ইসলামের অন্যতম বিধান হলো কোরবানি। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমরা প্রতি বছর পশু কোরবানি করে থাকি। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে নির্দেশ দিচ্ছেন, অতএব আপনি আপনার পালনকর্তার উদ্দেশে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি করুন’ (সূরা কাউসার, আয়াত ২)।
পবিত্র কোরআনের সূরা ছাফফাতে আল্লাহ পাক প্রিয়নবী হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও তাঁর একমাত্র পুত্র হজরত ইসমাঈল (আ.)-এর ঐতিহাসিক ঘটনা এভাবেই উল্লেখ করেছেন। ‘অতঃপর সে (ইসমাঈল) যখন পিতার সঙ্গে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হলো, তখন ইব্রাহিম তাকে বলল, বত্স! আমি স্বপ্নে দেখি যে, তোমাকে জবেহ করছি; এখন তোমার অভিমত কি দেখ। সে বলল, পিতা! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তাই করুন। আল্লাহ চাহে তো আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন।যখন পিতা-পুত্র উভয়ে আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইব্রাহিম (আ.) তাকে জবেহ করার জন্য শায়িত করল, তখন আমি তাকে ডেকে বললাম : হে ইব্রাহিম, তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে। আমি এভাবেই সত্কর্মীদের প্রতিদান দিয়ে থাকি। নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা। আমি তার পরিবর্তে দিলাম জবেহ করার জন্য এক মহান জন্তু।’
সূরা ছাফফাত, আয়াত ১০২-১০৭। হাদিসের কিতাবগুলোতে কোরবানির ফজিলত সংবলিত বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে। প্রিয় নবীজীর জীবন সঙ্গিনী হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘আদম সন্তান কোরবানির দিন যত নেক আমল করে তার মধ্যে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল হচ্ছে (পশু কোরবানির মাধ্যমে) রক্ত প্রবাহিত করা। কিয়ামতের দিন কোরবানির পশু (জীবিত হয়ে) তার শিং, খুর এবং পশম সহকারে উঠবে। কোরবানির পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহর দরবারে তা কবুল হয়ে যায়।সুতরাং হে আল্লাহর বান্দারা! অন্তরের খুশির সঙ্গে তোমরা কোরবানি কর’ (তিরমিজি’ ইবনে মাজাহ)।
অপর হাদিসে কোরবানির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বর্ণিত হয়েছে। বিখ্যাত সাহাবি হজরত জায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) বলেন, একদিন সাহাবিরা জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! এই কোরবানি কি? হুজুর (সা.) উত্তর দিলেন, তোমাদের পিতা হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর সুন্নাত (নিয়ম)। তারা পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, হে রাসূল! এতে আমাদের জন্য কি রয়েছে?হুজুর (সা.) বললেন, কোরবানির পশুর প্রতিটি পশমের পরিবর্তে একটি করে নেকি রয়েছে। তারা আবার জিজ্ঞাসা করলেন, হে রাসূল! পশমওয়ালা পশুদের (অর্থাত্ যেসব পশুর পশম বেশি হয় যেমন ভেড়া ইত্যাদির) পরিবর্তে কি সওয়াব পাওয়া যাবে?হুজুর (সা.) বললেন, পশমওয়ালা পশুর প্রতিটি পশমের পরিবর্তে একটি করে নেকি রয়েছে (চাই পশম যত বেশিই হোক না কেন)। মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ। প্রিয়নবী (সা.) বলেন, `হে লোক সকল! জেনে রাখ তোমাদের প্রত্যেক (সামর্থযবান) পরিবারের পক্ষে প্রতি বছরই কোরবানি করা আবশ্যক’। (আবু দাউদ, নাসায়ী)সামর্থয থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ কোরবানি না করে তাহলে তার জন্য রয়েছে কঠিন পরিণতি।
বিখ্যাত হাদিস বিশারদ সাহাবি হজরত আবু হোরায়রা (রা.) বলেন, রাসূলে পাক (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি সামর্থয থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করল না সে যেন ঈদগাহের কাছেও না আসে। (ইবনে মাজাহ)আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমরা প্রতি বছর পশু কোরবানি করে থাকি। মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনে নির্দেশ দিচ্ছেন।মহান আল্লাহ পাকের নির্দেশ মেনে চলার তাওফিক দান করুন আল্লাহুম্মা আমিন।
