ব্যবসা খাতে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, বিশ্ববাজারের কাছে হয়ে উঠছে আকর্ষণীয়। শুধু টেক্সটাইল কিংবা তৈরি পোশাক নয়, আরো বহু শিল্পখাতেই বাণিজ্যের সুযোগ গড়ে উঠছে এখানে। কিন্তু শিল্পের উন্নতির সাথে পরিবেশ এর প্রতি দায়বদ্ধতা এখনো বাংলাদেশে চোখে পড়ার মতো না। অপরিকল্পিত উৎপাদন ও শিল্পায়ন ব্যবস্থার ফলে পরিবেশে সম্ভাব্য ক্ষতির কথা মাথায় রেখে সেই অনুযায়ী ব্যবসার পরিকল্পনা ও নীতিনির্ধারণ করা এখনো এখানে স্বাভাবিক চর্চার হয়ে উঠেনি। বরং ব্যবসা বাণিজ্য প্রসার ও লাভজনক করার নামে বৃক্ষনিধন, পাহাড় কেটে ধ্বংস করা, নদী বা অন্যান্য জলাশয় ভরাট করা বা দখলে নেয়া, প্রাকৃতিক সম্পদের দূষণ, প্লাস্টিক ও অন্যান্য অপচনশীল দ্রব্যের যথেচ্ছ ব্যবহার, টেকসই সাপ্লাই চেইনের অপ্রতুলতা ইত্যাদিই যেন এখানে সাধারণ চিত্র। এদিকে পুরো পৃথিবী দিনদিন জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সচেতন হয়ে উঠছে এবং কার্বন ফুটপ্রিন্ট এর মাত্রা কমাতে টেকসই বাণিজ্যের দিকে ঝুঁকছে। গতানুগতিক অর্থনীতির জায়গায় স্থান করে নিচ্ছে সবুজ অর্থনীতি।
তাই প্রশ্ন উঠে, একটি টেকসই পৃথিবীর লক্ষ্যে বৈশ্বিক এই দ্রুত বর্ধনশীল সবুজ অর্থনীতির অংশ হয়ে উঠতে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ব্যবসা খাত আসলে কতটুকু সক্ষম? কতটুকু প্রস্তুত?
তারই ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব ব্যবসাকে জনপ্রিয় করে তোলার আশা নিয়ে ঢাকায় যাত্রা শুরু করেছে একটি নতুন কোম্পানি- ইকোস্ট্রাকটিভ লিমিটেড। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানিটি শুরু থেকেই ভবিষ্যতের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে কর্মসেবা ও নির্ভরযোগ্য পণ্য সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে টেকসই ব্যবসায়িক অনুশীলনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক কল্যাণের লক্ষ্যে কাজ করার পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণের প্রতিও মনোযোগী থাকা। আর তাই প্রতিষ্ঠানটির নামকরণও করা হয়েছে Ecostructive যা কিনা উঠে এসেছে "Being ecologically constructive" (পরিবেশগতভাবে কার্যক্ষম হওয়া) এই ধারণা থেকে। প্রতিষ্ঠানটির ইচ্ছা ও সংকল্পের প্রতিচ্ছবি উঠে এসেছে এর স্লোগানে- "Dare for Better" অর্থাৎ শ্রেষ্ঠতর হবার লক্ষ্যে সাহস করা।
বর্তমানে ইকোস্ট্রাকটিভ লিমিটেড যে সকল পেশাগত সেবা প্রদান করছে তার মধ্যে রয়েছে- টেকসই ইঞ্জিনিয়ারিং, সাধারণ ঠিকাদারি, ভ্রমণ ও পর্যটন, সরবরাহ ও পরিষেবা, ইন্টেরিওর ডিজাইন, কনসাল্টেন্সি, প্রিন্টিং ইত্যাদি। প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যেই "মিরা" নামে তাদের একটি লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠিত করেছে যা পরিবেশবান্ধব ও অর্গানিক পণ্যের মাধ্যমে দেশব্যাপী বহু গ্রাহকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানে দেশব্যাপী পর্যটন খাতকে আরো সমৃদ্ধ করে উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনকে আরো জনপ্রিয় করে তোলার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি টেকসই ভ্রমণ ও পর্যটন সেবা খাতে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির একদিকে যেমন রয়েছে নিজস্ব অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ দল তেমনি রয়েছে যেকোনো চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে কাজ করার জন্য একটি দক্ষ ও নিবেদিত কর্মীবাহিনী যারা ব্যবসার নতুন নতুন ধারা ও চাহিদার পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম। গ্রাহকসেবায় প্রতিনিয়ত মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও নেটওয়ার্ক বজায় রাখার ব্যাপারে তারা সকলেই বদ্ধপরিকর।
ইকোস্ট্রাকটিভ লিমিটেড এর বর্তমান ও ভবিষ্যত কার্যক্রম নিয়ে আলাপচারিতায় প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান শুভ্রা রাণী কর বলেন, "একটাই পৃথিবী আমাদের, আর জলবায়ুর পরিবর্তন যে হচ্ছে সেটা সত্য। আমাদের সবার জন্য এখন এটাই সবচেয়ে গুরুতর বিষয়। আর ব্যবসায়ের দিক থেকে যদি বলি, তাহলে আমাদের যে শক্তি ও সক্ষমতা রয়েছে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও প্রাতিবেশিক টেকসই ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সচেতন ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার ব্যাপারে, তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই"।
তিনি আরো বলেন, "অসঙ্গত ব্যবসায়িক চর্চার মাধ্যমে হয়তো স্বল্প সময়ের জন্য মুনাফা অর্জন করা সম্ভব কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা সামাজিক অস্থিরতার কারণ হয় এবং এর ফলে ব্যবসা বাণিজ্যকে নানাবিধ জটিলতার মুখে পড়তে হয়। অর্থনৈতিক উন্নয়নে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হলে টেকসই উন্নয়নই একমাত্র উপায়"।
এমন অভিনব আদর্শে বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করার ক্ষেত্রে সাহস ও সংকল্পের কথাও উচ্চারিত হয় তার কণ্ঠেই- "এই কাজটি সহজ নয় অবশ্যই। খুবই অমসৃণ ও বন্ধুর পথ আমাদের। কিন্তু আমাদের প্রতিষ্ঠানের স্লোগান যেহেতু আরো ভালো করার লক্ষ্যে সাহসী হওয়া- তাই আমরাও সাহস করে নিজেদের সততা ও নিষ্ঠা দিয়ে এই পৃথিবীকে আরো একটু সুন্দর করে তোলার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি- সেই অবদান যত ছোটই হোক না কেন"।
তাই প্রশ্ন উঠে, একটি টেকসই পৃথিবীর লক্ষ্যে বৈশ্বিক এই দ্রুত বর্ধনশীল সবুজ অর্থনীতির অংশ হয়ে উঠতে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ব্যবসা খাত আসলে কতটুকু সক্ষম? কতটুকু প্রস্তুত?
