এবার জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আজ আলোচনায় বসবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এছাড়াও আগামীকাল বৃহস্পতিবার বৈঠক করবেন ধর্মীয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে। গতকাল মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। প্রেস সচিব বলেন, জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে আহবান জানাবেন প্রধান উপদেষ্টা। পরদিন বৃহস্পতিবার তিনি ধর্মীয় নেতাদের একটি ডায়ালগের আহ্বান করেছেন।
আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে রাজনৈতিক দগুলোর সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তবে কোন কোন দল অংশ নেবে সেটি স্পষ্ট করে বলা হয়নি। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, কোন কোন রাজনীতি দল অংশ নেবে তা পরে জানতে পারবেন। ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে কখন কোথায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
কী বিষয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন প্রধান উপদেষ্টা এমন প্রশ্নে শফিকুল আলম বলেন, ইদানীং কিছু ঘটনা নিয়ে বৃহৎ পরিসরে অপতথ্য ছড়ানোর প্রয়াস আমরা দেখছি। অনেকাংশেই দেখছি ভারতীয় গণমাধ্যম খুবই আক্রমণাত্মকভাবে এগুলো করছে। সেটার জন্য জাতীয়ভাবে ঐক্য তৈরি করে আমাদের বলতে হবে, তোমরা আসো, দেখো কী হচ্ছে। একই সঙ্গে আমাদের জাতীয় ঐক্যটাও ধরে রাখা। আমাদের দেশকে নিয়ে অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এখানে ইমেজের প্রশ্ন আছে। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এ অপতথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে নামতে হবে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোকে আহ্বান করবো বাংলাদেশ নিয়ে যে ভয়ানক ধরনের মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে তার জবাব দিয়ে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরতে। এটা জাতীয় দায়িত্ব বলে মনে করি।
এক প্রশ্নের জবাবে গত আগস্টে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা হয় জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, সেসময়ও ভারতীয় মিডিয়ায় অপপ্রচার চালানো হয়েছিল। নরেন্দ্র মোদির কাছে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে ভারতীয় সাংবাদিকদের ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলেন। সেখানে তাদের অনুসন্ধান করার জন্য বলেন। সেখানে সহিংসতা হচ্ছে কিনা তা খুঁজে বের করতে বলেন। আর আমরা (প্রেস উইং) ভারতীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি।
তিনি বলেন, তারা তথ্য পাচ্ছে তাদের লাইকিংয়ে (পছন্দে) যারা পড়ছেন, সেটা হতে তথ্য নিচ্ছেন। অনেকক্ষেত্রে নাম ছাড়া তথ্য নিচ্ছেন। আবার তারা বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ থেকেও তথ্য নিচ্ছেন। নেত্র নিউজ দেখিয়েছে তাদের তথ্যে বড় রকমের গলদ আছে। ৯ জনের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তার কোনোটি সাম্প্রদায়িক কারণে হয়নি। মৃত্যুগুলোর পেছনে ছিল রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত কারণ। সংগঠনটি নেত্র নিউজের প্রতিবেদনের নিয়ে কোনও প্রতিবাদ জানায়নি। তারা এটাও বলেনি আমরা ঘটনাগুলো পুনরায় দেখি।
একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে বাংলাদেশ পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান প্রেস সচিব। তিনি বলেন, আমরা খুবই স্বচ্ছ। কিন্তু অনেকক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অনেকেই চোখ, কান, নাক বন্ধ রেখে, বধিরের মতো হয়ে থেকে বলছে, সে (ভারত) যেটাই বলছে সেটাই সত্য। আমরা বারবার বলছি কিন্তু আমাদের কথাটা শুনেও না শোনার ভাব করছে তারা।
আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে রাজনৈতিক দগুলোর সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তবে কোন কোন দল অংশ নেবে সেটি স্পষ্ট করে বলা হয়নি। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, কোন কোন রাজনীতি দল অংশ নেবে তা পরে জানতে পারবেন। ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে কখন কোথায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
কী বিষয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন প্রধান উপদেষ্টা এমন প্রশ্নে শফিকুল আলম বলেন, ইদানীং কিছু ঘটনা নিয়ে বৃহৎ পরিসরে অপতথ্য ছড়ানোর প্রয়াস আমরা দেখছি। অনেকাংশেই দেখছি ভারতীয় গণমাধ্যম খুবই আক্রমণাত্মকভাবে এগুলো করছে। সেটার জন্য জাতীয়ভাবে ঐক্য তৈরি করে আমাদের বলতে হবে, তোমরা আসো, দেখো কী হচ্ছে। একই সঙ্গে আমাদের জাতীয় ঐক্যটাও ধরে রাখা। আমাদের দেশকে নিয়ে অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এখানে ইমেজের প্রশ্ন আছে। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এ অপতথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে নামতে হবে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোকে আহ্বান করবো বাংলাদেশ নিয়ে যে ভয়ানক ধরনের মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে তার জবাব দিয়ে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরতে। এটা জাতীয় দায়িত্ব বলে মনে করি।
এক প্রশ্নের জবাবে গত আগস্টে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা হয় জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, সেসময়ও ভারতীয় মিডিয়ায় অপপ্রচার চালানো হয়েছিল। নরেন্দ্র মোদির কাছে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে ভারতীয় সাংবাদিকদের ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলেন। সেখানে তাদের অনুসন্ধান করার জন্য বলেন। সেখানে সহিংসতা হচ্ছে কিনা তা খুঁজে বের করতে বলেন। আর আমরা (প্রেস উইং) ভারতীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি।
তিনি বলেন, তারা তথ্য পাচ্ছে তাদের লাইকিংয়ে (পছন্দে) যারা পড়ছেন, সেটা হতে তথ্য নিচ্ছেন। অনেকক্ষেত্রে নাম ছাড়া তথ্য নিচ্ছেন। আবার তারা বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ থেকেও তথ্য নিচ্ছেন। নেত্র নিউজ দেখিয়েছে তাদের তথ্যে বড় রকমের গলদ আছে। ৯ জনের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তার কোনোটি সাম্প্রদায়িক কারণে হয়নি। মৃত্যুগুলোর পেছনে ছিল রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত কারণ। সংগঠনটি নেত্র নিউজের প্রতিবেদনের নিয়ে কোনও প্রতিবাদ জানায়নি। তারা এটাও বলেনি আমরা ঘটনাগুলো পুনরায় দেখি।
একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে বাংলাদেশ পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান প্রেস সচিব। তিনি বলেন, আমরা খুবই স্বচ্ছ। কিন্তু অনেকক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অনেকেই চোখ, কান, নাক বন্ধ রেখে, বধিরের মতো হয়ে থেকে বলছে, সে (ভারত) যেটাই বলছে সেটাই সত্য। আমরা বারবার বলছি কিন্তু আমাদের কথাটা শুনেও না শোনার ভাব করছে তারা।