লেখক : বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী ছাহেব।
পবিত্র কোরআনের সূরা ছাফফাতে আল্লাহ পাক প্রিয়নবী হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও তাঁর একমাত্র পুত্র হজরত ইসমাঈল (আ.)-এর ঐতিহাসিক ঘটনা এভাবেই উল্লেখ করেছেন। ‘অতঃপর সে (ইসমাঈল) যখন পিতার সঙ্গে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হলো, তখন ইব্রাহিম তাকে বলল, বত্স! আমি স্বপ্নে দেখি যে, তোমাকে জবেহ করছি; এখন তোমার অভিমত কি দেখ। সে বলল, পিতা! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তাই করুন। আল্লাহ চাহে তো আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন।যখন পিতা-পুত্র উভয়ে আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইব্রাহিম (আ.) তাকে জবেহ করার জন্য শায়িত করল, তখন আমি তাকে ডেকে বললাম : হে ইব্রাহিম, তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে। আমি এভাবেই সত্কর্মীদের প্রতিদান দিয়ে থাকি। নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা। আমি তার পরিবর্তে দিলাম জবেহ করার জন্য এক মহান জন্তু।’
সূরা ছাফফাত, আয়াত ১০২-১০৭। হাদিসের কিতাবগুলোতে কোরবানির ফজিলত সংবলিত বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে। প্রিয় নবীজীর জীবন সঙ্গিনী হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘আদম সন্তান কোরবানির দিন যত নেক আমল করে তার মধ্যে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল হচ্ছে (পশু কোরবানির মাধ্যমে) রক্ত প্রবাহিত করা। কিয়ামতের দিন কোরবানির পশু (জীবিত হয়ে) তার শিং, খুর এবং পশম সহকারে উঠবে। কোরবানির পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহর দরবারে তা কবুল হয়ে যায়।সুতরাং হে আল্লাহর বান্দারা! অন্তরের খুশির সঙ্গে তোমরা কোরবানি কর’ (তিরমিজি’ ইবনে মাজাহ)।
অপর হাদিসে কোরবানির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বর্ণিত হয়েছে। বিখ্যাত সাহাবি হজরত জায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) বলেন, একদিন সাহাবিরা জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! এই কোরবানি কি? হুজুর (সা.) উত্তর দিলেন, তোমাদের পিতা হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর সুন্নাত (নিয়ম)। তারা পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, হে রাসূল! এতে আমাদের জন্য কি রয়েছে?হুজুর (সা.) বললেন, কোরবানির পশুর প্রতিটি পশমের পরিবর্তে একটি করে নেকি রয়েছে। তারা আবার জিজ্ঞাসা করলেন, হে রাসূল! পশমওয়ালা পশুদের (অর্থাত্ যেসব পশুর পশম বেশি হয় যেমন ভেড়া ইত্যাদির) পরিবর্তে কি সওয়াব পাওয়া যাবে?হুজুর (সা.) বললেন, পশমওয়ালা পশুর প্রতিটি পশমের পরিবর্তে একটি করে নেকি রয়েছে (চাই পশম যত বেশিই হোক না কেন)। মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ। প্রিয়নবী (সা.) বলেন, `হে লোক সকল! জেনে রাখ তোমাদের প্রত্যেক (সামর্থযবান) পরিবারের পক্ষে প্রতি বছরই কোরবানি করা আবশ্যক’। (আবু দাউদ, নাসায়ী)সামর্থয থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ কোরবানি না করে তাহলে তার জন্য রয়েছে কঠিন পরিণতি।
বিখ্যাত হাদিস বিশারদ সাহাবি হজরত আবু হোরায়রা (রা.) বলেন, রাসূলে পাক (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি সামর্থয থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করল না সে যেন ঈদগাহের কাছেও না আসে। (ইবনে মাজাহ)আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমরা প্রতি বছর পশু কোরবানি করে থাকি। মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনে নির্দেশ দিচ্ছেন।মহান আল্লাহ পাকের নির্দেশ মেনে চলার তাওফিক দান করুন আল্লাহুম্মা আমিন।
লেখক : বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী ছাহেব।