এবার যশোরের ঝিকরগাছায় প্রতিপক্ষের হামলায় পিয়াল হাসান (২৮) নামে এক যুবদল কর্মী খুন হয়েছেন। শনিবার দুপুরে (৯ নভেম্বর) ঝিকরগাছা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাকে কুপিয়ে খুন করা হয়। নিহত পিয়াল মোবারকপুর বিশ্বাসপাড়ার কিতাব আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনসহ বিভিন্ন ধারায় ১০টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে নিহত পিয়ালের পরিবার তাকে যুবদলকর্মী বলে দাবি করলেও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমরান সামাদ নিপুন বলেন, পিয়াল একসময় যুবদল করলেও বিগত সরকারের শেষদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুসা মাহমুদের নেতৃত্বে চলাফেরা করতেন।
যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, নিহত পিয়াল ও অভিযুক্তরা একই দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও এই ঘটনা পূর্ব বিরোধের জের ধরে সংগঠিত হয়েছে। পিয়ালের নামে বিস্ফোরক আইনের মামলাসহ ১০টি মামলা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই হত্যার সঙ্গে জড়িতদের পুলিশ চিহ্নিত করতে পেরেছে। পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনরা জানায়, রাজনীতির পাশাপাশি পিয়াল ঝিকরগাছা বাজারে মুরগির ব্যবসা করতেন। শনিবার দুপুরে স্থানীয় কাউন্সিলর নুরুজ্জামান বাবু, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি শামীম রেজাসহ কয়েকজন সেখানে সশস্ত্র হানা দেয়। এ সময় শামীম রেজার কাছে বার বার মাফ চান পিয়াল। তারপরও তারা পিয়ালকে কুপিয়ে আহত করেন। প্রাণ বাঁচাতে পিয়াল বাজার থেকে পালালে তাকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে। বোমা লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে তিনি আবার পালিয়ে স্থানীয় পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভেতরে আশ্রয় নেন। সেখানে একটি বারান্দাতে পিয়ালকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
নিহতের ছোট ভাই সুমন হাসান বলেন, ‘মুরগি বাজারে ৫ আগস্ট পিয়ালের সঙ্গে কাউন্সিলর বাবু ও ছাত্রদল নেতা শামীমদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। সেই ঘটনায় মামলা হলে সম্প্রতি কারাভোগ করে তার ভাই জামিনে মুক্ত হন। এর পর শামীমরা আমার ভাইকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসে। আমার ভাইও কয়েক দফা তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েও মাফ পেল না। আজ আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। মৃত্যুর ভয়ে বন্ধ স্কুলে লুকালে তারা পিয়ালকে খোঁজে বের করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয়রা জানান, ৫ আগস্টের পরে ঝিকরগাছা উপজেলাতে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠে। প্রায় প্রতিদিনই নিজেদের ভেতরে হামলা ভাঙচুর, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ জড়াচ্ছে নেতাকর্মীরা। নিহত পিয়াল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান নিপুণের অনুসারীদের সঙ্গে চলাফেরা করতো। অভিযুক্তরা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোর্তজা এলাহী টিপুর অনুসারী।
গত ৫ আগস্ট বাজারে নিজ দলের আধিপত্যে বিস্তার নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর নুরুজ্জামান বাবুর অনুসারী পৌর ছাত্রদলের সভাপতি শামীম রেজার সঙ্গে বিরোধ হয়। সেই বিরোধের জেরে ওইদিন কাউন্সিলর বাবু, পৌর ছাত্রদল নেতা শামীম রেজাসহ কয়েকজন পিয়ালের দোকান ভাঙচুর করেন। এর প্রেক্ষিতে পিয়ালও শামীম রেজার বাবা কামরুলকে পিটিয়ে আহত করে। সেই মামলায় সম্প্রতি তিনি আত্মসমর্পণ করলে কারাবরণ করে গত বৃহস্পতিবার তিনি জামিনে মুক্ত পান। ওইদিন রাতেই ছাত্রদল নেতা শামীম রেজাসহ কয়েকজন পিয়ালের বাড়িতে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ ও তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসে।
এদিকে নিহত পিয়ালের পরিবার তাকে যুবদলকর্মী বলে দাবি করলেও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমরান সামাদ নিপুন বলেন, পিয়াল একসময় যুবদল করলেও বিগত সরকারের শেষদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুসা মাহমুদের নেতৃত্বে চলাফেরা করতেন।
যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, নিহত পিয়াল ও অভিযুক্তরা একই দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও এই ঘটনা পূর্ব বিরোধের জের ধরে সংগঠিত হয়েছে। পিয়ালের নামে বিস্ফোরক আইনের মামলাসহ ১০টি মামলা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই হত্যার সঙ্গে জড়িতদের পুলিশ চিহ্নিত করতে পেরেছে। পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনরা জানায়, রাজনীতির পাশাপাশি পিয়াল ঝিকরগাছা বাজারে মুরগির ব্যবসা করতেন। শনিবার দুপুরে স্থানীয় কাউন্সিলর নুরুজ্জামান বাবু, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি শামীম রেজাসহ কয়েকজন সেখানে সশস্ত্র হানা দেয়। এ সময় শামীম রেজার কাছে বার বার মাফ চান পিয়াল। তারপরও তারা পিয়ালকে কুপিয়ে আহত করেন। প্রাণ বাঁচাতে পিয়াল বাজার থেকে পালালে তাকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে। বোমা লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে তিনি আবার পালিয়ে স্থানীয় পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভেতরে আশ্রয় নেন। সেখানে একটি বারান্দাতে পিয়ালকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
নিহতের ছোট ভাই সুমন হাসান বলেন, ‘মুরগি বাজারে ৫ আগস্ট পিয়ালের সঙ্গে কাউন্সিলর বাবু ও ছাত্রদল নেতা শামীমদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। সেই ঘটনায় মামলা হলে সম্প্রতি কারাভোগ করে তার ভাই জামিনে মুক্ত হন। এর পর শামীমরা আমার ভাইকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসে। আমার ভাইও কয়েক দফা তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েও মাফ পেল না। আজ আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। মৃত্যুর ভয়ে বন্ধ স্কুলে লুকালে তারা পিয়ালকে খোঁজে বের করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয়রা জানান, ৫ আগস্টের পরে ঝিকরগাছা উপজেলাতে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠে। প্রায় প্রতিদিনই নিজেদের ভেতরে হামলা ভাঙচুর, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ জড়াচ্ছে নেতাকর্মীরা। নিহত পিয়াল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান নিপুণের অনুসারীদের সঙ্গে চলাফেরা করতো। অভিযুক্তরা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোর্তজা এলাহী টিপুর অনুসারী।
গত ৫ আগস্ট বাজারে নিজ দলের আধিপত্যে বিস্তার নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর নুরুজ্জামান বাবুর অনুসারী পৌর ছাত্রদলের সভাপতি শামীম রেজার সঙ্গে বিরোধ হয়। সেই বিরোধের জেরে ওইদিন কাউন্সিলর বাবু, পৌর ছাত্রদল নেতা শামীম রেজাসহ কয়েকজন পিয়ালের দোকান ভাঙচুর করেন। এর প্রেক্ষিতে পিয়ালও শামীম রেজার বাবা কামরুলকে পিটিয়ে আহত করে। সেই মামলায় সম্প্রতি তিনি আত্মসমর্পণ করলে কারাবরণ করে গত বৃহস্পতিবার তিনি জামিনে মুক্ত পান। ওইদিন রাতেই ছাত্রদল নেতা শামীম রেজাসহ কয়েকজন পিয়ালের বাড়িতে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ ও তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসে।