
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হলেও দোসর মুক্ত হয়নি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
এখনো স্বৈরাচারের দোসরদের পদোন্নতি-পদায়ন অব্যহত রয়েছে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই অধিদফতরটিতে। এতে করে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন সৎ ও আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বিপক্ষে থাকা কর্মকর্তারা।
পদোন্নতির পূর্বে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রেডেশন তালিকা প্রস্তুত করার কথা থাকলেও, উক্ত গ্রেডেশন তালিকা প্রস্তুত না করেই জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (গ্রেড-৪) এর শুন্য পদে ১৫ জন কর্মকর্তাকে পদন্নতির প্রস্তাব দিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর আবেদন করেছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ।
এর মধ্যে ৫ কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের পদধারী নেতা এবং প্রায় সবাই ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন বলে জানা গেছে।
দেখা গেছে আবেদন করা কর্মকর্তাদের বেশিরভাগই বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর শাখার পদধারী নেতাদের নাম পদন্নতির জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ নিজেও ১নং সদস্য হিসেবে ছিলেন এই কমিটিতে।
পদন্নতির জন্য প্রস্তাব করা বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের কমিটিতে থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল শাখার আহব্বায়ক নজরুল ইসলাম মিয়া, সদস্য প্রকৌশলী এহতাশামুল রাসেল খান, সদস্য প্রকৌশলী বাহার উদ্দিন মৃধা, প্রকৌশলী নূর আহাম্মদ, প্রকৌশলী বিধান চন্দ্র দেসহ আরও কয়েকজনের নাম পদন্নতির জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
এর আগে গত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়েও এই তালিকা পাঠানো হয়েছিল মন্ত্রণালয়ে। তবে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে পাঠানো এই পদন্নতির জন্য প্রস্তাব তখনো বাতিল করা হয়।
এতে বলা হয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (গ্রেড-৪) এর শূন্য পদে পদোন্নতি প্রদানের প্রস্তাব। উপর্যুক্ত বিষয়ে সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বিসিএস (জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল) ক্যাডার তফসিলভূক্ত ১৪টি এবং ক্যাডার পদ হিসেবে স্থায়ীভাবে সৃজিত ১টি মোট ১৫টি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর পদ রয়েছে (সংযুক্তি-১ ও ২)। উক্ত ১৫টি পদের বিপরীতে ১ জন পুরাদস্তুর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আছেন, যিনি বর্তমানে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পূর্ত) পদে চলতি দায়িত্বে কর্মরত। ফলে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর ১৫টি শূন্য পদেই চলতি দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিদ্যমান শূন্য পদগুলো সরকারি কাজের স্বার্থে দ্রুত পদোন্নতি প্রদানের মাধ্যমে পূরণ করা একান্ত প্রয়োজন।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, অত্র অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ১০/০৬/২০২৫খ্রি. তারিখে, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (চ.দা.) (পূর্ত) ১২/১১/২০২৫খ্রি. তারিখে অবসরোত্তর ছুটিতে গমন করবেন। বর্ণিত কর্মকর্তাদ্বয় অবসরোত্তর ছুটিতে গমন করলে অত্র অধিদপ্তরে প্রধান প্রকৌশলীর ১টি পদ ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর ৩টি পদই শূন্য হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর আরো ১টি পদ শূন্য হবে এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর শূন্য পদ সংখ্যা দাঁড়াবে ১৪+১=১৫ টি।
এছাড়া প্রধান প্রকৌশলী ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শূন্য পদগুলো পূরণ করার মত কোন পুরাদস্তুর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী অধিদপ্তরে বর্তমানে কর্মরত নেই। ফলে অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের পদসমূহে শূন্যতা সৃষ্টিসহ প্রশাসনিক জটিলতা দেখা দিবে। ফলশ্রুতিতে অধিদপ্তরের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা-৬ অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকারমূলক বিভিন্ন কর্মসূচি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হবে
