দেশে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা যাচ্ছে না এবং তা জনজীবনের ওপর ভয়াবহ আঘাত করেছে। প্রতিনিয়ত বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে তা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
এদিকে ডিমের বাজারে একটু শস্তি মিলতেই মুরগিতে বেড়ে গেছে চড়া দাম। আর সবজি বাজারের আগুন কেউ থামাতে পারেনি। বাজার কিংবা দেশের কোনো চরম মুহূর্তে সরব হয়ে ওঠেন কণ্ঠশিল্পী তাসরিফ খান। সম্প্রতি তার ফেসবুকে অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন।
তাসরিফ খানের পোস্ট করা সেই ভিডিওটির শুরুতে দেখা যায়, তিনি এমন কাউকে পর্যবেক্ষণ করছেন, যিনি বাজারে ঘুরছেন, জিনিসপত্র দেখছেন কিন্তু অর্থের অভাবে কিনতে পারছেন না। এমন এক বয়স্ক লোককে দেখে তিনি তার সঙ্গে কথা বলে রাজি করান বাজার করে দেয়ার। প্রথমে বাজার নিতে আপত্তি জানালেও পরে তিনি গায়ক তাসরিফের সঙ্গে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী বাজার করেন।
এরপর একজন বৃদ্ধ মহিলাকে একটি ফলের দোকানে দাঁড়াতে দেখা যায়। তার করুণ চোখ দেখে তাকেও মুরগি, ফলসহ টুকটাক বাজার করে দেন তাসরিফ। বাজার ঘুরে তাসরিফ অনুধাবন করলেন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে নিত্যপণ্যের দাম। বিক্রেতাদের কাছে জানতে চান উচ্চমূল্য হওয়ার পেছনের কারিগর কারা?
এক বিক্রেতা তাসরিফকে জানান, আমাদের কিছু করার নেই, সব কিছু চালনা করা হয় উচ্চমহল থেকে। সাধারণ মানুষ নিত্য জিনিস কেনার সাধ্য হারাচ্ছেন এতে আপনাদের খারাপ লাগে না? এমন প্রশ্নের জবাবে অন্য এক বিক্রেতা বললেন, আমাদের কাছে তো খুব খারাপ লাগে কিন্তু আমরা কিছু বলতে গেলেই চাপ আসবে, চালান বন্ধ হয়ে যাবে।
ভিডিওর শেষের দিকে তাসরিফ বলেন, আপনারা আমার ভিডিও দেখে ভাবতে পারেন দু-একজনকে বাজার করে দিয়ে আমি দেশটাকে উদ্ধার করে ফেলছি, বিষয়টা তেমন নয়। আমি কথাগুলো বলতে চাই মাননীয় অসীম ক্ষমতাধর অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে।
সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তাসরিফ বলেন, আপনারা কাদের ক্ষতি করছেন, যারা নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, দিন আনে দিন খায় তাদের? আপনারা তো ব্যবসায়ীর আগে একজন মানুষ তাই না? আপনারা যদি আমাদের অনুরোধ না শোনেন তাহলে আপনাদের সোজা করার জন্য রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও সেনাবাহিনীর উদ্দেশে তাসরিফ বলেন, আমি জানি আপনারা অনেকভাবেই চেষ্টা করছেন দেশটাকে মেরামত করার কিন্তু সাধারণ মানুষের জায়গা থেকে বলতে চাই, আপনারা আর একটু বেশি নজর দিন বাজার পরিস্থিতিতে। দরকার হলে আইনের আওতায় এনে তাদেরকে শাস্তির ব্যবস্থা করুন।
