দুনিয়াতে সন্তানের জন্য বাবা নির্ভরতার আশ্রয়স্থল। ভালোবাসার দীর্ঘ ছায়া ও অনুশাসনের একটি শৃঙ্খল। বাবার ছায়া সন্তানের জন্য বিশাল রহমত। বাবা সন্তানের মুখে আহার যোগাতে সর্বস্ব ত্যাগ করেন। জন্ম দেওয়ার আগ থেকেই সন্তানকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন বাবা। এ জন্য বাবার মর্যাদা দিতে বলেছে ইসলাম। ভক্তি-শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার জায়গা থেকে বাবাকে আগলে রাখতে পবিত্র কুরআনে অনেক আয়াত ও হাদিসে হজরত মুহাম্মদ (সা.) থেকে অনেক বাণী এসেছে।
এদিকে আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে জিজ্ঞাসা করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল সবচেয়ে বেশি ভালো ব্যবহারের উপযুক্ত ব্যক্তি কে? তিনি বললেন, তোমার মা। লোকটি আবার বললেন, তারপর কে? হজরত মুহাম্মদ (সা.) বললেন, তোমার মা। লোকটি আবারও বললেন, তারপর কে? হজরত মুহাম্মদ (সা.) বললেন, তোমার বাবা। বুখারি ৫৯৭১, মুসলিম ৮৫ হজরত মুহাম্মদ (সা.) বাবার মর্যাদা সম্পর্কে বলেছেন, বাবার সন্তুষ্টিতে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন; বাবার অসন্তুষ্টিতে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন। সে কারণেই ইসলাম বাবা-মায়ের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করাকে বড় গুনাহের কাজ বলে উল্লেখ করেছেন।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমি হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে জিজ্ঞেস করলাম, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় কাজ কোনটি? তিনি বললেন, সময়মতো নামাজ আদায় করা। আমি বললাম, তারপর কোনটি? তিনি বললেন, বাবা-মায়ের সঙ্গে উত্তম আচরণ করা। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তারপর কোনটি? তিনি বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ করা। সহিহ বুখারি ও মুসলিম
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন, তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করবে না এবং বাবা-মায়ের সঙ্গে ভালো আচরণ করবে। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হন; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না, তাদেরকে ধমক দিও না, তাদের সঙ্গে শিষ্টাচারপূর্ণ কথা বলো। (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ২৩) বাবার বন্ধু বাবার জীবনে সুখ-দুঃখের সঙ্গী। তাদের সম্মান জানানোর অর্থ বাবাকে সম্মান জানানো। তাদের ভালোবাসার মধ্যেই বাবার ভালোবাসা।
আবু উসাইদ (রা.) বলেন, একবার আমরা হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কাছে বসেছিলাম। এমন সময় বনি সালামা গোত্রের এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! বাবা-মায়ের মৃত্যুর পরও তাদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করার দায়িত্ব আমার ওপর রয়েছে কি? তা কীভাবে করতে হবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তাদের জন্য দোয়া করা। তাদের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা, তাদের অঙ্গীকারগুলো পূর্ণ করা, তাদের আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা। তাদের বন্ধুদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। (আবু দাউদ, হাদিস নং ৩৪৪)
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, সৎ কাজগুলোর মধ্যে সর্বাপেক্ষা বড় সৎকাজ হলো- কোনো ব্যক্তি তার বাবার বন্ধুদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা। (মুসলিম শরিফ)। হজরত মুহাম্মদ (সা.) জিহাদে অংশগ্রহণ করার চেয়েও মা-বাবার খেদমতকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবি (সা.) এর কাছে এলেন। এরপর সে তার কাছে জিহাদে অংশগ্রহণের অনুমতি চাইলেন। তখন তিনি বললেন, তোমার মা-বাবা কি জীবিত আছেন? সে বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তাহলে তাদের উভয়ের খেদমত করে সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা কর। (সহিহ মুসলিম ৬৩৯৮)।
