এবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। তবে এ ঘটনায় উড়োজাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনও যাত্রীর ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠন করেছে অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন কমিটি অব বাংলাদেশ (এএআইসি-বিডি)। উড়োজাহাজটি শাহজালাল বিমানবন্দরে মেরামত করা হচ্ছে।
জানা গেছে, গত বুধবার (২৮ জুন) সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ উড়োজাহাজ (এমএসএন ৪২২৬৬, রেজিস্ট্রেশন- এইচজেড একে ২৮) শাহজালাল বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। সেই ফ্লাইটে ২ জন পাইলট ছিলেন। এছাড়া ১ জন পুরুষ ও ১২ জন নারী কেবিন ক্রু ছিলেন। ফ্লাইটটিতে যাত্রী ছিলেন ৩৮৩ জন, যার মধ্যে নারী ৬১ জন, পুরুষ ২৮৯ জন, শিশু ২৮ জন এবং দুগ্ধপোষ্য শিশু ছিল ৫ জন।
জানা গেছে, সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে সৌদি এয়ারলাইনের ফ্লাইটটি (এসভি ৮০৬) ঢাকায় আসে ২৮ জুন। পাইলট উড়োজাহাজটি ঢাকা বিমানবন্দরের রানওয়ে-১৪-এ অবতরণের জন্য অ্যাপ্রোচ করেছিলেন। তখন বৃষ্টি হচ্ছিল এবং রানওয়ে ছিল ভেজা। উড়োজাহাজটি রানওয়ের বাম দিকে অবতরণ করার সঙ্গে সঙ্গে ছিটকে ঘাসের ভেতরে চলে যায়।
সেখানে কংক্রিটের সারফেজ ছিল। উড়োজাহাজটির প্রধান ল্যান্ডিং গিয়ারের বাম পাশের ৬টি টায়ার ফেটে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চাকাগুলো মাটি ও কাদায় পর্ণ হয়ে যায়। রানওয়ে স্পর্শ করার পর থেকে উড়োজাহাজটি রানওয়ের বাইরে প্রায় ১৫০০ ফুট দূরে মাটি ও ঘাসের দিকে এগিয়ে যায়। পরে মাটি থেকে ল্যান্ডিং গিয়ারের বাম পাশ আবারও রানওয়েতে উঠে আসে। রানওয়ের শেষ প্রান্ত ঘুরে উড়োজাহাজটি ৫ নম্বর বোডিং ব্রিজে যাত্রী নামায়।
দুর্ঘটনার পরপরই এয়ারক্রাফট অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন কমিটি অব বাংলাদেশ (এএআইসি-বিডি)-এর ‘গো টিম’ হিসেবে এএআইসি-বিডি’র প্রধান ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন এম রহমতুল্লাহ ও সদস্য (পরিচালন) মো. হারুনুর রশিদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ‘গো-টিম’ ঘটনাস্থল থেকে তথ্য-উপাত্তের পাশাপাশি আলামত সংগ্রহ করে।
পরবর্তী সময়ে এএআইসি-বিডি’র প্রধান ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন এম রহমতুল্লাহর নির্দেশে ২ সদস্যদের একটি ‘বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত দল’ গঠন করা হয়েছে। তদন্ত দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন এম রহমতুল্লাহ এবং সদস্য হিসেবে আছেন এএআইসি-বিডি’র সদস্য (পরিচালন) মো.হারুনুর রশিদ।
সূত্র জানায়, এরইমধ্যে উড়োজাহাজটির ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর) এবং ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার জব্দ করেছে তদন্ত দল। একইসঙ্গে দুর্ঘটনাকবলিত ফ্লাইটের দুই জন পাইলটকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্ত দল। আইকাও এনেক্স-১৩ অনুযায়ী, তদন্ত দল ৩০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে এবং চূড়ান্ত তদন্ত শেষে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করবে।
এদিকে এ দুর্ঘটনা তদন্তে সৌদি আরবের এভিয়েশন ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর প্রতিনিধিরাও অংশগ্রহণের প্রস্তাব করেছেন। সংস্থাটির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তদন্তে অংশগ্রহণ করবে। বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজটির মেরামত কাজ চলছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজ শুক্রবার (৩০ জুন) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এ দুর্ঘটনায় কোনও যাত্রীর ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত উড়োজাহাজটি সৌদি এয়ারলাইন মেরামত করছে। দুর্ঘটনা অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটিও হয়েছে।’
