এবার সর্বজনীন পেনশনে মানুষকে আকৃষ্ট করতে ৬০ বছর বয়স থেকে মাসিক পেনশন সুবিধার বাইরে গ্র্যাচুইটি হিসেবে দেওয়া হবে এককালীন অর্থ। গ্র্যাচুইটি বাবদ পেনশনারদের কী পরিমাণ অর্থ এককালীন পরিশোধ করা হবে, সে ক্ষেত্রে মাসিক পেনশনের পরিমাণ কতটা কমতে পারে, তা বিশ্লেষণের কাজ শুরু করেছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার আওতায় স্বাস্থ্য বীমার সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
এছাড়া ঈদ ও পূজায় বোনাস এবং সর্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখের মতো অনুষ্ঠানে ভাতা দেওয়ার মতো পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গ্র্যাচুইটি বাবদ গ্রাহকরা কী পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করা হবে এবং এতে মাসিক পেনশনের পরিমাণ কমবে কিনা তা নির্ধারণে কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেই সরকারের নেওয়া এই স্কিমটির ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রাহকরা। আগস্টের পরে নতুন গ্রাহক নিবন্ধন ও চাঁদা আদায়ের হার নেমে আসে শূন্যের কোঠায়। ইতিমধ্যে জমাকৃত অর্থ ফেরত পেতে দৌড়ঝাঁপও শুরু করেন অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় পেনশন পরিচালান পর্ষদের চেয়ারম্যান ও অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম জনগণের জন্য একটি কল্যাণমুখী উদ্যোগ। সর্বজনীন পেনশন স্কিমসমূহ মানুষের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা এবং স্কিমসমূহে সকলের অংশগ্রহণে উদ্ধুদ্ধকরণের জন্য জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষকে বছরব্যাপী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
জানা গেছে, প্রতিবেশী দেশ ভারতে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় পেনশন বয়সে পৌঁছানো নাগরিকদের মাসিক পেনশন সুবিধার বাইরেও গ্র্যাচুইটি বাবদ এককালীন অর্থ পরিশোধ করা হয়। ভারতের আদলে বাংলাদেশে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করা হলেও বিগত সরকার গ্র্যাচুইটি সুবিধা বা মাসিক পেনশন সুবিধার বাইরে পেনশনারদের এককালীন অঙ্কের অর্থ পরিশোধ করার ব্যবস্থা রাখেনি।
দেশে সরকারি চাকরিজীবীরা মাসিক পেনশন পাওয়ার পাশাপাশি গ্র্যাচুইটি সুবিধাও পেয়ে থাকেন। একজন চাকরিজীবী তার প্রতিবছর চাকরির জন্য দুটি করে গ্র্যাচুইটি পান। এক্ষেত্রে প্রতিটি গ্র্যাচুইটির পরিমাণ তাঁর সর্বশেষ মূল বেতনের সমান। শ্রম আইনেও গ্র্যাচুইটি দেওয়ার বিধান রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাকে আরও জনপ্রিয় করতে গ্র্যাচুইটি যুক্ত করার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। ভারতসহ অনেক দেশে এককালীন গ্র্যাচুইটি দেওয়ার বিধান রয়েছে। আবার কন্ট্রিবিউটরি পেনশন ব্যবস্থায় অনেক দেশ গ্র্যাচুইটি ব্যবস্থা রাখে না।
এছাড়া ঈদ ও পূজায় বোনাস এবং সর্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখের মতো অনুষ্ঠানে ভাতা দেওয়ার মতো পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গ্র্যাচুইটি বাবদ গ্রাহকরা কী পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করা হবে এবং এতে মাসিক পেনশনের পরিমাণ কমবে কিনা তা নির্ধারণে কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেই সরকারের নেওয়া এই স্কিমটির ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রাহকরা। আগস্টের পরে নতুন গ্রাহক নিবন্ধন ও চাঁদা আদায়ের হার নেমে আসে শূন্যের কোঠায়। ইতিমধ্যে জমাকৃত অর্থ ফেরত পেতে দৌড়ঝাঁপও শুরু করেন অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় পেনশন পরিচালান পর্ষদের চেয়ারম্যান ও অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম জনগণের জন্য একটি কল্যাণমুখী উদ্যোগ। সর্বজনীন পেনশন স্কিমসমূহ মানুষের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা এবং স্কিমসমূহে সকলের অংশগ্রহণে উদ্ধুদ্ধকরণের জন্য জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষকে বছরব্যাপী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
জানা গেছে, প্রতিবেশী দেশ ভারতে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় পেনশন বয়সে পৌঁছানো নাগরিকদের মাসিক পেনশন সুবিধার বাইরেও গ্র্যাচুইটি বাবদ এককালীন অর্থ পরিশোধ করা হয়। ভারতের আদলে বাংলাদেশে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করা হলেও বিগত সরকার গ্র্যাচুইটি সুবিধা বা মাসিক পেনশন সুবিধার বাইরে পেনশনারদের এককালীন অঙ্কের অর্থ পরিশোধ করার ব্যবস্থা রাখেনি।
দেশে সরকারি চাকরিজীবীরা মাসিক পেনশন পাওয়ার পাশাপাশি গ্র্যাচুইটি সুবিধাও পেয়ে থাকেন। একজন চাকরিজীবী তার প্রতিবছর চাকরির জন্য দুটি করে গ্র্যাচুইটি পান। এক্ষেত্রে প্রতিটি গ্র্যাচুইটির পরিমাণ তাঁর সর্বশেষ মূল বেতনের সমান। শ্রম আইনেও গ্র্যাচুইটি দেওয়ার বিধান রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাকে আরও জনপ্রিয় করতে গ্র্যাচুইটি যুক্ত করার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। ভারতসহ অনেক দেশে এককালীন গ্র্যাচুইটি দেওয়ার বিধান রয়েছে। আবার কন্ট্রিবিউটরি পেনশন ব্যবস্থায় অনেক দেশ গ্র্যাচুইটি ব্যবস্থা রাখে না।