সবশেষে তিনি জানান, আমি জানি এই ভিডিও করার পর আমি অনেকের শত্রু হয়ে যাব। কিন্তু আমার একটু সমস্যার কারণে দেশের মানুষ যদি একটুও উপকার পায় তাহলে আমি তাই করবো। প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার ও সরবরাহ পরিস্থিতি তদারকি এবং পর্যালোচনার জন্য জেলা পর্যায়ে ১০ সদস্যের বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে ডিমের বাজারে একটু শস্তি মিলতেই মুরগিতে বেড়ে গেছে চড়া দাম। আর সবজি বাজারের আগুন কেউ থামাতে পারেনি। বাজার কিংবা দেশের কোনো চরম মুহূর্তে সরব হয়ে ওঠেন কণ্ঠশিল্পী তাসরিফ খান। সম্প্রতি তার ফেসবুকে অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন।
তাসরিফ খানের পোস্ট করা সেই ভিডিওটির শুরুতে দেখা যায়, তিনি এমন কাউকে পর্যবেক্ষণ করছেন, যিনি বাজারে ঘুরছেন, জিনিসপত্র দেখছেন কিন্তু অর্থের অভাবে কিনতে পারছেন না। এমন এক বয়স্ক লোককে দেখে তিনি তার সঙ্গে কথা বলে রাজি করান বাজার করে দেয়ার। প্রথমে বাজার নিতে আপত্তি জানালেও পরে তিনি গায়ক তাসরিফের সঙ্গে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী বাজার করেন।
এরপর একজন বৃদ্ধ মহিলাকে একটি ফলের দোকানে দাঁড়াতে দেখা যায়। তার করুণ চোখ দেখে তাকেও মুরগি, ফলসহ টুকটাক বাজার করে দেন তাসরিফ। বাজার ঘুরে তাসরিফ অনুধাবন করলেন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে নিত্যপণ্যের দাম। বিক্রেতাদের কাছে জানতে চান উচ্চমূল্য হওয়ার পেছনের কারিগর কারা?
এক বিক্রেতা তাসরিফকে জানান, আমাদের কিছু করার নেই, সব কিছু চালনা করা হয় উচ্চমহল থেকে। সাধারণ মানুষ নিত্য জিনিস কেনার সাধ্য হারাচ্ছেন এতে আপনাদের খারাপ লাগে না? এমন প্রশ্নের জবাবে অন্য এক বিক্রেতা বললেন, আমাদের কাছে তো খুব খারাপ লাগে কিন্তু আমরা কিছু বলতে গেলেই চাপ আসবে, চালান বন্ধ হয়ে যাবে।
ভিডিওর শেষের দিকে তাসরিফ বলেন, আপনারা আমার ভিডিও দেখে ভাবতে পারেন দু-একজনকে বাজার করে দিয়ে আমি দেশটাকে উদ্ধার করে ফেলছি, বিষয়টা তেমন নয়। আমি কথাগুলো বলতে চাই মাননীয় অসীম ক্ষমতাধর অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে।
সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তাসরিফ বলেন, আপনারা কাদের ক্ষতি করছেন, যারা নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, দিন আনে দিন খায় তাদের? আপনারা তো ব্যবসায়ীর আগে একজন মানুষ তাই না? আপনারা যদি আমাদের অনুরোধ না শোনেন তাহলে আপনাদের সোজা করার জন্য রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও সেনাবাহিনীর উদ্দেশে তাসরিফ বলেন, আমি জানি আপনারা অনেকভাবেই চেষ্টা করছেন দেশটাকে মেরামত করার কিন্তু সাধারণ মানুষের জায়গা থেকে বলতে চাই, আপনারা আর একটু বেশি নজর দিন বাজার পরিস্থিতিতে। দরকার হলে আইনের আওতায় এনে তাদেরকে শাস্তির ব্যবস্থা করুন।
সবশেষে তিনি জানান, আমি জানি এই ভিডিও করার পর আমি অনেকের শত্রু হয়ে যাব। কিন্তু আমার একটু সমস্যার কারণে দেশের মানুষ যদি একটুও উপকার পায় তাহলে আমি তাই করবো। প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার ও সরবরাহ পরিস্থিতি তদারকি এবং পর্যালোচনার জন্য জেলা পর্যায়ে ১০ সদস্যের বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।