এবার কুষ্টিয়ায় পাওনা টাকার দাবিতে এক ব্যক্তির মরদেহ আট ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে পরিবার ও আত্মীয়স্বজন জোর করে ওই ব্যক্তির মরদেহ সমাহিত করেন। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার খোকসা উপজেলার হিলালপুর গ্রামে। প্রয়াত মাইকেল এম রহমান ওরফে মতিন (৫৫) বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মারা যান।
মাইকেল হিলালপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। ২৫ বছর আগে তিনি খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেন। তিনি দুই স্ত্রী ও পাঁচ কন্যাসন্তান রেখে গেছেন। অভিযোগ রয়েছে মাইকেল বিভিন্ন ব্যক্তিকে বিদেশে পাঠানো, প্রকল্পের ঋণ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার মৃত্যুর খবরে টাকা পাওয়ার অভিযোগ তুলে স্থানীয়রা জড়ো হন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মাইকেল এম রহমানের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি হিলালপুরে আনা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কথিত পাওনাদাররা মৃত ব্যক্তির কাছে টাকা পাবে বলে দাবি করেন। তারা মরদেহ সমাহিত করতে বাধা দেন। এ নিয়ে পাওনাদারদের সঙ্গে মাইকেল এম রহমানের পরিবারের সদস্যরা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। দুপুর আড়াইটার দিকে পরিবারের লোকজন জোর করে মরদেহটি কমলাপুর চার্চে নিয়ে যান। সেখানে খ্রিষ্টান ধর্ম অনুযায়ী তার সমাধি করা হয়।
নিহতের বাড়িতে উপস্থিত সাইফুল ইসলাম দাবি করেন, তাকে অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর কথা বলে নগদ ৯ লাখ টাকা ও ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেকসহ মোট ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন মাইকেল। প্রায় তিন বছর পার হলেও তাকে আর বিদেশে পাঠাতে পারেননি। তার টাকাও ফেরত দেননি।
বীথি খাতুন নামে এক নারী জানান, তার স্বামী আরিফ হোসেনকে গরুর ফার্মের ওপর এক কোটি টাকা ঋণ করে দেওয়ার কথা বলে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। ঋণ না দিয়ে প্রায় দুই বছর ধরে ঘুরাতে থাকেন। শোমসপুর ইউনিয়নের জাহিদ হোসেন বলেন, গরুর খামারের ঋণ করিয়ে দেওয়ার কথা বলে এম রহমান চার লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কিন্তু ঋণ আর করে দেয়নি।
নিহতের দুই স্ত্রী সনিকা ও মারি দাবি করেন, তাদের স্বামী কারও সঙ্গে প্রতারণা করেননি। উল্টো তিনি অন্য মানুষের কাছে প্রায় কোটি টাকা পাবেন। অনেকেই তার কাছে চেক দিয়ে টাকা নিয়েছেন। তারা যাতে টাকার দাবি না করতে পারেন, সেই জন্য তাদের ওপর উল্টো চাপ দিচ্ছে।
এদিকে প্রয়াত ব্যক্তির ছোট ভাই মোক্তার হোসেন বলেন, মতিন ওরফে মাইকেল এম রহমান ইসলাম ধর্ম ত্যাগের পর পরিবার থেকে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এক সপ্তাহ আগে তিনি ব্রেন স্ট্রোক করে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পাওনার বিষয়ে কথিত পাওনাদার ও মৃত ব্যক্তিই জানেন।
মাইকেল হিলালপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। ২৫ বছর আগে তিনি খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেন। তিনি দুই স্ত্রী ও পাঁচ কন্যাসন্তান রেখে গেছেন। অভিযোগ রয়েছে মাইকেল বিভিন্ন ব্যক্তিকে বিদেশে পাঠানো, প্রকল্পের ঋণ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার মৃত্যুর খবরে টাকা পাওয়ার অভিযোগ তুলে স্থানীয়রা জড়ো হন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মাইকেল এম রহমানের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি হিলালপুরে আনা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কথিত পাওনাদাররা মৃত ব্যক্তির কাছে টাকা পাবে বলে দাবি করেন। তারা মরদেহ সমাহিত করতে বাধা দেন। এ নিয়ে পাওনাদারদের সঙ্গে মাইকেল এম রহমানের পরিবারের সদস্যরা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। দুপুর আড়াইটার দিকে পরিবারের লোকজন জোর করে মরদেহটি কমলাপুর চার্চে নিয়ে যান। সেখানে খ্রিষ্টান ধর্ম অনুযায়ী তার সমাধি করা হয়।
নিহতের বাড়িতে উপস্থিত সাইফুল ইসলাম দাবি করেন, তাকে অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর কথা বলে নগদ ৯ লাখ টাকা ও ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেকসহ মোট ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন মাইকেল। প্রায় তিন বছর পার হলেও তাকে আর বিদেশে পাঠাতে পারেননি। তার টাকাও ফেরত দেননি।
বীথি খাতুন নামে এক নারী জানান, তার স্বামী আরিফ হোসেনকে গরুর ফার্মের ওপর এক কোটি টাকা ঋণ করে দেওয়ার কথা বলে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। ঋণ না দিয়ে প্রায় দুই বছর ধরে ঘুরাতে থাকেন। শোমসপুর ইউনিয়নের জাহিদ হোসেন বলেন, গরুর খামারের ঋণ করিয়ে দেওয়ার কথা বলে এম রহমান চার লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কিন্তু ঋণ আর করে দেয়নি।
নিহতের দুই স্ত্রী সনিকা ও মারি দাবি করেন, তাদের স্বামী কারও সঙ্গে প্রতারণা করেননি। উল্টো তিনি অন্য মানুষের কাছে প্রায় কোটি টাকা পাবেন। অনেকেই তার কাছে চেক দিয়ে টাকা নিয়েছেন। তারা যাতে টাকার দাবি না করতে পারেন, সেই জন্য তাদের ওপর উল্টো চাপ দিচ্ছে।
এদিকে প্রয়াত ব্যক্তির ছোট ভাই মোক্তার হোসেন বলেন, মতিন ওরফে মাইকেল এম রহমান ইসলাম ধর্ম ত্যাগের পর পরিবার থেকে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এক সপ্তাহ আগে তিনি ব্রেন স্ট্রোক করে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পাওনার বিষয়ে কথিত পাওনাদার ও মৃত ব্যক্তিই জানেন।