বগুড়ার ধুনট উপজেলায় রাতে স্বামীর মরদেহ দাফন করে সকালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে এক পরীক্ষার্থী। মিম উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের আনারপুর গ্রামের কালাম মণ্ডলের মেয়ে।
মঙ্গলবার (২ মে) ধুনট সরকারি এনইউ পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বাংলা দ্বিতীয়পত্র বিষয়ে পরীক্ষা দেয় সে। সে ধুনট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে মানবিক শাখায় পরীক্ষা দিচ্ছে।
পরীক্ষা কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদরের চালাপাড়া চৈতারপাড়ার নায়েব আলীর ছেলে নান্নু মিয়া (৩০) ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ঈদের ছুটিতে বাড়ি এলে ২৮ এপ্রিল পারিবারিকভাবেই নান্নু মিয়ার সঙ্গে ওই পরীক্ষার্থীর বিয়ে হয়। ৩০ এপ্রিল তার এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
প্রথম দিন স্বামীর সঙ্গে কেন্দ্রে গিয়ে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা দেয় সে। এরপর স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে আনারপুর গ্রামে বাবাবাড়ি যায়। ওইদিন রাত ৯টার নবদম্পতি একটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত দেড়টার দিকে ঘুম থেকে জেগে স্বামীকে বিছানায় খুঁজে পায়নি মেয়েটি।
এ সময় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ঘরের পাশে গাছের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় নান্নু মিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান তারা। খবর পেয়ে ১ মে সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নান্নু মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নান্নু মিয়ার মরদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সোমবার রাতে চালাপাড়া চৈতারপাড়ায় নিজ বাড়িতে নান্নু মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
পরীক্ষা শেষে মেয়েটি জানায়, ‘ওই রাতে একই বিছানায় ঘুমিয়ে ছিলাম। কিন্তু কী কারণে আমার স্বামী আত্মহত্যা করেছে তা সঠিক করে বলতে পারছি না। বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা খুব একটা ভালো হয়নি।’
এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব তফিজ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, স্বামীকে হারানো যে কারও জন্য খুবই কষ্টদায়ক। তারপরও মেয়েটি স্বামী হারানোর কষ্ট নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। আমরাও তার পরীক্ষার সময় যতটা সম্ভব পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।
মঙ্গলবার (২ মে) ধুনট সরকারি এনইউ পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বাংলা দ্বিতীয়পত্র বিষয়ে পরীক্ষা দেয় সে। সে ধুনট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে মানবিক শাখায় পরীক্ষা দিচ্ছে।
পরীক্ষা কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদরের চালাপাড়া চৈতারপাড়ার নায়েব আলীর ছেলে নান্নু মিয়া (৩০) ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ঈদের ছুটিতে বাড়ি এলে ২৮ এপ্রিল পারিবারিকভাবেই নান্নু মিয়ার সঙ্গে ওই পরীক্ষার্থীর বিয়ে হয়। ৩০ এপ্রিল তার এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
প্রথম দিন স্বামীর সঙ্গে কেন্দ্রে গিয়ে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা দেয় সে। এরপর স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে আনারপুর গ্রামে বাবাবাড়ি যায়। ওইদিন রাত ৯টার নবদম্পতি একটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত দেড়টার দিকে ঘুম থেকে জেগে স্বামীকে বিছানায় খুঁজে পায়নি মেয়েটি।
এ সময় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ঘরের পাশে গাছের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় নান্নু মিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান তারা। খবর পেয়ে ১ মে সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নান্নু মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নান্নু মিয়ার মরদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সোমবার রাতে চালাপাড়া চৈতারপাড়ায় নিজ বাড়িতে নান্নু মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
পরীক্ষা শেষে মেয়েটি জানায়, ‘ওই রাতে একই বিছানায় ঘুমিয়ে ছিলাম। কিন্তু কী কারণে আমার স্বামী আত্মহত্যা করেছে তা সঠিক করে বলতে পারছি না। বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা খুব একটা ভালো হয়নি।’
এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব তফিজ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, স্বামীকে হারানো যে কারও জন্য খুবই কষ্টদায়ক। তারপরও মেয়েটি স্বামী হারানোর কষ্ট নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। আমরাও তার পরীক্ষার সময় যতটা সম্ভব পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।