এবার ঘরের মাঠে অজেয় ছিল ভারত। ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের পর তাদের মাঠে টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি কোনো দল। এক যুগ পর সপ্তাহখানেক আগে ভারতকে হারিয়ে টেস্ট সিরিজ জিতেছে কিউইরা। এবার ভারতকে লজ্জায় ডুবালো নিউজিল্যান্ড। ঘরের মাঠে ৩-০ তে রোহিত-কোহলিদের হোয়াইটওয়াশ করেছে টম লাথামের দল। ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজে এবারই প্রথম হোয়াইটওয়াশ হয়েছে ভারত। আর সবশেষ ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে ঘরের মাঠে প্রোটয়াদের বিপক্ষে ২-০ তে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল ভারত। এরপর আর তাদেরকে এই লজ্জায় পড়তে হয়নি।
ওয়াংখেড়ে টেস্টের দ্বিতীয় দিন ১৭১ রানে শেষ করেছিল কিউইরা। হাতে ছিল মাত্র এক উইকেট। তৃতীয় দিন সকালে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস গুটিয়ে দিতে বেশি সময় নেয়নি ভারত। রান যোগ করতে পারে মাত্র ৪। কিউইদের সংগ্রহ ১৭৫। ভারত প্রথম ইনিংসে ২৮ রানে এগিয়ে থাকায় তাদের লক্ষ্য কমে দাঁড়ায় ১৪৭। সেই রানই এজাজ প্যাটেল ও গ্লেন ফিলিপসের স্পিনে কিউইদের জয়ের জন্য যতেষ্ট ছিল। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে। হেরেছে ২৫ রানে।
এদিকে ১৪৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অধিনায়ক রোহিতকে হারায় ভারত। দলীয় মাত্র ১৩ রানের সময় কিউই পেসার ম্যাট হেনরির বলে ফিলিপসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন হিটম্যান। এরপর শুরু হয় এজাজ প্যাটেলের তাণ্ডব। তার স্পিনে দ্রুতেই সাজঘরে ফিরে যান আগের ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করা গিল। ফেরার আগে করেন মাত্র ১ রান। এই ইনিংসেও ব্যর্থ রানমেশিন কোহলি। প্যাটেলের বলে বিরাট যখন ড্রেসিংরুমের। দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকা ভারতের হাল ধরতে পারেননি ওপেনার জয়সোয়াল ও মিডল অর্ডার ব্যাটার সরফরাজ খান।
জয়সোয়ালকে ৫ রানে ফিলিপস ও সরফরাজকে ১ রানে সাজঘরে ফেরান প্যাটেল। এতে ২৯ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে স্বাগতিকরা। এরপর ঋষভ পান্ত ও জাদেজার জুটিতে লড়াইয়ের চেষ্টা চালায় গৌতম গম্ভীরের দল। যদিও ৪২ রানের এই জুটিতে জাদেজার অবদান মাত্র ৬ রান। অপরপাশের ব্যাটার পান্ত চার-ছক্কায় দলের সংগ্রহ এগিয়ে নিচ্ছিলেন। পাশাপাশি কিউই বোলারদের মনে আতঙ্কও ছড়াচ্ছিলেন। এই জুটিও ভাঙেন এজাজ প্যাটেল। তার বলে ইয়াংয়ের হাতে ধরা পড়েন জাদেজা। যদিও কঠিন একটি ক্যাচ নিয়ে দলকে সাফল্য দেন ইয়াং।
৭১ রানে ৬ উইকেট হারানো ভারত তাদের জয়ের পথ থেকে ছিটকে যায় মূলত উইকেটরক্ষক ব্যাটার পান্তের বিদায়ে। দলীয় ১০৬ রানে উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পান্ত। এর মাধ্যমে প্যাটেল তার ফাইফার তুলে নেন। ফেরার আগে ৫৭ বলে ৬৪ রানের এক ঝলমলে ইনিংস উপহার দেন পান্ত। এরপর অশ্বিন ও সুন্দরের দিকে তাকিয়ে ছিল টিম ইন্ডিয়া। তবে এবার দৃশ্যপটে গ্লেন ফিলিপস। পরপর দুই বলে অশ্বিন ও আকাশ দীপকে ফিরিয়ে দলের জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেন এই স্পিনার।