সন্তানের জন্য মা-বাবা আল্লাহর দেওয়া অনেক বড় নিয়ামত। প্রতিটি সন্তানের উচিত মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা, মা-বাবার খেদমত করে জান্নাতের যাওয়ার পথ সুগম করার চেষ্টা করা। মা-বাবাকে সর্বোচ্চ সম্মান-মর্যাদার আসনে আসীন করে ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণের সঙ্গে রবের সন্তুষ্টি অর্জনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। আল্লাহ আমাদের বাবাদের পূর্ণ সম্মান ও মর্যাদা দান করুন। আমিন
এদিকে আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে জিজ্ঞাসা করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল সবচেয়ে বেশি ভালো ব্যবহারের উপযুক্ত ব্যক্তি কে? তিনি বললেন, তোমার মা। লোকটি আবার বললেন, তারপর কে? হজরত মুহাম্মদ (সা.) বললেন, তোমার মা। লোকটি আবারও বললেন, তারপর কে? হজরত মুহাম্মদ (সা.) বললেন, তোমার বাবা। বুখারি ৫৯৭১, মুসলিম ৮৫ হজরত মুহাম্মদ (সা.) বাবার মর্যাদা সম্পর্কে বলেছেন, বাবার সন্তুষ্টিতে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন; বাবার অসন্তুষ্টিতে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন। সে কারণেই ইসলাম বাবা-মায়ের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করাকে বড় গুনাহের কাজ বলে উল্লেখ করেছেন।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমি হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে জিজ্ঞেস করলাম, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় কাজ কোনটি? তিনি বললেন, সময়মতো নামাজ আদায় করা। আমি বললাম, তারপর কোনটি? তিনি বললেন, বাবা-মায়ের সঙ্গে উত্তম আচরণ করা। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তারপর কোনটি? তিনি বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ করা। সহিহ বুখারি ও মুসলিম
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন, তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করবে না এবং বাবা-মায়ের সঙ্গে ভালো আচরণ করবে। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হন; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না, তাদেরকে ধমক দিও না, তাদের সঙ্গে শিষ্টাচারপূর্ণ কথা বলো। (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ২৩) বাবার বন্ধু বাবার জীবনে সুখ-দুঃখের সঙ্গী। তাদের সম্মান জানানোর অর্থ বাবাকে সম্মান জানানো। তাদের ভালোবাসার মধ্যেই বাবার ভালোবাসা।
আবু উসাইদ (রা.) বলেন, একবার আমরা হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কাছে বসেছিলাম। এমন সময় বনি সালামা গোত্রের এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! বাবা-মায়ের মৃত্যুর পরও তাদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করার দায়িত্ব আমার ওপর রয়েছে কি? তা কীভাবে করতে হবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তাদের জন্য দোয়া করা। তাদের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা, তাদের অঙ্গীকারগুলো পূর্ণ করা, তাদের আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা। তাদের বন্ধুদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। (আবু দাউদ, হাদিস নং ৩৪৪)
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, সৎ কাজগুলোর মধ্যে সর্বাপেক্ষা বড় সৎকাজ হলো- কোনো ব্যক্তি তার বাবার বন্ধুদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা। (মুসলিম শরিফ)। হজরত মুহাম্মদ (সা.) জিহাদে অংশগ্রহণ করার চেয়েও মা-বাবার খেদমতকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবি (সা.) এর কাছে এলেন। এরপর সে তার কাছে জিহাদে অংশগ্রহণের অনুমতি চাইলেন। তখন তিনি বললেন, তোমার মা-বাবা কি জীবিত আছেন? সে বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তাহলে তাদের উভয়ের খেদমত করে সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা কর। (সহিহ মুসলিম ৬৩৯৮)।
সন্তানের জন্য মা-বাবা আল্লাহর দেওয়া অনেক বড় নিয়ামত। প্রতিটি সন্তানের উচিত মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা, মা-বাবার খেদমত করে জান্নাতের যাওয়ার পথ সুগম করার চেষ্টা করা। মা-বাবাকে সর্বোচ্চ সম্মান-মর্যাদার আসনে আসীন করে ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণের সঙ্গে রবের সন্তুষ্টি অর্জনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। আল্লাহ আমাদের বাবাদের পূর্ণ সম্মান ও মর্যাদা দান করুন। আমিন