংগঠক সোহেল রানা, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক বাবুলসহ আরও অনেকে।
তাসলিমা আক্তার বলেন, মজুরি বোর্ডের ছয় মাস মেয়াদের তিন মাস পেরিয়ে গেলেও তাদের কোনও খবর নাই। কী জন্য খবর নাই আমরা সেই প্রশ্ন করতে চাই। গার্মেন্টস শ্রমিকরা বিশ্বব্যাপী নাম করেছে। কিন্তু মালিকরা শুধু তাদের নিজেদের উন্নতি করছে। সরকারি তথ্যে আলোকে আমরা প্রতিদিন দেখছি তাদের উন্নতি। মালিকরা বিলিয়ন ডলার আয়ের স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর কথা আসলেই তারা নানান বাহানা দেন। পৃথিবীতে আমাদের শ্রমিকরা সবচেয়ে সস্তা, আমরা আর এই সস্তা শ্রমিকের পরিচয় চাই না।
তিনি আরও বলেন, এলাকায় এলাকায় পেটুয়া বাহিনী দিয়ে আন্দোলকারী শ্রমিকদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। আপনাদের বলছি, আপনারা ভয় পাবেন না। তারা হয়তো আমাদের মেরে ফেলতে পারবে, কিন্তু আমাদের দাবিকে মেরে ফেলতে পারবে না। আপনারা নিজ নিজ এলাকায় আপনাদের দাবির কথা জানিয়ে দিন। আমরা কারখানা গার্মেন্টস ভাঙচুর করে নয়, আন্দোলনের মাধ্যমে শ্রমিকদের জন্য বাঁচার মতো মজুরি ২৫ হাজার টাকা আদায় করবো।
জোনায়েদ সাকি বলেন, দেখে মনে হতে পারে এই গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতনের দাবি তাদের ব্যক্তিগত সমস্যা। কিন্তু আমাদের গভীরভাবে উপলব্ধি করতে হবে একটি দেশের মানদণ্ড নির্ভর করে তাদের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি কত তার ওপর। সাড়ে চার বছর আগের বাজার দর বিবেচনা করে সাড়ে আট হাজার করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান বাজার দরে নাভিশ্বাস উঠে যায়। যেখানে কাঁচা মরিচের দামই ৬০০ থেকে এক হাজার। তাই বর্তমানে এই বেতনে কোনোভাবে যৌক্তিক হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিকরা অতিরিক্ত শ্রম দিয়েও পুষ্টিমান সম্মৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত করতে পারেন না। আপনারা কর্তাব্যক্তিরা শ্রমিকদের মজুরি না বাড়িয়ে বসে বসে নিজের বেতন বাড়াচ্ছেন। তিন মাস আগে মজুরি বোর্ড গঠন হলো, তারা কী করে? আজ এই শ্রমিকদের মজুরি বাড়ালে অর্থনৈতিকভাবে বাজার বৃদ্ধি পাবে। আর তাই মজুরির দাবি শুধু মজুরির দাবি নয়, এটি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দাবি।
সংগঠন উত্থাপিত সাত দফা হলো– ১. মজুরি ২৫ হাজার টাকা করতে হবে, নতুন মজুরি ঘোষণার আগে এর ৬০ শতাংশ দিতে হবে; ২. পোশাক শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে সাত গ্রেড কমিয়ে পাঁচ গ্রেড করতে হবে; ৩. দ্রব্যমূল্য কমাতে অবিলম্বে বাজার নিরীক্ষণ করতে হবে ও সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে, স্থায়ীভাবে রেশনিং চালু করতে হবে, শ্রমিকদের জন্য জীবনবীমা, চিকিৎসা, শিক্ষা এবং জরুরি তহবিল নিশ্চিতে সরকার-মালিক ও বায়ারকে দারিত্ব নিতে হবে, সব পক্ষকেই শ্রমিকের সার্বিক জীবন মান উন্নয়ন প্রশ্নে জবাবদিহিতা করতে হবে;
৪. শ্রমিক ও শিল্পস্বার্থে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম কমিয়ে সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে, এ বিষয়ে মালিকদেরও ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে; ৫. সোয়েটার ও পিসরেট-এ কর্মরত শ্রমিকের কাজের আগে মজুরি নির্ধারণ ও ডাল সিজেনে পূর্ণ বেসিক দিতে হবে, সোয়েটারে তিন শিফট ও ওভারটাইম নিশ্চিত করতে হবে; ৬.বৈসম্য নয়, ইপিজেড ও ইপিজেডের বাইরে সমান হারে মূল মজুরির ১০ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট দিতে হবে, বাধ্যতামূলক প্রভিডেন্ট ফান্ড চালু করতে হবে; ৭. শ্রমিক ছাঁটাই, মিথ্যা মামলা-হামলা ও নির্বাচন বন্ধ করতে হবে।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকাল ১১টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশ করে সংগঠনটি। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করেন আন্দোলনকারীরা।
