কেউ অবসরের ঘোষণা দিলেও যদি সুযোগ থাকে এবং সম্ভব হয় তাহলে টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটা মিরপুর শেরেবাংলায় খেলতে চেয়েছিলেন বিশ্বের সাবেক নাম্বার ওয়ান তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। একটা সময় শঙ্কা জাগলেও পরবর্তীতে ক্রীড়া উপদেষ্টা ও সরকারের পক্ষ থেকে সমর্থন মেলায় সেই শঙ্কা কেটে যায়। যার ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দলে রাখা হয় বাংলাদেশের নাম্বার সেভেনটি ফাইভকে। সে অনুসারে নিজের শেষ টেস্ট খেলতে সুদূর আমেরিকা থেকে রওনা দিয়েছিলেন সাকিব।
কিন্তু দুবাই আসার পর পাল্টে যায় দৃশ্যপট। যার ফলে সেখানে সমাপ্তি টানতে হয় বাংলাদেশ সফরের সমাপ্তি। কেননা দল ঘোষণার পর থেকে সাকিবকে বাংলাদেশ দলে না খেলানোর দাবি জানিয়ে মিরপুরে বিক্ষোভ করে ছাত্রজনতা। এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ বরাবর স্মারকলিপিও দেয় তারা। বিক্ষোভের ফলে কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সাকিবকে দেশে না আসার পরামর্শ দেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।
এদিকে একই দিন মাশরাফিকে বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দল সিলেট স্ট্রাইকার্সের দল থেকে বাদ দিতে কর্তৃপক্ষকে ৭২ ঘণ্টার সময় বেধে দিয়েছে সিলেটের ছাত্রজনতা। দেশসেরা দুই ক্রিকেটারকে নিয়ে তৈরি হওয়া এমন পরিস্থিতি দেশের মানুষের প্রতি রাগ হচ্ছে দেশ সেরা কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের। তাই তো নিজের সেই ক্ষোভ উগ্রে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যম ফেসবুকে।
ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম এই জনপ্রিয় কোচ নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘দেশেরপ্রতি দেশের মানুষের প্রতি কখনই এতো রাগ বা কষ্ট লাগে নাই। আজ কেন যেন লাগছে? আমরা মানুষ কী কখনও নিজেরা ভুল করি না? কেউ অনুতপ্ত হলে তাকে একটা সুযোগ দেয়া উচিত। কিন্তু আমরা কেমন যেন হয়ে যাচ্ছি মানুষ হিসেবে, দয়া মায়া জিনিসটা আমাদের মধ্যে থেকে উঠে গেছে।
এরপর তিনি আরও লেখেন, ‘একটা মানুষ দেশের জন্য ১৭টা বছর কিছু না কিছু করেছে, আজ ক্রিকেট বিশ্ব আমাদের একটু সম্মান করে কাদের জন্য, তারা ক্রিকেট মাঠে নামতে পারবে না, এই কান্না তো সবাই দেখবে না, রাজনীতি করছে বলে এরা খুনি ??? এদের সঙ্গে মিশেছেন, এরা কত মানুষ এর ভাত কাপড়ের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে জানেন আপনি? এরা কত অসহায় মানুষের চিকিৎসা করাইছে সেটা কী জানেন?