স্থানীয় সরকার বিভাগের স্মারক নং-৬৮৫ তারিখ-০৩/১১/2022 মাধ্যমে ৬০ জন, স্মারক নং ৬৮৬ তারিখ-০৩/১১/২০২২ মাধ্যমে ০৩ জন, স্মারক নং- ২৮২ তারিখ- ১৮/০৪/২০২৪ মাধ্যমে ০১ জন এবং স্মারক নং-১৯৬ তারিখ- ২০/০৪/২০১৫ খ্রি. মাধ্যমে ০২ জন মোট ৬৬ জন সহকারী প্রকৌশলীকে নির্বাহী প্রকৌশলী এর শূন্য পদে পদোন্নতি প্রদান করায় অত্র অধিদপ্তরে বর্তমানে ৬৬ (ছেষট্টি) জন নির্বাহী প্রকৌশলী কর্মরত আছেন।
দোসরদের পদন্নোতি এবং গ্রেডেশন তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে পানি সরবরাহ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ ফজলুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে তাহলে যেটা সঠিক সেটাই আমরা করবো।
এদিকে পদন্নতির এই চিঠির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে একাধিক কর্মকর্তা জানান, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারে সুবিধাভোগী ও সরকারী চাকুরির নীতিমালা ভঙ্গ করে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পদধারী কর্মকর্তাদের শাস্তি না দিয়ে উল্টো পদোন্নতি দেয়ার পাঁয়তারা চলছে। প্রধান প্রকৌশলী নিয়েজে ছিলেন ঐ কমিটির মেম্বার। তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার ফলে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসরদের পদোন্নতি দেয়ার পাঁয়তারা চলছে। আমরা এর তিব্র নিন্দা জানাই। এবং বর্তমান সরকারের কাছে আওয়ামী দোসরদের বিচার চাই।
প্রসঙ্গত, যেকোন সরকারি দপ্তরে কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের জন্যে পৃথক এবং পূর্ণাঙ্গ জোষ্ঠতা তালিকা বা গ্রেডেশন তালিকা থাকে যেকোনো পদোন্নতির ক্ষেত্রে উক্ত তালিকা থেকে পদ খালি সাপেক্ষে পদোন্নতি দেওয়া হয়ে থাকে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে এ ধরণের কোন জোষ্ঠতা তালিকা বা গ্রেডেশন তালিকা ইচ্ছে করেই প্রস্তুত করা ও অনুমোদন করা হয়নি যেন দপ্তর যাকে খুশি তাকে পদোন্নতি দিতে পারেন, ফলে স্বজনপ্রীতি এবং দুর্নীতি কে উস্কে দেয়। গ্রেডেশন তালিকা না থাকায় অনেক সিনিয়র কর্মকর্তা প্রমোশন বঞ্চিত হয়েছে অপরদিকে অনেক জুনিয়র কর্মকর্তা তদবির ও অর্থের বিনিময়ে প্রমোশন পেতে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।
এখনো স্বৈরাচারের দোসরদের পদোন্নতি-পদায়ন অব্যহত রয়েছে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই অধিদফতরটিতে। এতে করে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন সৎ ও আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বিপক্ষে থাকা কর্মকর্তারা।
পদোন্নতির পূর্বে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রেডেশন তালিকা প্রস্তুত করার কথা থাকলেও, উক্ত গ্রেডেশন তালিকা প্রস্তুত না করেই জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (গ্রেড-৪) এর শুন্য পদে ১৫ জন কর্মকর্তাকে পদন্নতির প্রস্তাব দিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর আবেদন করেছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ।
এর মধ্যে ৫ কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের পদধারী নেতা এবং প্রায় সবাই ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন বলে জানা গেছে।
দেখা গেছে আবেদন করা কর্মকর্তাদের বেশিরভাগই বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর শাখার পদধারী নেতাদের নাম পদন্নতির জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ নিজেও ১নং সদস্য হিসেবে ছিলেন এই কমিটিতে।
পদন্নতির জন্য প্রস্তাব করা বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের কমিটিতে থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল শাখার আহব্বায়ক নজরুল ইসলাম মিয়া, সদস্য প্রকৌশলী এহতাশামুল রাসেল খান, সদস্য প্রকৌশলী বাহার উদ্দিন মৃধা, প্রকৌশলী নূর আহাম্মদ, প্রকৌশলী বিধান চন্দ্র দেসহ আরও কয়েকজনের নাম পদন্নতির জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
এর আগে গত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়েও এই তালিকা পাঠানো হয়েছিল মন্ত্রণালয়ে। তবে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে পাঠানো এই পদন্নতির জন্য প্রস্তাব তখনো বাতিল করা হয়।