এসময় বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি সভাপতি ও সমাবেশের সভাপ্রধান তাসলিমা আখতারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বিশিষ্ট আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, ট্রেন ইউনিয়নের অন্যতম সংগঠক সোহেল রানা, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক বাবুলসহ আরও অনেকে।
তাসলিমা আক্তার বলেন, মজুরি বোর্ডের ছয় মাস মেয়াদের তিন মাস পেরিয়ে গেলেও তাদের কোনও খবর নাই। কী জন্য খবর নাই আমরা সেই প্রশ্ন করতে চাই। গার্মেন্টস শ্রমিকরা বিশ্বব্যাপী নাম করেছে। কিন্তু মালিকরা শুধু তাদের নিজেদের উন্নতি করছে। সরকারি তথ্যে আলোকে আমরা প্রতিদিন দেখছি তাদের উন্নতি। মালিকরা বিলিয়ন ডলার আয়ের স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর কথা আসলেই তারা নানান বাহানা দেন। পৃথিবীতে আমাদের শ্রমিকরা সবচেয়ে সস্তা, আমরা আর এই সস্তা শ্রমিকের পরিচয় চাই না।
তিনি আরও বলেন, এলাকায় এলাকায় পেটুয়া বাহিনী দিয়ে আন্দোলকারী শ্রমিকদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। আপনাদের বলছি, আপনারা ভয় পাবেন না। তারা হয়তো আমাদের মেরে ফেলতে পারবে, কিন্তু আমাদের দাবিকে মেরে ফেলতে পারবে না। আপনারা নিজ নিজ এলাকায় আপনাদের দাবির কথা জানিয়ে দিন। আমরা কারখানা গার্মেন্টস ভাঙচুর করে নয়, আন্দোলনের মাধ্যমে শ্রমিকদের জন্য বাঁচার মতো মজুরি ২৫ হাজার টাকা আদায় করবো।
জোনায়েদ সাকি বলেন, দেখে মনে হতে পারে এই গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতনের দাবি তাদের ব্যক্তিগত সমস্যা। কিন্তু আমাদের গভীরভাবে উপলব্ধি করতে হবে একটি দেশের মানদণ্ড নির্ভর করে তাদের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি কত তার ওপর। সাড়ে চার বছর আগের বাজার দর বিবেচনা করে সাড়ে আট হাজার করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান বাজার দরে নাভিশ্বাস উঠে যায়। যেখানে কাঁচা মরিচের দামই ৬০০ থেকে এক হাজার। তাই বর্তমানে এই বেতনে কোনোভাবে যৌক্তিক হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিকরা অতিরিক্ত শ্রম দিয়েও পুষ্টিমান সম্মৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত করতে পারেন না। আপনারা কর্তাব্যক্তিরা শ্রমিকদের মজুরি না বাড়িয়ে বসে বসে নিজের বেতন বাড়াচ্ছেন। তিন মাস আগে মজুরি বোর্ড গঠন হলো, তারা কী করে? আজ এই শ্রমিকদের মজুরি বাড়ালে অর্থনৈতিকভাবে বাজার বৃদ্ধি পাবে। আর তাই মজুরির দাবি শুধু মজুরির দাবি নয়, এটি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দাবি।
সংগঠন উত্থাপিত সাত দফা হলো– ১. মজুরি ২৫ হাজার টাকা করতে হবে, নতুন মজুরি ঘোষণার আগে এর ৬০ শতাংশ দিতে হবে; ২. পোশাক শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে সাত গ্রেড কমিয়ে পাঁচ গ্রেড করতে হবে; ৩. দ্রব্যমূল্য কমাতে অবিলম্বে বাজার নিরীক্ষণ করতে হবে ও সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে, স্থায়ীভাবে রেশনিং চালু করতে হবে, শ্রমিকদের জন্য জীবনবীমা, চিকিৎসা, শিক্ষা এবং জরুরি তহবিল নিশ্চিতে সরকার-মালিক ও বায়ারকে দারিত্ব নিতে হবে, সব পক্ষকেই শ্রমিকের সার্বিক জীবন মান উন্নয়ন প্রশ্নে জবাবদিহিতা করতে হবে;
৪. শ্রমিক ও শিল্পস্বার্থে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম কমিয়ে সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে, এ বিষয়ে মালিকদেরও ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে; ৫. সোয়েটার ও পিসরেট-এ কর্মরত শ্রমিকের কাজের আগে মজুরি নির্ধারণ ও ডাল সিজেনে পূর্ণ বেসিক দিতে হবে, সোয়েটারে তিন শিফট ও ওভারটাইম নিশ্চিত করতে হবে; ৬.বৈসম্য নয়, ইপিজেড ও ইপিজেডের বাইরে সমান হারে মূল মজুরির ১০ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট দিতে হবে, বাধ্যতামূলক প্রভিডেন্ট ফান্ড চালু করতে হবে; ৭. শ্রমিক ছাঁটাই, মিথ্যা মামলা-হামলা ও নির্বাচন বন্ধ করতে হবে।