নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার মুখে পড়েন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দুর্ঘটনার নতুন তথ্য দিয়েছেন তিনি। মমতা বলেন, আর তিরিশ সেকেন্ড দেরি হলে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হতে পারত। কোনোভাবে তিনি রক্ষা পেয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, কয়েকদিন আগে ভোট প্রচারে গিয়ে দুর্যোগের কবলে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার। এতে পায়ে ও কোমরে আঘাত পান তিনি। বাড়িতেই তার চিকিৎসা চলে। ফলে সোমবার (৪ জুলাই) বীরভূমের দুবরাজপুরে সভা করার কথা থাকলেও সেখানে আসতে পারেননি মমতা। তবে সারদা ময়দানে নির্বাচনী সভায় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভাষণ দেন তিনি।
পঞ্চায়েতের প্রচারেও বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি, জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের পাশেই দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। একই দিনে গোঘাটের বদনগঞ্জে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ফোন মারফত ভাষণে পঞ্চায়েত ভোটে দলীয় প্রার্থীদের জেতানোর আবেদন করেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘গত বিধানসভা ভোটে আপনারা ভুল করেছিলেন। তা সত্ত্বেও প্রত্যেকের জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যকাথী কার্ড, বাধর্ক্য ভাতা, বিধবা ভাতা করে দিয়েছি।’’
বীরভূমে ভিডিও কলে তিনি বলেন, আমি এমনি ঠিক আছি। তবে আমার কোমরে আর পায়ে চোট আছে। আর ৩০ সেকেন্ড হলেই হেলিকপ্টারটা ক্র্যাশ হয়ে যেত, নষ্ট হয়ে যেত! এই অবস্থায় আপনাদের আর্শীবাদ ও দোয়ায় কোনো রকমে প্রাণে বেঁচেছি। দুর্ঘটনা হলে যে মানুষটা মরে যেতে পারত, তার সম্পর্কেও বিরোধীরা অপপ্রচার করছে! আমি বিচার চাইব জনগণের কাছে।’’
তিনি জানান, তার সুস্থ হতে আরও ৭ থেকে ৮ দিন লাগবে। দু’একটা ছোট অস্ত্রোপচার করাতে হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে হয়তো আপনাদের কাছে গিয়ে পৌঁছতে পারছি না। কিন্তু মন ছটফট করছে। যেতে না পারলেও আপনারা যখন পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করবেন, নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে থাকব।’’ শরীর খারাপ থাকলেও মুখ্যমন্ত্রীর এ দিনের বক্তৃতা ছিল চড়া সুরে বাঁধা।
মমতা জেলবন্দি অনুব্রতের কথাও বলেছেন। জেলা সভাপতির পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কেষ্ট আজকে নেই। কিন্তু কেষ্ট আমাদের সকলেরই ঘরের ছেলে। ওকে ইচ্ছে করে ফাঁসানো হয়েছে। ওর মেয়েকে পর্যন্ত আটকে রেখে দেওয়া হয়েছে।’’ মমতার বলেন, ‘‘অন্যায় করলে আদালতে প্রমাণ করুন। প্রমাণ করতে পারছে না। শুধু বিনা বিচারে আটকে রেখেছে। ও যাতে তৃণমূল বা পঞ্চায়েত করতে না পারে।’’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, কয়েকদিন আগে ভোট প্রচারে গিয়ে দুর্যোগের কবলে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার। এতে পায়ে ও কোমরে আঘাত পান তিনি। বাড়িতেই তার চিকিৎসা চলে। ফলে সোমবার (৪ জুলাই) বীরভূমের দুবরাজপুরে সভা করার কথা থাকলেও সেখানে আসতে পারেননি মমতা। তবে সারদা ময়দানে নির্বাচনী সভায় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভাষণ দেন তিনি।
পঞ্চায়েতের প্রচারেও বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি, জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের পাশেই দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। একই দিনে গোঘাটের বদনগঞ্জে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ফোন মারফত ভাষণে পঞ্চায়েত ভোটে দলীয় প্রার্থীদের জেতানোর আবেদন করেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘গত বিধানসভা ভোটে আপনারা ভুল করেছিলেন। তা সত্ত্বেও প্রত্যেকের জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যকাথী কার্ড, বাধর্ক্য ভাতা, বিধবা ভাতা করে দিয়েছি।’’
বীরভূমে ভিডিও কলে তিনি বলেন, আমি এমনি ঠিক আছি। তবে আমার কোমরে আর পায়ে চোট আছে। আর ৩০ সেকেন্ড হলেই হেলিকপ্টারটা ক্র্যাশ হয়ে যেত, নষ্ট হয়ে যেত! এই অবস্থায় আপনাদের আর্শীবাদ ও দোয়ায় কোনো রকমে প্রাণে বেঁচেছি। দুর্ঘটনা হলে যে মানুষটা মরে যেতে পারত, তার সম্পর্কেও বিরোধীরা অপপ্রচার করছে! আমি বিচার চাইব জনগণের কাছে।’’
তিনি জানান, তার সুস্থ হতে আরও ৭ থেকে ৮ দিন লাগবে। দু’একটা ছোট অস্ত্রোপচার করাতে হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে হয়তো আপনাদের কাছে গিয়ে পৌঁছতে পারছি না। কিন্তু মন ছটফট করছে। যেতে না পারলেও আপনারা যখন পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করবেন, নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে থাকব।’’ শরীর খারাপ থাকলেও মুখ্যমন্ত্রীর এ দিনের বক্তৃতা ছিল চড়া সুরে বাঁধা।
মমতা জেলবন্দি অনুব্রতের কথাও বলেছেন। জেলা সভাপতির পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কেষ্ট আজকে নেই। কিন্তু কেষ্ট আমাদের সকলেরই ঘরের ছেলে। ওকে ইচ্ছে করে ফাঁসানো হয়েছে। ওর মেয়েকে পর্যন্ত আটকে রেখে দেওয়া হয়েছে।’’ মমতার বলেন, ‘‘অন্যায় করলে আদালতে প্রমাণ করুন। প্রমাণ করতে পারছে না। শুধু বিনা বিচারে আটকে রেখেছে। ও যাতে তৃণমূল বা পঞ্চায়েত করতে না পারে।’’