ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) এক সিনিয়র শিক্ষার্থীর (মেয়ে) দিকে তাকানোয় মার খেয়েছেন জুনিয়র ও ওই মেয়ের প্রাক্তন প্রেমিক। বুধবার (২১ জুন) রাত ৮ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইনগেটে প্রাক্তন প্রেমিক ও তিন জুনিয়র শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের বেশ-কয়েকজন কর্মী দিয়ে মারধর করানোর অভিযোগ উঠে প্রাক্তন প্রেমিকার বিরুদ্ধে। পরে ছাত্রলীগের অফিসে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের উপস্থিতিতে ভুক্তভোগীদের কাছে ক্ষমা চান অভিযুক্তরা।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে কুষ্টিয়া থেকে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আতিক হাসান, আব্দুল্লাহ আল নোমান ও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মিনহাজ হিমেল। এসময় একই বাসে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন ল' এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নওরীন নুসরাত ও তার বর্তমান প্রেমিক জিয়ন সরকার। বাসে সাবেক প্রেমিকাকে দেখতে পেয়ে তাকান আতিক হাসান ও জুনিয়র হিমেল। এ নিয়ে বর্তমান প্রেমিকের সাথে কথা-কাটাকাটি হয় আতিক ও জুনিয়র হিমেলের। পরে পরোক্ষভাবে ভুক্তভোগীদের দেখে নেয়ার হুমকি দেন জিয়ন সরকার। এসময় মেইনগেটে মুঠোফোনে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীকে ডাকেন জিয়ন। পরে ওই ছাত্রলীগ কর্মীরা এসে তাদেরকে মারধর করেন।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগের কর্মীরা হলেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের জিয়ন সরকার ও সিয়াম আহসান, মার্কেটিং শিক্ষাবর্ষের ইসতিয়াক পান্ডে এবং ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অমিয় সাহা। তারা সকলেই ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগীর বন্ধুদের সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী আতিক হাসানের সাবেক প্রেমিকা ছিলেন নওরিন নুসরাত। তার বর্তমান প্রেমিক জিয়ন সরকারসহ তারা পূর্বপরিকল্পনা করে এ মারধর করিয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।
ভুক্তভোগী হিমেল বলেন, বাসের মধ্যে চেঁচামেচি হচ্ছিল দেখে আমি পিছন ফিরে তাকাই। পরে আমাকে কোনো কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই সেখানে উপস্থিত জিওন, সিয়াম ও অমিয়সহ সবাই আমাদের মারধর শুরু করেন। পরে আমাদের বাস থেকে নামিয়ে দেয়। ওরা নোমান ভাইকে যখন মারধর শুরু করে তখন নওরীন আপু তাকে ছেড়ে দিয়ে আতিক ভাইকে মারতে বলেন। আতিক ভাইয়ের সঙ্গে নওরীন আপুর পূর্ব শত্রুতা থাকতে পারে। যে কারণে আমাদের পরিকল্পিতভাবে মারধর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নওরীন নুসরাত বলেন, বাসে উঠার সময় আতিক আমার দিকে খুব বাজেভাবে ঘুরে তাকায়। বাসের মধ্যে আমাদের কথা একটু জোরে হওয়ায় জুনিয়র ছেলে (হিমেল) রাগান্বিতভাবে তাকায়। সেখানে থাকা আমার জুনিয়রদের বিষয়টি ভালো লাগেনি। তাই বাস ক্যাম্পাস গেইটে থামার পরে ওই ছেলেদের সঙ্গে কথা বলে। এসময় তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও একপর্যায়ে ধাক্কা ধাক্কি শুরু হয়। নোমান আমার পরিচিত হওয়ায় তার সামনে দাঁড়িয়ে যাই, যাতে ওকে কেউ টাচ না করে। পরে ওরা ক্যাম্পাস গেটে নেমে যায়। এরপর কি হয়েছে আমি জানি না।
এ বিষয়ে জিয়ন সরকার বলেন, আমি শুধু জিজ্ঞেস করেছিলাম যে আপনারা কোন সেশনের, এমন করে তাকাচ্ছেন কেন আর বাজে ইঙ্গিত করতেছেন কেন। তখন তারা এটা অস্বীকার করেছিল। এ নিয়ে একটু কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে তাদের বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ক্যাম্পাসে আরাফাত ভাই ও জয় ভাই (শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক) বিষয়টি মিউচুয়াল করে দেয়