জানা গেছে, গত বুধবার (২৮ জুন) সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ উড়োজাহাজ (এমএসএন ৪২২৬৬, রেজিস্ট্রেশন- এইচজেড একে ২৮) শাহজালাল বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। সেই ফ্লাইটে ২ জন পাইলট ছিলেন। এছাড়া ১ জন পুরুষ ও ১২ জন নারী কেবিন ক্রু ছিলেন। ফ্লাইটটিতে যাত্রী ছিলেন ৩৮৩ জন, যার মধ্যে নারী ৬১ জন, পুরুষ ২৮৯ জন, শিশু ২৮ জন এবং দুগ্ধপোষ্য শিশু ছিল ৫ জন।
জানা গেছে, সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে সৌদি এয়ারলাইনের ফ্লাইটটি (এসভি ৮০৬) ঢাকায় আসে ২৮ জুন। পাইলট উড়োজাহাজটি ঢাকা বিমানবন্দরের রানওয়ে-১৪-এ অবতরণের জন্য অ্যাপ্রোচ করেছিলেন। তখন বৃষ্টি হচ্ছিল এবং রানওয়ে ছিল ভেজা। উড়োজাহাজটি রানওয়ের বাম দিকে অবতরণ করার সঙ্গে সঙ্গে ছিটকে ঘাসের ভেতরে চলে যায়।
সেখানে কংক্রিটের সারফেজ ছিল। উড়োজাহাজটির প্রধান ল্যান্ডিং গিয়ারের বাম পাশের ৬টি টায়ার ফেটে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চাকাগুলো মাটি ও কাদায় পর্ণ হয়ে যায়। রানওয়ে স্পর্শ করার পর থেকে উড়োজাহাজটি রানওয়ের বাইরে প্রায় ১৫০০ ফুট দূরে মাটি ও ঘাসের দিকে এগিয়ে যায়। পরে মাটি থেকে ল্যান্ডিং গিয়ারের বাম পাশ আবারও রানওয়েতে উঠে আসে। রানওয়ের শেষ প্রান্ত ঘুরে উড়োজাহাজটি ৫ নম্বর বোডিং ব্রিজে যাত্রী নামায়।
দুর্ঘটনার পরপরই এয়ারক্রাফট অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন কমিটি অব বাংলাদেশ (এএআইসি-বিডি)-এর ‘গো টিম’ হিসেবে এএআইসি-বিডি’র প্রধান ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন এম রহমতুল্লাহ ও সদস্য (পরিচালন) মো. হারুনুর রশিদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ‘গো-টিম’ ঘটনাস্থল থেকে তথ্য-উপাত্তের পাশাপাশি আলামত সংগ্রহ করে।
পরবর্তী সময়ে এএআইসি-বিডি’র প্রধান ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন এম রহমতুল্লাহর নির্দেশে ২ সদস্যদের একটি ‘বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত দল’ গঠন করা হয়েছে। তদন্ত দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন এম রহমতুল্লাহ এবং সদস্য হিসেবে আছেন এএআইসি-বিডি’র সদস্য (পরিচালন) মো.হারুনুর রশিদ।
সূত্র জানায়, এরইমধ্যে উড়োজাহাজটির ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর) এবং ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার জব্দ করেছে তদন্ত দল। একইসঙ্গে দুর্ঘটনাকবলিত ফ্লাইটের দুই জন পাইলটকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্ত দল। আইকাও এনেক্স-১৩ অনুযায়ী, তদন্ত দল ৩০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে এবং চূড়ান্ত তদন্ত শেষে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করবে।
এদিকে এ দুর্ঘটনা তদন্তে সৌদি আরবের এভিয়েশন ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর প্রতিনিধিরাও অংশগ্রহণের প্রস্তাব করেছেন। সংস্থাটির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তদন্তে অংশগ্রহণ করবে। বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজটির মেরামত কাজ চলছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজ শুক্রবার (৩০ জুন) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এ দুর্ঘটনায় কোনও যাত্রীর ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত উড়োজাহাজটি সৌদি এয়ারলাইন মেরামত করছে। দুর্ঘটনা অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটিও হয়েছে।’