অবশেষে ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করার পরে এটিই মেসির প্রথম জন্মদিন। স্বভাবতই মেসির এবারের জন্মদিন আলাদা। আজকের সূর্যোদয়টা লিওনেল মেসি’র জন্য বোধহয় অন্য রকমই। ৩৬ বছর পূর্ণ করলেন বাঁ পায়ের জাদুকর। কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন করে দিয়েগো মারাদোনার নজিরে ভাগ বসিয়েছেন মেসি।
বিশ্বকাপের আগে দেশকে কোপা আমেরিকাও চ্যাম্পিয়ন করেছেন মেসি। ফলে তিনি এখন সুখের সাগরে ভাসছেন। ‘এল এম টেন’ জানিয়েছেন, তার আর ফুটবলে নতুন করে কিছু জেতার নেই। যা ট্রফি জেতা সম্ভব সে সবই জিতে নিয়েছেন তিনি। ফলে আর তার জয়ের খিদে নেই। ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলতে না চাইলেও, কোপা আমেরিকায় হয়তো খেলবেন। কোপা আমেরিকাই দেশের হয়ে মেসির শেষ টুর্নামেন্ট হতে পারে।
এদিকে জর্জ মেসি ও সেলিয়া কুচেত্তিনির সংসারের তৃতীয় সন্তান ছিলেন লিওনেল মেসি। সকেলরই জানা মেসির ছোটবেলা স্বাভাবিক শিশুদের মত ছিল না। দৈহিক অস্বাভাবিকতা ধরা পড়ে খুব ছোট্ট থাকতেই। ১১ বছর বয়সে মেসির শরীরে গ্রোথ হরমোন জনিত জটিলতা দেখা দেয়। কিন্তু তার বাবা মায়ের সেটার চিকিৎসা করার মত সামর্থ্য ছিল না। এই চিকিৎসার খরচ ছিল প্রতিমাসে প্রায় ৯০০ ডলার। সেই চিকিৎসার জন্যই বার্সেলোনায় গিয়েছিলেন মেসি ও তার পরিবার।
মেসি ২০০০ সালে চলে আসেন বার্সেলোনায়। যুব দল পেরিয়ে ২০০৪ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে নাম লেখান বার্সেলোনার সিনিয়র দলে। তারপর টানা ২ দশক ধরে পুরো ফুটবল বিশ্বকে মাতিয়ে রেখেছেন এই আর্জেন্টাইন তারকা। নিজের ক্লাব ফুটবল ক্যারিয়ারে বার্সেলোনার হয়ে ৭৭৮টি ম্যাচে ৬৭২ গোল আর পিএসজির হয়ে ৭৫ ম্যাচে ৩২ গোল করেছেন মেসি।
অপরদিকে, আন্তর্জাতিক ফুটবল ক্যারিয়ারে ১০৭৫ ম্যাচে এখনও ১০৩ গোল করেছেন। ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ম্যাচ মিলিয়ে ১০২৮ ম্যাচে এখনও ৮০৭ গোল করেছেন মেসি। বার্সেলোনার হয়ে মেসি ক্লাবের ইতিহাসে সর্বাধিক ৩৫টি ট্রফি জিতেছেন। তার মধ্যে ১০টি লা লিগা, ৮ স্প্যানিশ সুপার কাপ, ৭টি কোপা দেল রে, ৪টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ৩টি ক্লাব বিশ্বকাপ, ইউরোপিয়ান সুপার কাপ ৩টি। পিএসজির হয়ে ফরাসী লিগ ওয়ান সহ ৩টি ট্রফি জিতেছেন মেসি।
২০২১ সালে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে মেসির আন্তর্জাতিক ট্রফি জয়ের স্বপ্নপূরণ হয় মেসির। কোপা আমেরিকা জেতে মেসি। তারপর ২০২২ সালে ফিনালিসিমা। অবশেষে ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপ জিতে নিজের সবথেকে বড় স্বপ্নটা পূরণ করেন মেসি। বিশ্বজয়ী হওয়ার পর প্রথম জন্মদিন। এবারের জন্মদিনটা শুধু মেসির কাছেই নয়, বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি ফ্যানেদের কাছে স্পেশাল।
তাই স্পেশালভাবেই বিশ্বজুড়ে চলে সেলিব্রেশন। জন্মদিনের রাত থেকেই শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন লিও মেসি। এভাবেই মেসির পায়ের জাদু দেখে যেতে চান তার ফ্যানেরা। বর্তমানে মেসি রোজারিও শহরে ছুটি কাটাচ্ছেন। কিছুদিন পরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের দল ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেবেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। বার্সেলোনা ও পিএসজি মিলিয়ে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে প্রায় ২ দশক খেলার পর এই প্রথম মেজর লিগ সকারে খেলবেন মেসি।
মায়ামির একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২১ জুলাই ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেলের ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়ামে মেক্সিকোর ক্রাজ আজালের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে ইন্টার মায়ামি। এটাই মেজর লিগ সকারের উদ্বোধনী ম্যাচ। সেই ম্যাচেই প্রথমবার ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলতে দেখা যেতে পারে মেসিকে। আপনাদের হয়’ত একটা মনে থাকার কথা।
কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পরে আর্জেন্টিনার এক মহিলা সাংবাদিক মেসির সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে বলেই ফেলেন, ‘তুমি বিশ্বকাপ জেত বা না জেত, তাতে তোমার উপর থেকে আমাদের বিশ্বাস এক চিলতেও কমবে না। তুমি দেশের কোটি কোটি মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছ। তাদের আনন্দ দিয়েছ। লিয়ো, তোমাকে একটা কথাই বলতে চাই। ধন্যবাদ।’ আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে এনে দিলেন পরম আকাঙ্ক্ষিত সেই বিশ্বকাপ ট্রফি। এখন তিনি বিশ্বজয়ী! আজ একজন বিশ্বজয়ীর জন্মদিন।