এতে বলা হয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (গ্রেড-৪) এর শূন্য পদে পদোন্নতি প্রদানের প্রস্তাব। উপর্যুক্ত বিষয়ে সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বিসিএস (জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল) ক্যাডার তফসিলভূক্ত ১৪টি এবং ক্যাডার পদ হিসেবে স্থায়ীভাবে সৃজিত ১টি মোট ১৫টি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর পদ রয়েছে (সংযুক্তি-১ ও ২)। উক্ত ১৫টি পদের বিপরীতে ১ জন পুরাদস্তুর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আছেন, যিনি বর্তমানে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পূর্ত) পদে চলতি দায়িত্বে কর্মরত। ফলে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর ১৫টি শূন্য পদেই চলতি দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিদ্যমান শূন্য পদগুলো সরকারি কাজের স্বার্থে দ্রুত পদোন্নতি প্রদানের মাধ্যমে পূরণ করা একান্ত প্রয়োজন।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, অত্র অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ১০/০৬/২০২৫খ্রি. তারিখে, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (চ.দা.) (পূর্ত) ১২/১১/২০২৫খ্রি. তারিখে অবসরোত্তর ছুটিতে গমন করবেন। বর্ণিত কর্মকর্তাদ্বয় অবসরোত্তর ছুটিতে গমন করলে অত্র অধিদপ্তরে প্রধান প্রকৌশলীর ১টি পদ ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর ৩টি পদই শূন্য হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর আরো ১টি পদ শূন্য হবে এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর শূন্য পদ সংখ্যা দাঁড়াবে ১৪+১=১৫ টি।
এছাড়া প্রধান প্রকৌশলী ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শূন্য পদগুলো পূরণ করার মত কোন পুরাদস্তুর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী অধিদপ্তরে বর্তমানে কর্মরত নেই। ফলে অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের পদসমূহে শূন্যতা সৃষ্টিসহ প্রশাসনিক জটিলতা দেখা দিবে। ফলশ্রুতিতে অধিদপ্তরের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা-৬ অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকারমূলক বিভিন্ন কর্মসূচি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হবে
স্থানীয় সরকার বিভাগের স্মারক নং-৬৮৫ তারিখ-০৩/১১/2022 মাধ্যমে ৬০ জন, স্মারক নং ৬৮৬ তারিখ-০৩/১১/২০২২ মাধ্যমে ০৩ জন, স্মারক নং- ২৮২ তারিখ- ১৮/০৪/২০২৪ মাধ্যমে ০১ জন এবং স্মারক নং-১৯৬ তারিখ- ২০/০৪/২০১৫ খ্রি. মাধ্যমে ০২ জন মোট ৬৬ জন সহকারী প্রকৌশলীকে নির্বাহী প্রকৌশলী এর শূন্য পদে পদোন্নতি প্রদান করায় অত্র অধিদপ্তরে বর্তমানে ৬৬ (ছেষট্টি) জন নির্বাহী প্রকৌশলী কর্মরত আছেন।
দোসরদের পদন্নোতি এবং গ্রেডেশন তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে পানি সরবরাহ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ ফজলুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে তাহলে যেটা সঠিক সেটাই আমরা করবো।
এদিকে পদন্নতির এই চিঠির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে একাধিক কর্মকর্তা জানান, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারে সুবিধাভোগী ও সরকারী চাকুরির নীতিমালা ভঙ্গ করে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পদধারী কর্মকর্তাদের শাস্তি না দিয়ে উল্টো পদোন্নতি দেয়ার পাঁয়তারা চলছে। প্রধান প্রকৌশলী নিয়েজে ছিলেন ঐ কমিটির মেম্বার। তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার ফলে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসরদের পদোন্নতি দেয়ার পাঁয়তারা চলছে। আমরা এর তিব্র নিন্দা জানাই। এবং বর্তমান সরকারের কাছে আওয়ামী দোসরদের বিচার চাই।
প্রসঙ্গত, যেকোন সরকারি দপ্তরে কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের জন্যে পৃথক এবং পূর্ণাঙ্গ জোষ্ঠতা তালিকা বা গ্রেডেশন তালিকা থাকে যেকোনো পদোন্নতির ক্ষেত্রে উক্ত তালিকা থেকে পদ খালি সাপেক্ষে পদোন্নতি দেওয়া হয়ে থাকে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে এ ধরণের কোন জোষ্ঠতা তালিকা বা গ্রেডেশন তালিকা ইচ্ছে করেই প্রস্তুত করা ও অনুমোদন করা হয়নি যেন দপ্তর যাকে খুশি তাকে পদোন্নতি দিতে পারেন, ফলে স্বজনপ্রীতি এবং দুর্নীতি কে উস্কে দেয়। গ্রেডেশন তালিকা না থাকায় অনেক সিনিয়র কর্মকর্তা প্রমোশন বঞ্চিত হয়েছে অপরদিকে অনেক জুনিয়র কর্মকর্তা তদবির ও অর্থের বিনিময়ে প্রমোশন পেতে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।