আর ওয়াশিংটন সুন্দরকে প্যাটেল ফিরিয়ে ভারতকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবান। ভারত শেষ তিন উইকেট হারিয়েছে কোনো রান না তুলেই। ১২১/৭ থেকে ১২১/১০ স্কোরকার্ড হয় স্বাগতিকদের। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নেয়া স্পিনার এজাজ প্যাটেলের হাতে উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার। আর তিন টেস্টে ২৪৪ রান করা উইল ইয়াংয়ের হাতে উঠেছে সিরিজসেরার পুরস্কার। দ্বিতীয় ইনিংসে গ্লেন ফিলিপস নিয়েছেন ‘মূল্যবান’ তিন উইকেট।
ওয়াংখেড়ে টেস্টের দ্বিতীয় দিন ১৭১ রানে শেষ করেছিল কিউইরা। হাতে ছিল মাত্র এক উইকেট। তৃতীয় দিন সকালে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস গুটিয়ে দিতে বেশি সময় নেয়নি ভারত। রান যোগ করতে পারে মাত্র ৪। কিউইদের সংগ্রহ ১৭৫। ভারত প্রথম ইনিংসে ২৮ রানে এগিয়ে থাকায় তাদের লক্ষ্য কমে দাঁড়ায় ১৪৭। সেই রানই এজাজ প্যাটেল ও গ্লেন ফিলিপসের স্পিনে কিউইদের জয়ের জন্য যতেষ্ট ছিল। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে। হেরেছে ২৫ রানে।
এদিকে ১৪৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অধিনায়ক রোহিতকে হারায় ভারত। দলীয় মাত্র ১৩ রানের সময় কিউই পেসার ম্যাট হেনরির বলে ফিলিপসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন হিটম্যান। এরপর শুরু হয় এজাজ প্যাটেলের তাণ্ডব। তার স্পিনে দ্রুতেই সাজঘরে ফিরে যান আগের ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করা গিল। ফেরার আগে করেন মাত্র ১ রান। এই ইনিংসেও ব্যর্থ রানমেশিন কোহলি। প্যাটেলের বলে বিরাট যখন ড্রেসিংরুমের। দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকা ভারতের হাল ধরতে পারেননি ওপেনার জয়সোয়াল ও মিডল অর্ডার ব্যাটার সরফরাজ খান।
জয়সোয়ালকে ৫ রানে ফিলিপস ও সরফরাজকে ১ রানে সাজঘরে ফেরান প্যাটেল। এতে ২৯ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে স্বাগতিকরা। এরপর ঋষভ পান্ত ও জাদেজার জুটিতে লড়াইয়ের চেষ্টা চালায় গৌতম গম্ভীরের দল। যদিও ৪২ রানের এই জুটিতে জাদেজার অবদান মাত্র ৬ রান। অপরপাশের ব্যাটার পান্ত চার-ছক্কায় দলের সংগ্রহ এগিয়ে নিচ্ছিলেন। পাশাপাশি কিউই বোলারদের মনে আতঙ্কও ছড়াচ্ছিলেন। এই জুটিও ভাঙেন এজাজ প্যাটেল। তার বলে ইয়াংয়ের হাতে ধরা পড়েন জাদেজা। যদিও কঠিন একটি ক্যাচ নিয়ে দলকে সাফল্য দেন ইয়াং।
৭১ রানে ৬ উইকেট হারানো ভারত তাদের জয়ের পথ থেকে ছিটকে যায় মূলত উইকেটরক্ষক ব্যাটার পান্তের বিদায়ে। দলীয় ১০৬ রানে উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পান্ত। এর মাধ্যমে প্যাটেল তার ফাইফার তুলে নেন। ফেরার আগে ৫৭ বলে ৬৪ রানের এক ঝলমলে ইনিংস উপহার দেন পান্ত। এরপর অশ্বিন ও সুন্দরের দিকে তাকিয়ে ছিল টিম ইন্ডিয়া। তবে এবার দৃশ্যপটে গ্লেন ফিলিপস। পরপর দুই বলে অশ্বিন ও আকাশ দীপকে ফিরিয়ে দলের জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেন এই স্পিনার।
আর ওয়াশিংটন সুন্দরকে প্যাটেল ফিরিয়ে ভারতকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবান। ভারত শেষ তিন উইকেট হারিয়েছে কোনো রান না তুলেই। ১২১/৭ থেকে ১২১/১০ স্কোরকার্ড হয় স্বাগতিকদের। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নেয়া স্পিনার এজাজ প্যাটেলের হাতে উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার। আর তিন টেস্টে ২৪৪ রান করা উইল ইয়াংয়ের হাতে উঠেছে সিরিজসেরার পুরস্কার। দ্বিতীয় ইনিংসে গ্লেন ফিলিপস নিয়েছেন ‘মূল্যবান’ তিন উইকেট।