বিশ্বকাপের আগে দেশকে কোপা আমেরিকাও চ্যাম্পিয়ন করেছেন মেসি। ফলে তিনি এখন সুখের সাগরে ভাসছেন। ‘এল এম টেন’ জানিয়েছেন, তার আর ফুটবলে নতুন করে কিছু জেতার নেই। যা ট্রফি জেতা সম্ভব সে সবই জিতে নিয়েছেন তিনি। ফলে আর তার জয়ের খিদে নেই। ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলতে না চাইলেও, কোপা আমেরিকায় হয়তো খেলবেন। কোপা আমেরিকাই দেশের হয়ে মেসির শেষ টুর্নামেন্ট হতে পারে।
এদিকে জর্জ মেসি ও সেলিয়া কুচেত্তিনির সংসারের তৃতীয় সন্তান ছিলেন লিওনেল মেসি। সকেলরই জানা মেসির ছোটবেলা স্বাভাবিক শিশুদের মত ছিল না। দৈহিক অস্বাভাবিকতা ধরা পড়ে খুব ছোট্ট থাকতেই। ১১ বছর বয়সে মেসির শরীরে গ্রোথ হরমোন জনিত জটিলতা দেখা দেয়। কিন্তু তার বাবা মায়ের সেটার চিকিৎসা করার মত সামর্থ্য ছিল না। এই চিকিৎসার খরচ ছিল প্রতিমাসে প্রায় ৯০০ ডলার। সেই চিকিৎসার জন্যই বার্সেলোনায় গিয়েছিলেন মেসি ও তার পরিবার।
মেসি ২০০০ সালে চলে আসেন বার্সেলোনায়। যুব দল পেরিয়ে ২০০৪ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে নাম লেখান বার্সেলোনার সিনিয়র দলে। তারপর টানা ২ দশক ধরে পুরো ফুটবল বিশ্বকে মাতিয়ে রেখেছেন এই আর্জেন্টাইন তারকা। নিজের ক্লাব ফুটবল ক্যারিয়ারে বার্সেলোনার হয়ে ৭৭৮টি ম্যাচে ৬৭২ গোল আর পিএসজির হয়ে ৭৫ ম্যাচে ৩২ গোল করেছেন মেসি।
অপরদিকে, আন্তর্জাতিক ফুটবল ক্যারিয়ারে ১০৭৫ ম্যাচে এখনও ১০৩ গোল করেছেন। ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ম্যাচ মিলিয়ে ১০২৮ ম্যাচে এখনও ৮০৭ গোল করেছেন মেসি। বার্সেলোনার হয়ে মেসি ক্লাবের ইতিহাসে সর্বাধিক ৩৫টি ট্রফি জিতেছেন। তার মধ্যে ১০টি লা লিগা, ৮ স্প্যানিশ সুপার কাপ, ৭টি কোপা দেল রে, ৪টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ৩টি ক্লাব বিশ্বকাপ, ইউরোপিয়ান সুপার কাপ ৩টি। পিএসজির হয়ে ফরাসী লিগ ওয়ান সহ ৩টি ট্রফি জিতেছেন মেসি।
২০২১ সালে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে মেসির আন্তর্জাতিক ট্রফি জয়ের স্বপ্নপূরণ হয় মেসির। কোপা আমেরিকা জেতে মেসি। তারপর ২০২২ সালে ফিনালিসিমা। অবশেষে ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপ জিতে নিজের সবথেকে বড় স্বপ্নটা পূরণ করেন মেসি। বিশ্বজয়ী হওয়ার পর প্রথম জন্মদিন। এবারের জন্মদিনটা শুধু মেসির কাছেই নয়, বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি ফ্যানেদের কাছে স্পেশাল।
তাই স্পেশালভাবেই বিশ্বজুড়ে চলে সেলিব্রেশন। জন্মদিনের রাত থেকেই শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন লিও মেসি। এভাবেই মেসির পায়ের জাদু দেখে যেতে চান তার ফ্যানেরা। বর্তমানে মেসি রোজারিও শহরে ছুটি কাটাচ্ছেন। কিছুদিন পরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের দল ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেবেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। বার্সেলোনা ও পিএসজি মিলিয়ে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে প্রায় ২ দশক খেলার পর এই প্রথম মেজর লিগ সকারে খেলবেন মেসি।
মায়ামির একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২১ জুলাই ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেলের ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়ামে মেক্সিকোর ক্রাজ আজালের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে ইন্টার মায়ামি। এটাই মেজর লিগ সকারের উদ্বোধনী ম্যাচ। সেই ম্যাচেই প্রথমবার ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলতে দেখা যেতে পারে মেসিকে। আপনাদের হয়’ত একটা মনে থাকার কথা।
কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পরে আর্জেন্টিনার এক মহিলা সাংবাদিক মেসির সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে বলেই ফেলেন, ‘তুমি বিশ্বকাপ জেত বা না জেত, তাতে তোমার উপর থেকে আমাদের বিশ্বাস এক চিলতেও কমবে না। তুমি দেশের কোটি কোটি মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছ। তাদের আনন্দ দিয়েছ। লিয়ো, তোমাকে একটা কথাই বলতে চাই। ধন্যবাদ।’ আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে এনে দিলেন পরম আকাঙ্ক্ষিত সেই বিশ্বকাপ ট্রফি। এখন তিনি বিশ্বজয়ী! আজ একজন বিশ্বজয়ীর জন্মদিন।