আল-আমিন হোসেন: চুয়াডাঙ্গার চন্দ্রবাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একটি নির্দিষ্ট দোকানে প্রতিদিনই মানুষের উপচে পড়া ভিড় লেগেই থাকে । প্রথমে কেউ দেখলেই মনে করবে এখানে কোন বিষয় নিয়ে জটলা বেঁধেছে। কিন্তু এরকম কিছুই না, কাছে যেয়ে খেয়াল করলেই দেখা যায় একটি দোকানে পেঁয়াজু বড়াভাজার ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য এতো মানুষের সমাগম।
বলছি, চুয়াডাঙ্গা জেলার, দামুড়হুদা উপজেলার, নাটুদা ইউনিয়নের, চন্দ্রবাস গ্রামের মৃত আব্দুল সাত্তারের ছেলে, রশিদুল ইসলাম ও মফিজুল দুই ভায়ের রাস্তার পাশে গড়ে তোলা পিঁয়াজু বড়ার দোকানের কথা।এই দোকানে তৈরি হচ্ছে দুই থেকে চার কেজি ওজনের পিঁয়াজু বড়া। স্বাধে গন্ধে অতুলনীয়, আকারে বড় হওয়ায় ক্রেতাকে সহজেই আকৃষ্ট করে তোলে।৪ কেজি ওজনের পেঁয়াজু বড়ার প্রেমে মোহিত হয়ে চুয়াডাঙ্গা ছাড়াও এর আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে লোক আসে এই বড়ার স্বাদ গ্রহণ করার জন্য। কেওবা আবার আসে পরিবার, অথবা আত্মীয় স্বজনের জন্য পেঁয়াজু কিনে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
মালিক পক্ষ থেকে জানা যায়, প্রতিদিন দুই ভাইয়ের দোকানে ১৪০ থেকে ১৫০ কেজি পেঁয়াজু বিক্রি হয় । সাপ্তাহিক হাটের দিন ২০০ থেকে ২৫০ কেজি পর্যন্ত বেচা-বিক্রি হয় বলেও জানিয়েছেন এই দুই ভাই ।
তারা আরো জানায় আগে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হতো, জিনিসপত্র ও কর্মচারীর বেতন বৃদ্ধির কারণে পরে ২৫০ টাকা করতাম,কিন্তু এখন পিয়াজ ও তেলের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় বাধ্য হয়ে ৩০০ টাকা কেজি পিয়াজু বড়া বিক্রি করতে হচ্ছে।
রশিদুলের দোকানে পেঁয়াজু খেতে খেতে কথা হয় এক ক্রেতার সাথে তিনি বলেন, ঈদুল আজহা পরের দিন আমরা পরিবার মিলে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলায় অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের আটচালা ঘর দেখতে এসেছিলাম কিন্তু ইতিমধ্যে চন্দ্রবাস বাজারে পৌঁছানোর পরে দেখি অনেক মানুষের ভিড় আমরা দাঁড়িয়ে পরি এবং এসে দেখি বিশাল আকৃতির পিয়াজু তৈরি হচ্ছে।৪ কেজি ওজনের পিঁয়াজু দেখে কৌতুহল মনে হলো তাৎক্ষণিক কিনে খাওয়া শুরু করলাম পরিবার সাথে করে। ৪ কেজি ওজনের বড়া দেখতে দেখতে শেষ হয়ে গেল, খেতে সুস্বাদু ও অনেক মজাদার।
আলমডাঙ্গা থেকে আসা রাজিব বলেন, পেঁয়াজু খেয়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এত দূর থেকে আসা সার্থক হয়েছে। পেঁয়াজুর এত স্বাদ এর আগে আমি আর কোথাও পাইনি।’
দোকানের মালিক রশিদুল বলেন, ২৫ বছর আগে পেঁয়াজু বিক্রি শুরু করি। নিজে নিজেই এত বড় পিয়াজু বানানোর আইডিয়া পেয়েছি। আমার পেঁয়াজুর বিশেষত্ব হলো পেঁয়াজের সঙ্গে অল্প বেসন, কাঁচা মরিচ, ধনিয়া পাতা এবং বিশুদ্ধ সয়াবিন তেল। পুরনো তেল দিয়ে কখনোই পেঁয়াজু ভাজি না। কাজেই আমার এই পেঁয়াজু খাইলে পেটে কোন গ্যাস বা সমস্যা হয় না। কাছেই একবার একটি মানুষ খাইলে ২য় বার আবার খাইতে আসে। এই পিয়াজুর স্বাদ বৃদ্ধি করার জন্য আমাদের নিজস্ব তৈরি কিছু মসলা ব্যবহার করে থাকি। আমার পিঁয়াজু বড়ার দোকানে কেউ যদি ৫ টাকার বড়া কিনতে আসে তাও বিক্রি করি।
