এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াই দিয়ে গত ২০ অক্টোবর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। তার একদিন পর ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচে টেস্ট সিরিজ খেলতে নেমেছিল শান্ত বাহিনী। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরেছে বাংলার মেয়েরা। বিমানবন্দরে দেওয়া হয়েছে সংবর্ধনা। একই দিনে চট্টগ্রাম টেস্টে বাজেভাবে হেরে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে ক্রিকেট দল। এই হলো বাংলাদেশ পুরুষ ক্রিকেট দল ও নারী ফুটবল দলের বর্তমান চিত্র।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কেন্দ্রীয় চুক্তির অধীনে খেলোয়াড়দের মাসিক বেতন দেয়। এতে বছরে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা আয় করে থাকেন অধিকাংশ ক্রিকেটার। নিয়মিত বেতনের পাশাপাশি রয়েছে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টির জন্য আলাদা ম্যাচ ফি। এ ছাড়া বিদেশি কোচিং স্টাফ ও আধুনিক সরঞ্জামাদির পাশাপাশি অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা তো রয়েছেই। এত সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার পরও ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্স গড়পড়তা।
পাকিস্তানের মাটিতে তাদের হোয়াইটওয়াশ করে বড় দলগুলোকে চ্যালেঞ্জ জানানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু মাত্র দুই মাসের মধ্যে পরপর তিনটি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে টাইগাররা। ভারতের মাটিতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির পর ঘরের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে ধবলধোলাই হওয়ার তেতো স্বাদ পেয়েছে শান্ত বাহিনী। মিরপুরে টেস্টে বড় ব্যবধানে হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে চট্টগ্রামে পা রেখেছিল টাইগাররা। কিন্তু বাংলাদেশ দল মিরপুরের থেকে আরও বাজেভাবে হারের স্বাদ পেয়েছে বন্দরনগরীতে। দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশকে ইনিংস এবং ২৭৩ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে সফরকারীরা। এতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ছাড়াও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টগুলোতে এখনও সাফল্য খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। শিরোপা জয় তো দূরের কথা বিশ্বকাপে এখনও সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি শান্ত-লিটনরা। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ওঠার দুর্দান্ত সুযোগও কাজে লাগাতে পারেনি তারা। উল্টো চিত্র বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলে। ২০২২ সালে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। কষ্টের দিন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও উল্টো আরও সংগ্রাম করতে হয়েছে সাবিনাদের। অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের পর বেতন বৃদ্ধি হলেও সেটা অনিয়মিত।
২০২৩ সালের এপ্রিলে ২০ লাখ টাকার অভাবে অলিম্পিকের বাছাইপর্ব খেলতে মিয়ানমারে যেতে পারেনি নারী ফুটবল দল। যার কারণে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হতে হয়েছিল বাফুফেকে। তারপরও ফুটবলারদের বেতন নিয়মিত দিতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। দুই-তিন মাস পর এক মাসের বেতন পেয়েছেন সাবিনা, কৃষ্ণা ও সানজিদারা। প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা করে পান নারী ফুটবলাররা। বাফুফে নতুন চুক্তিতে একাদশে থাকলে ১০ হাজার টাকা ম্যাচ ফি নির্ধারণ করেছে। সেই ফিও থাকে বকেয়া।
একদিকে যেমন বেতন নেই, তেমনি দেশের বাইরে ম্যাচ খেলার সুযোগও খুব বেশি পায় না নারী ফুটবলাররা। বাফুফে অনেক সময় প্রীতি ম্যাচের জন্য দল ঠিক করে। পরে নানা কারণে সেই দল আসতে পারে না অথবা সাবিনাদের যাওয়া হয় না। আবার অনেক সময় অর্থের অভাবে বাফুফে সাবিনাদের খেলা আয়োজন করে দিতে পারে না। গত বছর জমকালো আয়োজনে নারী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আয়োজনের আশ্বাস দিয়েছিল বাফুফে। সেই লিগের জন্য বাইরের দেশে খেলার অনুমতি পায়নি কয়েকজন নারী ফুটবলার। কিন্তু লিগ মাঠে না গড়ানোতে এতে আরও হতাশ হয়ে পড়েন ফুটবলাররা। তারপরও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেরাটা দিয়েছেন সাবিনারা।
২০১৬ সাল থেকে বাফুফে ভবনে থাকেন নারী ফুটবালরা। সানজিদা-কৃষ্ণাদের মাধ্যমে শুরু হওয়া সেই ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন অনেক নতুনরা। বাফুফে ভবনের চার তলায় কয়েকটি কক্ষে অনেক সময় ৭০ জন ফুটবলার থাকেন। এক রুমে ৬-৭ জনও থাকতে হয়। নারী ফুটবল দলে আবাসনও একটা সমস্যা। গত দেড় বছরের মধ্যে নারী দলে কোচ পরিবর্তন হয়েছে কয়েকবার। নারী দলে ছোটন হেড কোচ থাকলেও মূল চাবিকাঠি ছিলেন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি। ছোটন ও স্মলি চলে যাওয়ার পর সাইফুল বারী টিটু সাবিনাদের কোচ হন।