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, তারা ক্ষমা চেয়েছে আমি মাফ করে দিয়েছি। সবারই পরিবার আছে। যে উদ্দেশ্যে বাবা মা আমাদের এখানে পাঠিয়েছে সে দিকে আমাদের চলা উচিত।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে কুষ্টিয়া থেকে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আতিক হাসান, আব্দুল্লাহ আল নোমান ও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মিনহাজ হিমেল। এসময় একই বাসে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন ল' এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নওরীন নুসরাত ও তার বর্তমান প্রেমিক জিয়ন সরকার। বাসে সাবেক প্রেমিকাকে দেখতে পেয়ে তাকান আতিক হাসান ও জুনিয়র হিমেল। এ নিয়ে বর্তমান প্রেমিকের সাথে কথা-কাটাকাটি হয় আতিক ও জুনিয়র হিমেলের। পরে পরোক্ষভাবে ভুক্তভোগীদের দেখে নেয়ার হুমকি দেন জিয়ন সরকার। এসময় মেইনগেটে মুঠোফোনে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীকে ডাকেন জিয়ন। পরে ওই ছাত্রলীগ কর্মীরা এসে তাদেরকে মারধর করেন।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগের কর্মীরা হলেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের জিয়ন সরকার ও সিয়াম আহসান, মার্কেটিং শিক্ষাবর্ষের ইসতিয়াক পান্ডে এবং ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অমিয় সাহা। তারা সকলেই ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগীর বন্ধুদের সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী আতিক হাসানের সাবেক প্রেমিকা ছিলেন নওরিন নুসরাত। তার বর্তমান প্রেমিক জিয়ন সরকারসহ তারা পূর্বপরিকল্পনা করে এ মারধর করিয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।
ভুক্তভোগী হিমেল বলেন, বাসের মধ্যে চেঁচামেচি হচ্ছিল দেখে আমি পিছন ফিরে তাকাই। পরে আমাকে কোনো কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই সেখানে উপস্থিত জিওন, সিয়াম ও অমিয়সহ সবাই আমাদের মারধর শুরু করেন। পরে আমাদের বাস থেকে নামিয়ে দেয়। ওরা নোমান ভাইকে যখন মারধর শুরু করে তখন নওরীন আপু তাকে ছেড়ে দিয়ে আতিক ভাইকে মারতে বলেন। আতিক ভাইয়ের সঙ্গে নওরীন আপুর পূর্ব শত্রুতা থাকতে পারে। যে কারণে আমাদের পরিকল্পিতভাবে মারধর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নওরীন নুসরাত বলেন, বাসে উঠার সময় আতিক আমার দিকে খুব বাজেভাবে ঘুরে তাকায়। বাসের মধ্যে আমাদের কথা একটু জোরে হওয়ায় জুনিয়র ছেলে (হিমেল) রাগান্বিতভাবে তাকায়। সেখানে থাকা আমার জুনিয়রদের বিষয়টি ভালো লাগেনি। তাই বাস ক্যাম্পাস গেইটে থামার পরে ওই ছেলেদের সঙ্গে কথা বলে। এসময় তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও একপর্যায়ে ধাক্কা ধাক্কি শুরু হয়। নোমান আমার পরিচিত হওয়ায় তার সামনে দাঁড়িয়ে যাই, যাতে ওকে কেউ টাচ না করে। পরে ওরা ক্যাম্পাস গেটে নেমে যায়। এরপর কি হয়েছে আমি জানি না।
এ বিষয়ে জিয়ন সরকার বলেন, আমি শুধু জিজ্ঞেস করেছিলাম যে আপনারা কোন সেশনের, এমন করে তাকাচ্ছেন কেন আর বাজে ইঙ্গিত করতেছেন কেন। তখন তারা এটা অস্বীকার করেছিল। এ নিয়ে একটু কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে তাদের বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ক্যাম্পাসে আরাফাত ভাই ও জয় ভাই (শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক) বিষয়টি মিউচুয়াল করে দেয়
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, তারা ক্ষমা চেয়েছে আমি মাফ করে দিয়েছি। সবারই পরিবার আছে। যে উদ্দেশ্যে বাবা মা আমাদের এখানে পাঠিয়েছে সে দিকে আমাদের চলা উচিত।