তিনি আরও বলেন, ‘পেঁয়াজুর সুনাম ছড়িয়ে পড়ায় এখন প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪০থেকে ৫০ হাজার টাকার বেচাকেনা হয়। এই পিঁয়াজু বিক্রি করেই, বোনদের বিয়ে দিয়েছি, বাড়ি ঘর করেছি এবং আল্লাহর রহমতে খুব সুন্দর চলছে আমার সংসার ।
বলছি, চুয়াডাঙ্গা জেলার, দামুড়হুদা উপজেলার, নাটুদা ইউনিয়নের, চন্দ্রবাস গ্রামের মৃত আব্দুল সাত্তারের ছেলে, রশিদুল ইসলাম ও মফিজুল দুই ভায়ের রাস্তার পাশে গড়ে তোলা পিঁয়াজু বড়ার দোকানের কথা।এই দোকানে তৈরি হচ্ছে দুই থেকে চার কেজি ওজনের পিঁয়াজু বড়া। স্বাধে গন্ধে অতুলনীয়, আকারে বড় হওয়ায় ক্রেতাকে সহজেই আকৃষ্ট করে তোলে।৪ কেজি ওজনের পেঁয়াজু বড়ার প্রেমে মোহিত হয়ে চুয়াডাঙ্গা ছাড়াও এর আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে লোক আসে এই বড়ার স্বাদ গ্রহণ করার জন্য। কেওবা আবার আসে পরিবার, অথবা আত্মীয় স্বজনের জন্য পেঁয়াজু কিনে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
মালিক পক্ষ থেকে জানা যায়, প্রতিদিন দুই ভাইয়ের দোকানে ১৪০ থেকে ১৫০ কেজি পেঁয়াজু বিক্রি হয় । সাপ্তাহিক হাটের দিন ২০০ থেকে ২৫০ কেজি পর্যন্ত বেচা-বিক্রি হয় বলেও জানিয়েছেন এই দুই ভাই ।
তারা আরো জানায় আগে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হতো, জিনিসপত্র ও কর্মচারীর বেতন বৃদ্ধির কারণে পরে ২৫০ টাকা করতাম,কিন্তু এখন পিয়াজ ও তেলের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় বাধ্য হয়ে ৩০০ টাকা কেজি পিয়াজু বড়া বিক্রি করতে হচ্ছে।
রশিদুলের দোকানে পেঁয়াজু খেতে খেতে কথা হয় এক ক্রেতার সাথে তিনি বলেন, ঈদুল আজহা পরের দিন আমরা পরিবার মিলে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলায় অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের আটচালা ঘর দেখতে এসেছিলাম কিন্তু ইতিমধ্যে চন্দ্রবাস বাজারে পৌঁছানোর পরে দেখি অনেক মানুষের ভিড় আমরা দাঁড়িয়ে পরি এবং এসে দেখি বিশাল আকৃতির পিয়াজু তৈরি হচ্ছে।৪ কেজি ওজনের পিঁয়াজু দেখে কৌতুহল মনে হলো তাৎক্ষণিক কিনে খাওয়া শুরু করলাম পরিবার সাথে করে। ৪ কেজি ওজনের বড়া দেখতে দেখতে শেষ হয়ে গেল, খেতে সুস্বাদু ও অনেক মজাদার।
আলমডাঙ্গা থেকে আসা রাজিব বলেন, পেঁয়াজু খেয়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এত দূর থেকে আসা সার্থক হয়েছে। পেঁয়াজুর এত স্বাদ এর আগে আমি আর কোথাও পাইনি।’
দোকানের মালিক রশিদুল বলেন, ২৫ বছর আগে পেঁয়াজু বিক্রি শুরু করি। নিজে নিজেই এত বড় পিয়াজু বানানোর আইডিয়া পেয়েছি। আমার পেঁয়াজুর বিশেষত্ব হলো পেঁয়াজের সঙ্গে অল্প বেসন, কাঁচা মরিচ, ধনিয়া পাতা এবং বিশুদ্ধ সয়াবিন তেল। পুরনো তেল দিয়ে কখনোই পেঁয়াজু ভাজি না। কাজেই আমার এই পেঁয়াজু খাইলে পেটে কোন গ্যাস বা সমস্যা হয় না। কাছেই একবার একটি মানুষ খাইলে ২য় বার আবার খাইতে আসে। এই পিয়াজুর স্বাদ বৃদ্ধি করার জন্য আমাদের নিজস্ব তৈরি কিছু মসলা ব্যবহার করে থাকি। আমার পিঁয়াজু বড়ার দোকানে কেউ যদি ৫ টাকার বড়া কিনতে আসে তাও বিক্রি করি।
তিনি আরও বলেন, ‘পেঁয়াজুর সুনাম ছড়িয়ে পড়ায় এখন প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪০থেকে ৫০ হাজার টাকার বেচাকেনা হয়। এই পিঁয়াজু বিক্রি করেই, বোনদের বিয়ে দিয়েছি, বাড়ি ঘর করেছি এবং আল্লাহর রহমতে খুব সুন্দর চলছে আমার সংসার ।