শরীরের যত্ন না নিলে যেমন শরীর অসুস্থ হয়ে যায় ঠিক তেমনভাবেই সম্পর্কের যত্ন না নিলে সম্পর্ক সুস্থ বা পজেটিভ রাখা কঠিন। বর্তমানে একটা সম্পর্ক দীর্ঘদিন সুন্দর রাখা কঠিন হলেও অসম্ভব কিছু নয়। একটু চেষ্টা করলেই প্রেমের বা বিয়ের সম্পর্ক হতে পারে সারা জীবনের জন্য শান্তি ও আনন্দের।
ব্যক্তিগত জীবনে প্রেম বা বিয়ে নিয়ে মানুষের মনে অনেক কল্পনা থাকে। রঙ্গিন স্বপ্নের দুনিয়াতে থেকেই বেশিরভাগ মানুষ তাদের সম্পর্ককে দেখে থাকেন। তবে রিলেশন নিয়ে এই ফ্যান্টাসি আর বাস্তবতার চিত্র ভিন্ন। বাস্তবে একটা সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে রাখার জন্য অনেক ত্যাগ করতে হয়। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করাও এক্ষেত্রে সহজ হয় না। আপনি যেভাবে কল্পনা করেছেন ঠিক সেইভাবে আপনার সম্পর্কের গতি নাও চলতে পারে, এই বাস্তবতা বুঝতে পারাটা এখন খুব দরকার।
কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় না। আমরা ভুলে যাই কর্মজীবনে সফল হওয়ার পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনেও ভালো সম্পর্ক ধরে রাখা একজন মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আধুনিক যুগে সম্পর্কে সামান্য মত বিরোধ দেখা দিলেও কেউ কেউ মনে করেন বিচ্ছেদই এর একমাত্র সমাধান। তবে এটি কোনো সমাধান নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটিই সমস্যার শুরু। দীর্ঘস্থায়ী সু-সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য দুইজনকেই চেষ্টা করতে হবে সমানভাবে।
কীভাবে একটা সম্পর্ক দীর্ঘদিন ভালো রাখবেন। এমনই পাঁচটি বিষয় নিয়ে আমাদের আজকের এই আয়োজন-
১. ক্ষমা করতে শিখুন
মানুষ মাত্র ভুল হয়। একজন মানুষের ভুল হবে এটাই স্বাভাবিক। যদি হঠাৎ আপনার সঙ্গী আপনার ওপর রাগ ক্ষোভ বা বিরক্তি প্রকাশ করে অথবা এমন কোনো ভুল করে যা আপনার বিশ্বাসে আঘাত করতে সক্ষম তাহলেও তাকে ক্ষমা করার চেষ্টা করুন। আলোচনা করুন এবং ভুলগুলো নিয়ে সরাসরি কথা বলুন। তবে অভিযোগ করবেন না। দেখা গেছে, যেসব দম্পতি নিজেরা নিজেদের ভুল সহজেই ক্ষমা করতে পারে তাদের সম্পর্ক অন্যদের থেকে বেশি শক্তিশালী ও সুন্দর।
২. বাস্তববাদী হোন
একটা সম্পর্ক সবসময় এক রকম যাবে না এটা খুব স্বাভাবিক। হতে পারে সম্পর্কের শুরুতে আপনারা অনেক সময় একসঙ্গে কাটিয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন কারণে সেই সুযোগ আর পাচ্ছেন না। এতে বিরক্তিবোধ না করে বরং একজন আরেকজনকে বোঝার চেষ্টা করুন। যে সময়টাতে সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছে এমন সময়ে নিজেদের সুন্দর স্মৃতিগুলো মনে করুন। এতে করে ধৈর্য্য শক্তি বাড়বে এবং সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখার ইচ্ছা বজায় থাকবে।
৩. উৎসব পালনে গুরুত্ব দিন
বিভিন্ন ছুটির দিনগুলোতে সঙ্গীকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। বিভিন্ন উৎসবের দিনে একসঙ্গে ঘুরতে বা খেতে যেতে পারেন। বাসায় থেকেও নিজেদের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো যেতে পারে। ছুটির দিনে একসঙ্গে ঘরের কাজ করা বা একটু একান্তে সময় কাটানো আপনাদের সম্পর্ককে আরও বেশি ভালো করে তুলতে সক্ষম।
৪. একে অপরের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন
আপনার সঙ্গী যখন আপনাকে কিছু বলার বা বোঝানোর চেষ্টা করছে তখন তা মনোযোগ দিয়ে শোনার চেষ্টা করুন। আপনার ইচ্ছা না থাকলেও তাকে তখন কোনোভাবেই এড়িয়ে যাবেন না। হঠাৎ করে তাকে থামিয়ে দেওয়া বা কথাটিতে গুরুত্ব না দেওয়া আপনাদের ছোট ছোট সমস্যাগুলোকে মারাত্মক আকার দিতে পারে। একে অপরের কথায় গুরুত্ব দিলে সহজেই জটিলতাগুলোর সমাধান সম্ভব হয়।
৫. সৎ হোন
একটি সম্পর্কে সৎ থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সম্পর্কে মিথ্যা বা গোপনীয়তা থাকলে সেই সম্পর্ক দুর্বল হয়ে যায়। সম্পর্কে সব সময় স্বচ্ছতা রাখতে হবে। একে অপরের সমস্যাগুলো গোপন না করে বরং খোলামেলা আলোচনা করা ভালো। ছোট বড় বিভিন্ন বিষয় গোপন না করে নিজেদের অনুভূতি কাজ বা ইচ্ছাগুলো নিয়ে কথা বলা ভালো। এতে সম্পর্কে আস্থা বিশ্বাস থাকে এবং একে অপরের আরও বিশ্বস্ত হয়ে ওঠা যায়। সম্পর্ক দীর্ঘদিন ভালো রাখার জন্য এটাও একটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৌশল যা আপনাকে আপনার ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে দীর্ঘদিন ভালো থাকতে সাহায্য করবে।
