ঈদুল আজহাকে ঘিরে যশোরে দুটি আলোচনায় আসা বিশাল আকারের ‘রাজাবাবু’ হাঁকানো দামের অর্ধেকে বিক্রি হলেও ‘ভাইজান’ নামে অন্য গরুটি বিক্রি হয়নি। ৩০ মণের রাজাবাবু ১৫ লাখ হাঁকালেও বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৬ লাখে। এত কম দামে গরুটি বিক্রি করে হতাশ মালিক। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বড় গরু প্রস্তুত না করার। যশোর সদর উপজেলার সীতারামপুর গ্রামের কাজল হোসেনের খামারে ৩৭টি গরুর মধ্যে সবথেকে বড় গরু ছিল এটি।
গেল ঈদে তার খামার থেকে ৬টি গরু বিক্রি হলেও বড় গরুটি বিক্রির জন্য কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা পাননি কাজল হোসেন। বর্তমানে গরুটির পেছনে দৈনিক ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। ‘ভাইজানের’ মালিক কাজল হোসেন বলেন, ভাইজানকে কেনার উদ্দেশ্যে যশোরের বাইরে থেকে বড় কোনো পার্টি আসেনি। যেসব ক্রেতারা এসেছে তারা সর্বোচ্চ ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত বলেছে। কোনো ক্রেতা যদি ১৩/১৪ লাখ বলতো তাহলে ছেড়ে দিতাম।
তিনি আরও বলেন, চার বছর ধরে ভাইজানকে লালন-পালন করেছি। অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে। এখন কাঙ্ক্ষিত মূল্যে বিক্রি করতে না পারলে বড় ধরনের লোকসান হবে। এতো বড় গরু হাটে তোলা সম্ভব নয় এজন্য বাড়ি থেকে বিক্রি হবে বলে আশা করেছিলাম। এখন লোকসান হলেও কিছু করার নেই, আগামী বছরের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
কাজল হোসেন জানান, বিশালদেহী গরুটিকে প্রাকৃতিক খাবার কাঁচা ঘাস, মোটা গমের ভুষি, আটা সয়াবিনের খৈল, রাইস পালিশ, ভুট্টার গুড়ো ইত্যাদি খাইয়ে লালন-পালন করা হয়েছে। বর্তমানে ভাইজানের উচ্চতা পেছনের অংশে ৬৫-৬৭ ইঞ্চি, সামনের অংশে ৭১-৭২ ইঞ্চি এবং লম্বায় ১০ ফিটেরও বেশি। সামনের কেরবানির ঈদে ভাইজানকে বিক্রয় করা হবে। তবে নতুন করে এখনও দাম বলেননি খামারি কাজল হোসেন। ক্রেতারা বাড়ি থেকে সরাসরি দেখে দাম করবেন বলে এই মুহূর্তে দাম হাঁকাতে ইচ্ছুক নন কাজল হোসেন।
এদিকে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, এবারের কোরবানিকে ঘিরে এ জেলায় ৩১ হাজার গরু প্রস্তুত করা হয়েছিল। তবে কী পরিমাণ গরু বিক্রি হয়েছে, সেই হিসাব নেই।
গেল ঈদে তার খামার থেকে ৬টি গরু বিক্রি হলেও বড় গরুটি বিক্রির জন্য কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা পাননি কাজল হোসেন। বর্তমানে গরুটির পেছনে দৈনিক ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। ‘ভাইজানের’ মালিক কাজল হোসেন বলেন, ভাইজানকে কেনার উদ্দেশ্যে যশোরের বাইরে থেকে বড় কোনো পার্টি আসেনি। যেসব ক্রেতারা এসেছে তারা সর্বোচ্চ ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত বলেছে। কোনো ক্রেতা যদি ১৩/১৪ লাখ বলতো তাহলে ছেড়ে দিতাম।
তিনি আরও বলেন, চার বছর ধরে ভাইজানকে লালন-পালন করেছি। অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে। এখন কাঙ্ক্ষিত মূল্যে বিক্রি করতে না পারলে বড় ধরনের লোকসান হবে। এতো বড় গরু হাটে তোলা সম্ভব নয় এজন্য বাড়ি থেকে বিক্রি হবে বলে আশা করেছিলাম। এখন লোকসান হলেও কিছু করার নেই, আগামী বছরের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
কাজল হোসেন জানান, বিশালদেহী গরুটিকে প্রাকৃতিক খাবার কাঁচা ঘাস, মোটা গমের ভুষি, আটা সয়াবিনের খৈল, রাইস পালিশ, ভুট্টার গুড়ো ইত্যাদি খাইয়ে লালন-পালন করা হয়েছে। বর্তমানে ভাইজানের উচ্চতা পেছনের অংশে ৬৫-৬৭ ইঞ্চি, সামনের অংশে ৭১-৭২ ইঞ্চি এবং লম্বায় ১০ ফিটেরও বেশি। সামনের কেরবানির ঈদে ভাইজানকে বিক্রয় করা হবে। তবে নতুন করে এখনও দাম বলেননি খামারি কাজল হোসেন। ক্রেতারা বাড়ি থেকে সরাসরি দেখে দাম করবেন বলে এই মুহূর্তে দাম হাঁকাতে ইচ্ছুক নন কাজল হোসেন।
এদিকে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, এবারের কোরবানিকে ঘিরে এ জেলায় ৩১ হাজার গরু প্রস্তুত করা হয়েছিল। তবে কী পরিমাণ গরু বিক্রি হয়েছে, সেই হিসাব নেই।