মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, চকরিয়া থেকে: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিচ্ছিন্ন দুর্গম খুটাখালীর ছিলখালি এলাকায় র্যাব-১৫ অভিযান চালিয়ে ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ বুলেট/কার্তুজ, সেনাবাহিনীর নকল ইউনিফর্ম, অত্যাধুনিক বাইনোকুলার ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারসহ ডাকাত দলের কাছে অস্ত্র ভাড়াদানকারী চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।
চকরিয়া ও মহেশখালী থানাসহ উপকূলবর্তী বিভিন্ন এলাকায় সশস্ত্র ডাকাত দলের নিয়মিত তৎপরতার প্রেক্ষিতে র্যাব-১৫, সশস্ত্র ডাকাত দলের সাথে জড়িত অপরাধীদেরকে গ্রেপ্তার প্রচেষ্টার পাশাপাশি তাদের অস্ত্রের উৎস খুঁজে বের করতে অনুসন্ধানে নামে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫ জানতে পারে যে, চকরিয়া থানার স্থল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দুর্গম খুটাখালীর ছিলখালির ঘরবসতিহীন সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় অবস্থান করে একটি চক্র টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ডাকাত দলের নিকট আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী নিয়মিত ভাড়া দিয়ে থাকে। আরো জানা যায় যে, এক ঘন্টার পায়ে হাটা পথ ব্যতীত সেখানে যাওয়ার আর কোন স্থলপথ নেই। আশেপাশে ১/২ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে অপরিচিত কোনো মানুষ ঢুকলেই ডাকাতদের নিযুক্ত চেকারদের মাধ্যমে তাদের কাছে তথ্য চলে যায় এবং তখন তারা গা ঢাকা দিয়ে দেয়।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে র্যাব-১৫, কক্সবাজারের সিপিএসসির একটি চৌকস আভিধানিক দল উক্ত চক্রটিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে একটু ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে গত ০৬ জুলাই রাতে লবণের বড় নৌকার পাটাতনে লুকিয়ে ডাকাতদের সেই আস্তানার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। একপর্যায়ে সংযুক্ত একটি ছোট খালের মাধ্যমে আস্তানার একেবারে নিকটবর্তী হয়ে কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই র্যাবের আভিধানিক দল নৌকা থেকে নেমে সেখানে অতর্কিত অভিযান শুরু করে। উপস্থিত দুষ্কৃতকারীরা সশস্ত্র অবস্থায় থাকলেও পরিস্থিতির আকস্মিকতায় ও র্যাব সদস্যদের এরূপ কৌশলী অবস্থানের কারণে গুলি ছোড়ার কোন সুযোগ পায়নি। এ সময় চক্রটির ০৭ অস্ত্রধারী সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব। উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ধৃত ব্যক্তিদের ও তাদের আস্তানা তল্লাশি করে ২টি ওয়ান শুটার এক নলা বন্দুক, ১টি ওয়ান শুটার কাটা রাইফেল, ১টি ওয়ান শুটার রাইফেল (এলজি), ১টি এয়ার রাইফেল/গান, ২ রাউন্ড মেশিনগানের (এমজি) বুলেট, ১০ রাউন্ড রাইফেলের বুলেট, ১১ রাউন্ড ১২ বোর কার্তুজ, ৮৯ রাউন্ড এয়ার রাইফেল বল, ১টি বড় রামদা, ১ সেট সেনাবাহিনীর ভুয়া ইউনিফর্ম, ১টি বাইনোকুলার, ৮টি মোবাইল ফোন এবং ১০টি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের পরিচয় হল কক্সবাজারের চকরিয়ায় নলবনিয়া এলাকার মৃত ছিদ্দিক আহমদের পুত্র খায়রুল আমিন(৪৩),কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার মধ্যম শিয়াপাড়া এলাকার মৃত আবদু সত্তারের পুত্র মাহাবুব তৈয়ব( (৬৪),বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজ নগর এলাকার মৃত নজরুল মিয়ার পুত্র নুর ইসলাম(৫০),কক্সবাজারের চকরিয়ার দরগাহ পাড়ার মৃত ডা: আব্দুল মোতালিবের পুত্র আবদুল হালিম,কক্সবাজারের চকরিয়ার খুটাখালীর দক্ষিণ মেধাকচ্ছাপিয়া শান্তিবাজার এলাকার মৃত আবদু শুক্কুরের পুত্র জুলফিকার আলী ভুট্টু(৪৮),কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পূর্ব হাজী পাড়া এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের পুত্র মোহাম্মদ সেলিম (২৮) এবং কক্সবাজারের চকরিয়ার উপজেলার গর্জনিয়া এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের পুত্র শাহাব উদ্দিন(২৮)।
শনিবার (৮ জুলাই) বিকালে কক্সবাজার র্যাব ১৫ এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপরোক্ত তথ্য জানানো হয়।
আটককৃত চক্রটি জানায়, তারা আটককৃত আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইউনিফর্মের আদলে তৈরি নকল ইউনিফর্ম, দেশীয় অস্ত্র এবং অন্যান্য সামগ্রী মূলত বিভিন্ন ডাকাতদলের নিকট বিক্রয় এবং ক্ষেত্রবিশেষ ভাড়ায় প্রদান করে থাকে। এছাড়াও উদ্ধারকৃত মোবাইল ও সিম ব্যবহার করে ক্রেতা ও ভাড়া গ্রহনকারীদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করে আসছে বলে জানা যায়। উদ্ধারকৃত অস্ত্র-গোলাবারুদ ও অন্যান্য আলামতসহ ধৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে ।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আবদুল জব্বার বলেন,গ্রেফতারকৃত ৭ ব্যক্তিকে আদলতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