ব্যক্তিগত জীবনে প্রেম বা বিয়ে নিয়ে মানুষের মনে অনেক কল্পনা থাকে। রঙ্গিন স্বপ্নের দুনিয়াতে থেকেই বেশিরভাগ মানুষ তাদের সম্পর্ককে দেখে থাকেন। তবে রিলেশন নিয়ে এই ফ্যান্টাসি আর বাস্তবতার চিত্র ভিন্ন। বাস্তবে একটা সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে রাখার জন্য অনেক ত্যাগ করতে হয়। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করাও এক্ষেত্রে সহজ হয় না। আপনি যেভাবে কল্পনা করেছেন ঠিক সেইভাবে আপনার সম্পর্কের গতি নাও চলতে পারে, এই বাস্তবতা বুঝতে পারাটা এখন খুব দরকার।
কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় না। আমরা ভুলে যাই কর্মজীবনে সফল হওয়ার পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনেও ভালো সম্পর্ক ধরে রাখা একজন মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আধুনিক যুগে সম্পর্কে সামান্য মত বিরোধ দেখা দিলেও কেউ কেউ মনে করেন বিচ্ছেদই এর একমাত্র সমাধান। তবে এটি কোনো সমাধান নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটিই সমস্যার শুরু। দীর্ঘস্থায়ী সু-সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য দুইজনকেই চেষ্টা করতে হবে সমানভাবে।
কীভাবে একটা সম্পর্ক দীর্ঘদিন ভালো রাখবেন। এমনই পাঁচটি বিষয় নিয়ে আমাদের আজকের এই আয়োজন-
১. ক্ষমা করতে শিখুন
মানুষ মাত্র ভুল হয়। একজন মানুষের ভুল হবে এটাই স্বাভাবিক। যদি হঠাৎ আপনার সঙ্গী আপনার ওপর রাগ ক্ষোভ বা বিরক্তি প্রকাশ করে অথবা এমন কোনো ভুল করে যা আপনার বিশ্বাসে আঘাত করতে সক্ষম তাহলেও তাকে ক্ষমা করার চেষ্টা করুন। আলোচনা করুন এবং ভুলগুলো নিয়ে সরাসরি কথা বলুন। তবে অভিযোগ করবেন না। দেখা গেছে, যেসব দম্পতি নিজেরা নিজেদের ভুল সহজেই ক্ষমা করতে পারে তাদের সম্পর্ক অন্যদের থেকে বেশি শক্তিশালী ও সুন্দর।
২. বাস্তববাদী হোন
একটা সম্পর্ক সবসময় এক রকম যাবে না এটা খুব স্বাভাবিক। হতে পারে সম্পর্কের শুরুতে আপনারা অনেক সময় একসঙ্গে কাটিয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন কারণে সেই সুযোগ আর পাচ্ছেন না। এতে বিরক্তিবোধ না করে বরং একজন আরেকজনকে বোঝার চেষ্টা করুন। যে সময়টাতে সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছে এমন সময়ে নিজেদের সুন্দর স্মৃতিগুলো মনে করুন। এতে করে ধৈর্য্য শক্তি বাড়বে এবং সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখার ইচ্ছা বজায় থাকবে।
৩. উৎসব পালনে গুরুত্ব দিন
বিভিন্ন ছুটির দিনগুলোতে সঙ্গীকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। বিভিন্ন উৎসবের দিনে একসঙ্গে ঘুরতে বা খেতে যেতে পারেন। বাসায় থেকেও নিজেদের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো যেতে পারে। ছুটির দিনে একসঙ্গে ঘরের কাজ করা বা একটু একান্তে সময় কাটানো আপনাদের সম্পর্ককে আরও বেশি ভালো করে তুলতে সক্ষম।
৪. একে অপরের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন
আপনার সঙ্গী যখন আপনাকে কিছু বলার বা বোঝানোর চেষ্টা করছে তখন তা মনোযোগ দিয়ে শোনার চেষ্টা করুন। আপনার ইচ্ছা না থাকলেও তাকে তখন কোনোভাবেই এড়িয়ে যাবেন না। হঠাৎ করে তাকে থামিয়ে দেওয়া বা কথাটিতে গুরুত্ব না দেওয়া আপনাদের ছোট ছোট সমস্যাগুলোকে মারাত্মক আকার দিতে পারে। একে অপরের কথায় গুরুত্ব দিলে সহজেই জটিলতাগুলোর সমাধান সম্ভব হয়।
৫. সৎ হোন
একটি সম্পর্কে সৎ থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সম্পর্কে মিথ্যা বা গোপনীয়তা থাকলে সেই সম্পর্ক দুর্বল হয়ে যায়। সম্পর্কে সব সময় স্বচ্ছতা রাখতে হবে। একে অপরের সমস্যাগুলো গোপন না করে বরং খোলামেলা আলোচনা করা ভালো। ছোট বড় বিভিন্ন বিষয় গোপন না করে নিজেদের অনুভূতি কাজ বা ইচ্ছাগুলো নিয়ে কথা বলা ভালো। এতে সম্পর্কে আস্থা বিশ্বাস থাকে এবং একে অপরের আরও বিশ্বস্ত হয়ে ওঠা যায়। সম্পর্ক দীর্ঘদিন ভালো রাখার জন্য এটাও একটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৌশল যা আপনাকে আপনার ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে দীর্ঘদিন ভালো থাকতে সাহায্য করবে।