এবার ভারতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে, মোদী সরকারকে এমন সব কর্মকাণ্ড বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতীয় রাজনীতিবিদ ও জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্সে’র সভাপতি ফারুক আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, কোন সন্দেহ নেই যে, ভারতে মুসলিমরা অনিরাপদ। এসময়, মোদী সরকারকে মুসলিমদের সম-অধিকারী হিসেবে দেখতে বললেন এই মুসলিম নেতা।
সোমবার তিনি ভারত সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, সাম্বলে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। তিনি আরও বলেন, ভারতের মুসলিমরা সাগরে নিক্ষিপ্ত হতে পারে না। সরকার ভারতের ২৪ কোটি মুসলিমদের কোথায় ফেলবে?
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সরকারের উদ্দেশ্যে ফারুক আবদুল্লাহ বলেছেন, মুসলিমদের সম-অধিকারী হিসেবে দেখুন, এটি সংবিধানের মূল মন্ত্র। এদিন, সরকারের সমালোচনায় তিনি আরও বলেন, যদি এই সরকার সংবিধানকে বদলাতে চায়, তাহলে ভারত কীভাবে টিকে থাকবে?
সম্প্রতি, উমরাহ পালন শেষে এই মুসলিম নেতা জানান, তিনি পবিত্র জায়গায় কেবল কাশ্মীরের জন্য নয়, সারা মুসলিম বিশ্বের জন্য প্রার্থনা করেছেন। তারা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, আল্লাহ যেন তাদের এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেন এবং সঠিক পথে নিয়ে যান। তিনি আরও বলেন, আমি প্রার্থনা করেছি, ভারতে ছড়িয়ে পড়া ধর্মীয় ঘৃণার যেন সমাপ্তি ঘটে।
১০ বছর আগে ভারতের ভারানসীকে নিজের নির্বাচনী এলাকা হিসেবে বেছে নেন নরেন্দ্র মোদী। ভারতে উন্নয়ন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর, এই পার্টি এখন ভারতকে একটি কট্টর হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টায় মত্ত। বিজেপি’র উগ্র হিন্দুত্ববাদী নীতির কারণে ভারতের সংখ্যালঘুরা এখন ব্যাপক অনিশ্চয়তায় ভুগছে।
এ বছরের মে মাসে সিএনএনে’র একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ভারানসীর মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকেই মোদির পুনঃনির্বাচনে ভীত। সিএনএনকে ভারানসীর মুসলিম নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন, ভারতে মুসলিমরা এখন আরও বেশি অনিরাপদ। মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রচুর ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ানো হয়। তারা মনে করেন, বিজেপি’র পদক্ষেপগুলো হয় মূলত মুসলিম বিরোধী।
বিজেপি’র উগ্র হিন্দুত্ববাদী নীতির কারণে ভারানসীর গায়ানভাপি মসজিদও তীব্র বিতর্কের মুখে পড়ে। এছাড়া, হিন্দু নেতারাও বারবার দাবি করছে, ভারতের মুসলিম জনগণ জোরপূর্বকভাবে ধর্মান্তরিত হয়েছে। যদিও, সেই ধারণা ইতিহাসের বাস্তবতা থেকে অনেকটাই আলাদা। সিএনএনের প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতের মুসলিমরা এখন নিজেদের ধর্ম পরিচয় গোপন রাখতে বাধ্য হচ্ছে। আগামী দিনে এই পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলেও শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
সোমবার তিনি ভারত সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, সাম্বলে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। তিনি আরও বলেন, ভারতের মুসলিমরা সাগরে নিক্ষিপ্ত হতে পারে না। সরকার ভারতের ২৪ কোটি মুসলিমদের কোথায় ফেলবে?
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সরকারের উদ্দেশ্যে ফারুক আবদুল্লাহ বলেছেন, মুসলিমদের সম-অধিকারী হিসেবে দেখুন, এটি সংবিধানের মূল মন্ত্র। এদিন, সরকারের সমালোচনায় তিনি আরও বলেন, যদি এই সরকার সংবিধানকে বদলাতে চায়, তাহলে ভারত কীভাবে টিকে থাকবে?
সম্প্রতি, উমরাহ পালন শেষে এই মুসলিম নেতা জানান, তিনি পবিত্র জায়গায় কেবল কাশ্মীরের জন্য নয়, সারা মুসলিম বিশ্বের জন্য প্রার্থনা করেছেন। তারা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, আল্লাহ যেন তাদের এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেন এবং সঠিক পথে নিয়ে যান। তিনি আরও বলেন, আমি প্রার্থনা করেছি, ভারতে ছড়িয়ে পড়া ধর্মীয় ঘৃণার যেন সমাপ্তি ঘটে।
১০ বছর আগে ভারতের ভারানসীকে নিজের নির্বাচনী এলাকা হিসেবে বেছে নেন নরেন্দ্র মোদী। ভারতে উন্নয়ন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর, এই পার্টি এখন ভারতকে একটি কট্টর হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টায় মত্ত। বিজেপি’র উগ্র হিন্দুত্ববাদী নীতির কারণে ভারতের সংখ্যালঘুরা এখন ব্যাপক অনিশ্চয়তায় ভুগছে।
এ বছরের মে মাসে সিএনএনে’র একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ভারানসীর মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকেই মোদির পুনঃনির্বাচনে ভীত। সিএনএনকে ভারানসীর মুসলিম নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন, ভারতে মুসলিমরা এখন আরও বেশি অনিরাপদ। মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রচুর ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ানো হয়। তারা মনে করেন, বিজেপি’র পদক্ষেপগুলো হয় মূলত মুসলিম বিরোধী।
বিজেপি’র উগ্র হিন্দুত্ববাদী নীতির কারণে ভারানসীর গায়ানভাপি মসজিদও তীব্র বিতর্কের মুখে পড়ে। এছাড়া, হিন্দু নেতারাও বারবার দাবি করছে, ভারতের মুসলিম জনগণ জোরপূর্বকভাবে ধর্মান্তরিত হয়েছে। যদিও, সেই ধারণা ইতিহাসের বাস্তবতা থেকে অনেকটাই আলাদা। সিএনএনের প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতের মুসলিমরা এখন নিজেদের ধর্ম পরিচয় গোপন রাখতে বাধ্য হচ্ছে। আগামী দিনে এই পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলেও শঙ্কায় রয়েছেন তারা।