চকরিয়া ও মহেশখালী থানাসহ উপকূলবর্তী বিভিন্ন এলাকায় সশস্ত্র ডাকাত দলের নিয়মিত তৎপরতার প্রেক্ষিতে র্যাব-১৫, সশস্ত্র ডাকাত দলের সাথে জড়িত অপরাধীদেরকে গ্রেপ্তার প্রচেষ্টার পাশাপাশি তাদের অস্ত্রের উৎস খুঁজে বের করতে অনুসন্ধানে নামে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫ জানতে পারে যে, চকরিয়া থানার স্থল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দুর্গম খুটাখালীর ছিলখালির ঘরবসতিহীন সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় অবস্থান করে একটি চক্র টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ডাকাত দলের নিকট আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী নিয়মিত ভাড়া দিয়ে থাকে। আরো জানা যায় যে, এক ঘন্টার পায়ে হাটা পথ ব্যতীত সেখানে যাওয়ার আর কোন স্থলপথ নেই। আশেপাশে ১/২ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে অপরিচিত কোনো মানুষ ঢুকলেই ডাকাতদের নিযুক্ত চেকারদের মাধ্যমে তাদের কাছে তথ্য চলে যায় এবং তখন তারা গা ঢাকা দিয়ে দেয়।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে র্যাব-১৫, কক্সবাজারের সিপিএসসির একটি চৌকস আভিধানিক দল উক্ত চক্রটিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে একটু ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে গত ০৬ জুলাই রাতে লবণের বড় নৌকার পাটাতনে লুকিয়ে ডাকাতদের সেই আস্তানার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। একপর্যায়ে সংযুক্ত একটি ছোট খালের মাধ্যমে আস্তানার একেবারে নিকটবর্তী হয়ে কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই র্যাবের আভিধানিক দল নৌকা থেকে নেমে সেখানে অতর্কিত অভিযান শুরু করে। উপস্থিত দুষ্কৃতকারীরা সশস্ত্র অবস্থায় থাকলেও পরিস্থিতির আকস্মিকতায় ও র্যাব সদস্যদের এরূপ কৌশলী অবস্থানের কারণে গুলি ছোড়ার কোন সুযোগ পায়নি। এ সময় চক্রটির ০৭ অস্ত্রধারী সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব। উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ধৃত ব্যক্তিদের ও তাদের আস্তানা তল্লাশি করে ২টি ওয়ান শুটার এক নলা বন্দুক, ১টি ওয়ান শুটার কাটা রাইফেল, ১টি ওয়ান শুটার রাইফেল (এলজি), ১টি এয়ার রাইফেল/গান, ২ রাউন্ড মেশিনগানের (এমজি) বুলেট, ১০ রাউন্ড রাইফেলের বুলেট, ১১ রাউন্ড ১২ বোর কার্তুজ, ৮৯ রাউন্ড এয়ার রাইফেল বল, ১টি বড় রামদা, ১ সেট সেনাবাহিনীর ভুয়া ইউনিফর্ম, ১টি বাইনোকুলার, ৮টি মোবাইল ফোন এবং ১০টি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের পরিচয় হল কক্সবাজারের চকরিয়ায় নলবনিয়া এলাকার মৃত ছিদ্দিক আহমদের পুত্র খায়রুল আমিন(৪৩),কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার মধ্যম শিয়াপাড়া এলাকার মৃত আবদু সত্তারের পুত্র মাহাবুব তৈয়ব( (৬৪),বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজ নগর এলাকার মৃত নজরুল মিয়ার পুত্র নুর ইসলাম(৫০),কক্সবাজারের চকরিয়ার দরগাহ পাড়ার মৃত ডা: আব্দুল মোতালিবের পুত্র আবদুল হালিম,কক্সবাজারের চকরিয়ার খুটাখালীর দক্ষিণ মেধাকচ্ছাপিয়া শান্তিবাজার এলাকার মৃত আবদু শুক্কুরের পুত্র জুলফিকার আলী ভুট্টু(৪৮),কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পূর্ব হাজী পাড়া এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের পুত্র মোহাম্মদ সেলিম (২৮) এবং কক্সবাজারের চকরিয়ার উপজেলার গর্জনিয়া এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের পুত্র শাহাব উদ্দিন(২৮)।
শনিবার (৮ জুলাই) বিকালে কক্সবাজার র্যাব ১৫ এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপরোক্ত তথ্য জানানো হয়।
আটককৃত চক্রটি জানায়, তারা আটককৃত আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইউনিফর্মের আদলে তৈরি নকল ইউনিফর্ম, দেশীয় অস্ত্র এবং অন্যান্য সামগ্রী মূলত বিভিন্ন ডাকাতদলের নিকট বিক্রয় এবং ক্ষেত্রবিশেষ ভাড়ায় প্রদান করে থাকে। এছাড়াও উদ্ধারকৃত মোবাইল ও সিম ব্যবহার করে ক্রেতা ও ভাড়া গ্রহনকারীদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করে আসছে বলে জানা যায়। উদ্ধারকৃত অস্ত্র-গোলাবারুদ ও অন্যান্য আলামতসহ ধৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে ।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আবদুল জব্বার বলেন,গ্রেফতারকৃত ৭ ব্যক্তিকে আদলতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।