তারই ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব ব্যবসাকে জনপ্রিয় করে তোলার আশা নিয়ে ঢাকায় যাত্রা শুরু করেছে একটি নতুন কোম্পানি- ইকোস্ট্রাকটিভ লিমিটেড। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানিটি শুরু থেকেই ভবিষ্যতের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে কর্মসেবা ও নির্ভরযোগ্য পণ্য সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে টেকসই ব্যবসায়িক অনুশীলনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক কল্যাণের লক্ষ্যে কাজ করার পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণের প্রতিও মনোযোগী থাকা। আর তাই প্রতিষ্ঠানটির নামকরণও করা হয়েছে Ecostructive যা কিনা উঠে এসেছে "Being ecologically constructive" (পরিবেশগতভাবে কার্যক্ষম হওয়া) এই ধারণা থেকে। প্রতিষ্ঠানটির ইচ্ছা ও সংকল্পের প্রতিচ্ছবি উঠে এসেছে এর স্লোগানে- "Dare for Better" অর্থাৎ শ্রেষ্ঠতর হবার লক্ষ্যে সাহস করা।
বর্তমানে ইকোস্ট্রাকটিভ লিমিটেড যে সকল পেশাগত সেবা প্রদান করছে তার মধ্যে রয়েছে- টেকসই ইঞ্জিনিয়ারিং, সাধারণ ঠিকাদারি, ভ্রমণ ও পর্যটন, সরবরাহ ও পরিষেবা, ইন্টেরিওর ডিজাইন, কনসাল্টেন্সি, প্রিন্টিং ইত্যাদি। প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যেই "মিরা" নামে তাদের একটি লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠিত করেছে যা পরিবেশবান্ধব ও অর্গানিক পণ্যের মাধ্যমে দেশব্যাপী বহু গ্রাহকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানে দেশব্যাপী পর্যটন খাতকে আরো সমৃদ্ধ করে উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনকে আরো জনপ্রিয় করে তোলার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি টেকসই ভ্রমণ ও পর্যটন সেবা খাতে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির একদিকে যেমন রয়েছে নিজস্ব অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ দল তেমনি রয়েছে যেকোনো চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে কাজ করার জন্য একটি দক্ষ ও নিবেদিত কর্মীবাহিনী যারা ব্যবসার নতুন নতুন ধারা ও চাহিদার পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম। গ্রাহকসেবায় প্রতিনিয়ত মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও নেটওয়ার্ক বজায় রাখার ব্যাপারে তারা সকলেই বদ্ধপরিকর।
ইকোস্ট্রাকটিভ লিমিটেড এর বর্তমান ও ভবিষ্যত কার্যক্রম নিয়ে আলাপচারিতায় প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান শুভ্রা রাণী কর বলেন, "একটাই পৃথিবী আমাদের, আর জলবায়ুর পরিবর্তন যে হচ্ছে সেটা সত্য। আমাদের সবার জন্য এখন এটাই সবচেয়ে গুরুতর বিষয়। আর ব্যবসায়ের দিক থেকে যদি বলি, তাহলে আমাদের যে শক্তি ও সক্ষমতা রয়েছে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও প্রাতিবেশিক টেকসই ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সচেতন ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার ব্যাপারে, তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই"।
তিনি আরো বলেন, "অসঙ্গত ব্যবসায়িক চর্চার মাধ্যমে হয়তো স্বল্প সময়ের জন্য মুনাফা অর্জন করা সম্ভব কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা সামাজিক অস্থিরতার কারণ হয় এবং এর ফলে ব্যবসা বাণিজ্যকে নানাবিধ জটিলতার মুখে পড়তে হয়। অর্থনৈতিক উন্নয়নে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হলে টেকসই উন্নয়নই একমাত্র উপায়"।
এমন অভিনব আদর্শে বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করার ক্ষেত্রে সাহস ও সংকল্পের কথাও উচ্চারিত হয় তার কণ্ঠেই- "এই কাজটি সহজ নয় অবশ্যই। খুবই অমসৃণ ও বন্ধুর পথ আমাদের। কিন্তু আমাদের প্রতিষ্ঠানের স্লোগান যেহেতু আরো ভালো করার লক্ষ্যে সাহসী হওয়া- তাই আমরাও সাহস করে নিজেদের সততা ও নিষ্ঠা দিয়ে এই পৃথিবীকে আরো একটু সুন্দর করে তোলার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি- সেই অবদান যত ছোটই হোক না কেন"।