বাফুফে কয়েক মাস পর টিটুকে বদলে ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারকে আনেন নারীদের দায়িত্বে। নতুন কোচ, নতুন তত্ত্ব। চাইনিজ তাইপে এবং ভুটানের বিপক্ষে সেই তত্ত্বের প্রয়োগ করেছিলেন বাটলার। এতে সিনিয়র ফুটবলারদের সঙ্গে টানাপোড়েন শুরু হয়। সদ্য শেষ হওয়া সাফ টুর্নামেন্টে যা প্রকাশ্যে আসে। কোচের সঙ্গে দূরত্ব থাকলেও মাঠে ঠিকই শতভাগ দিয়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। যার ফলে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা নিয়ে দেশে ফিরেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কেন্দ্রীয় চুক্তির অধীনে খেলোয়াড়দের মাসিক বেতন দেয়। এতে বছরে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা আয় করে থাকেন অধিকাংশ ক্রিকেটার। নিয়মিত বেতনের পাশাপাশি রয়েছে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টির জন্য আলাদা ম্যাচ ফি। এ ছাড়া বিদেশি কোচিং স্টাফ ও আধুনিক সরঞ্জামাদির পাশাপাশি অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা তো রয়েছেই। এত সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার পরও ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্স গড়পড়তা।
পাকিস্তানের মাটিতে তাদের হোয়াইটওয়াশ করে বড় দলগুলোকে চ্যালেঞ্জ জানানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু মাত্র দুই মাসের মধ্যে পরপর তিনটি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে টাইগাররা। ভারতের মাটিতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির পর ঘরের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে ধবলধোলাই হওয়ার তেতো স্বাদ পেয়েছে শান্ত বাহিনী। মিরপুরে টেস্টে বড় ব্যবধানে হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে চট্টগ্রামে পা রেখেছিল টাইগাররা। কিন্তু বাংলাদেশ দল মিরপুরের থেকে আরও বাজেভাবে হারের স্বাদ পেয়েছে বন্দরনগরীতে। দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশকে ইনিংস এবং ২৭৩ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে সফরকারীরা। এতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ছাড়াও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টগুলোতে এখনও সাফল্য খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। শিরোপা জয় তো দূরের কথা বিশ্বকাপে এখনও সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি শান্ত-লিটনরা। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ওঠার দুর্দান্ত সুযোগও কাজে লাগাতে পারেনি তারা। উল্টো চিত্র বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলে। ২০২২ সালে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। কষ্টের দিন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও উল্টো আরও সংগ্রাম করতে হয়েছে সাবিনাদের। অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের পর বেতন বৃদ্ধি হলেও সেটা অনিয়মিত।
২০২৩ সালের এপ্রিলে ২০ লাখ টাকার অভাবে অলিম্পিকের বাছাইপর্ব খেলতে মিয়ানমারে যেতে পারেনি নারী ফুটবল দল। যার কারণে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হতে হয়েছিল বাফুফেকে। তারপরও ফুটবলারদের বেতন নিয়মিত দিতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। দুই-তিন মাস পর এক মাসের বেতন পেয়েছেন সাবিনা, কৃষ্ণা ও সানজিদারা। প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা করে পান নারী ফুটবলাররা। বাফুফে নতুন চুক্তিতে একাদশে থাকলে ১০ হাজার টাকা ম্যাচ ফি নির্ধারণ করেছে। সেই ফিও থাকে বকেয়া।
একদিকে যেমন বেতন নেই, তেমনি দেশের বাইরে ম্যাচ খেলার সুযোগও খুব বেশি পায় না নারী ফুটবলাররা। বাফুফে অনেক সময় প্রীতি ম্যাচের জন্য দল ঠিক করে। পরে নানা কারণে সেই দল আসতে পারে না অথবা সাবিনাদের যাওয়া হয় না। আবার অনেক সময় অর্থের অভাবে বাফুফে সাবিনাদের খেলা আয়োজন করে দিতে পারে না। গত বছর জমকালো আয়োজনে নারী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আয়োজনের আশ্বাস দিয়েছিল বাফুফে। সেই লিগের জন্য বাইরের দেশে খেলার অনুমতি পায়নি কয়েকজন নারী ফুটবলার। কিন্তু লিগ মাঠে না গড়ানোতে এতে আরও হতাশ হয়ে পড়েন ফুটবলাররা। তারপরও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেরাটা দিয়েছেন সাবিনারা।
২০১৬ সাল থেকে বাফুফে ভবনে থাকেন নারী ফুটবালরা। সানজিদা-কৃষ্ণাদের মাধ্যমে শুরু হওয়া সেই ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন অনেক নতুনরা। বাফুফে ভবনের চার তলায় কয়েকটি কক্ষে অনেক সময় ৭০ জন ফুটবলার থাকেন। এক রুমে ৬-৭ জনও থাকতে হয়। নারী ফুটবল দলে আবাসনও একটা সমস্যা। গত দেড় বছরের মধ্যে নারী দলে কোচ পরিবর্তন হয়েছে কয়েকবার। নারী দলে ছোটন হেড কোচ থাকলেও মূল চাবিকাঠি ছিলেন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি। ছোটন ও স্মলি চলে যাওয়ার পর সাইফুল বারী টিটু সাবিনাদের কোচ হন।
বাফুফে কয়েক মাস পর টিটুকে বদলে ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারকে আনেন নারীদের দায়িত্বে। নতুন কোচ, নতুন তত্ত্ব। চাইনিজ তাইপে এবং ভুটানের বিপক্ষে সেই তত্ত্বের প্রয়োগ করেছিলেন বাটলার। এতে সিনিয়র ফুটবলারদের সঙ্গে টানাপোড়েন শুরু হয়। সদ্য শেষ হওয়া সাফ টুর্নামেন্টে যা প্রকাশ্যে আসে। কোচের সঙ্গে দূরত্ব থাকলেও মাঠে ঠিকই শতভাগ দিয়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। যার ফলে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা নিয়ে দেশে ফিরেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।