এদিকে লাল সবুজের জার্সিতে সাকিব, তামিম ইকবাল এবং মাশরাফিদের মাঠের লড়াইয়ের কথাও তুলে ধরে সালাউদ্দিন লেখেন, ‘তারা স্ট্যাটাস না দেয়ার কারণে আজ শত্রু। যখন মাশরাফি ৫টা অপারেশন করে দেশের জন্য লড়াই করছে তা কী দেখছেন, সাকিব যে আঙুলে চিড় নিয়া বোলিং করে গেছে, তামিম এক হাতে ব্যাটিং করে গেছে কাদের জন্য? দেশকে সবাই কম বেশি ভালোবাসে। এদের ভালোবাসাটা হয়ত দেখা যায়ও না। এদের কাছ থেকে দেখেছি, এরা মানুষের উপকার ছাড়া কারো ক্ষতি করেনি। এরা খুনি না।’
সবশেষে দেশসেরা ক্রিকেটারের বিদায় ঘরের মাঠ থেকে নেয়া হচ্ছে না দেখে দেশসেরা এই কোচ বলেন, ‘খুব কষ্ট পাচ্ছি এদেরকে মাঠ থেকে বিদায় দেখতে পাব না। মানুষকে মাফ করুন, আল্লাহ আমাদের অনেক অপরাধ মাফ করে দেবেন। আমরা সবাই কম বেশি অপরাধী, সম্মান কাউকে দিলে আপনি ও সম্মানীত হবেন।’
কিন্তু দুবাই আসার পর পাল্টে যায় দৃশ্যপট। যার ফলে সেখানে সমাপ্তি টানতে হয় বাংলাদেশ সফরের সমাপ্তি। কেননা দল ঘোষণার পর থেকে সাকিবকে বাংলাদেশ দলে না খেলানোর দাবি জানিয়ে মিরপুরে বিক্ষোভ করে ছাত্রজনতা। এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ বরাবর স্মারকলিপিও দেয় তারা। বিক্ষোভের ফলে কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সাকিবকে দেশে না আসার পরামর্শ দেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।
এদিকে একই দিন মাশরাফিকে বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দল সিলেট স্ট্রাইকার্সের দল থেকে বাদ দিতে কর্তৃপক্ষকে ৭২ ঘণ্টার সময় বেধে দিয়েছে সিলেটের ছাত্রজনতা। দেশসেরা দুই ক্রিকেটারকে নিয়ে তৈরি হওয়া এমন পরিস্থিতি দেশের মানুষের প্রতি রাগ হচ্ছে দেশ সেরা কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের। তাই তো নিজের সেই ক্ষোভ উগ্রে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যম ফেসবুকে।
ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম এই জনপ্রিয় কোচ নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘দেশেরপ্রতি দেশের মানুষের প্রতি কখনই এতো রাগ বা কষ্ট লাগে নাই। আজ কেন যেন লাগছে? আমরা মানুষ কী কখনও নিজেরা ভুল করি না? কেউ অনুতপ্ত হলে তাকে একটা সুযোগ দেয়া উচিত। কিন্তু আমরা কেমন যেন হয়ে যাচ্ছি মানুষ হিসেবে, দয়া মায়া জিনিসটা আমাদের মধ্যে থেকে উঠে গেছে।
এরপর তিনি আরও লেখেন, ‘একটা মানুষ দেশের জন্য ১৭টা বছর কিছু না কিছু করেছে, আজ ক্রিকেট বিশ্ব আমাদের একটু সম্মান করে কাদের জন্য, তারা ক্রিকেট মাঠে নামতে পারবে না, এই কান্না তো সবাই দেখবে না, রাজনীতি করছে বলে এরা খুনি ??? এদের সঙ্গে মিশেছেন, এরা কত মানুষ এর ভাত কাপড়ের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে জানেন আপনি? এরা কত অসহায় মানুষের চিকিৎসা করাইছে সেটা কী জানেন?
এদিকে লাল সবুজের জার্সিতে সাকিব, তামিম ইকবাল এবং মাশরাফিদের মাঠের লড়াইয়ের কথাও তুলে ধরে সালাউদ্দিন লেখেন, ‘তারা স্ট্যাটাস না দেয়ার কারণে আজ শত্রু। যখন মাশরাফি ৫টা অপারেশন করে দেশের জন্য লড়াই করছে তা কী দেখছেন, সাকিব যে আঙুলে চিড় নিয়া বোলিং করে গেছে, তামিম এক হাতে ব্যাটিং করে গেছে কাদের জন্য? দেশকে সবাই কম বেশি ভালোবাসে। এদের ভালোবাসাটা হয়ত দেখা যায়ও না। এদের কাছ থেকে দেখেছি, এরা মানুষের উপকার ছাড়া কারো ক্ষতি করেনি। এরা খুনি না।’
সবশেষে দেশসেরা ক্রিকেটারের বিদায় ঘরের মাঠ থেকে নেয়া হচ্ছে না দেখে দেশসেরা এই কোচ বলেন, ‘খুব কষ্ট পাচ্ছি এদেরকে মাঠ থেকে বিদায় দেখতে পাব না। মানুষকে মাফ করুন, আল্লাহ আমাদের অনেক অপরাধ মাফ করে দেবেন। আমরা সবাই কম বেশি অপরাধী, সম্মান কাউকে দিলে আপনি ও সম্মানীত হবেন।’