এবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্য করে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল সোমবার (১৪ অক্টোবর) সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে এ বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, তাপসী তাবাসসুম উর্মি ফেসবুক আইডি থেকে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য করায় তাকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠিতে অনুরোধ জানানো হয়।
এদিকে ড. ইউনূসকে নিয়ে বিসিএস ৪০তম ব্যাচের নবীন কর্মকর্তা তাপসী তার ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ! কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’
এর আগে স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানতে চাইলে উর্মি মোবাইল ফোনে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছিলেন, ‘আমি পোস্ট দিয়েছি, এটাই তো যথেষ্ট। অনলি মি করেছি, বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এ বিষয় আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’ তাপসী তাবাসসুম উর্মির ফেসবুক আইডিতে গিয়ে দেখা গেছে, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু পোস্টও করেছেন।
এদিকে লালমনিরহাট জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু সাঈদ গেটে (১ নম্বর গেট) বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। এ সময় ‘শহীদদের নামে মিথ্যাচার চলবে না’, ‘উর্মিকে বহিষ্কার করতে হবে’, ‘সাঈদ ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না’, ‘হাসিনার দোসররা হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
এরপর তার এই পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনায় মুখে পড়েন উর্মি। এ ঘটনায় উর্মিকে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। এরপর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ঊর্মি শাবিপ্রবিতে গণজাগরণ মঞ্চের নেত্রী ছিলেন সিলেট অফিস জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করে এবং ছাত্র আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে দেশজুড়ে সমালোচিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সাময়িক বরখাস্তকৃত) তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পক্ষে সাফাই গেয়ে অনবরত লিখে গেছেন।
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এই ঊর্মি বিতর্কিত শিক্ষক ও লেখক অধ্যাপক জাফর ইকবালের সঙ্গী ছিলেন। গণজাগরণ মঞ্চেও তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। অনুসন্ধানে এসব তথ্য জানা গেছে। ঊর্মি শাবি থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়ালেখা শেষ করে ২০২২ সালে সরকারি চাকরিতে ঢোকেন। স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানতে চাইলে রোববার ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি পোস্ট দিয়েছি এটাই তো যথেষ্ট। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
এতে বলা হয়, তাপসী তাবাসসুম উর্মি ফেসবুক আইডি থেকে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য করায় তাকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠিতে অনুরোধ জানানো হয়।
এদিকে ড. ইউনূসকে নিয়ে বিসিএস ৪০তম ব্যাচের নবীন কর্মকর্তা তাপসী তার ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ! কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’
এর আগে স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানতে চাইলে উর্মি মোবাইল ফোনে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছিলেন, ‘আমি পোস্ট দিয়েছি, এটাই তো যথেষ্ট। অনলি মি করেছি, বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এ বিষয় আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’ তাপসী তাবাসসুম উর্মির ফেসবুক আইডিতে গিয়ে দেখা গেছে, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু পোস্টও করেছেন।
এদিকে লালমনিরহাট জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু সাঈদ গেটে (১ নম্বর গেট) বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। এ সময় ‘শহীদদের নামে মিথ্যাচার চলবে না’, ‘উর্মিকে বহিষ্কার করতে হবে’, ‘সাঈদ ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না’, ‘হাসিনার দোসররা হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
এরপর তার এই পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনায় মুখে পড়েন উর্মি। এ ঘটনায় উর্মিকে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। এরপর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ঊর্মি শাবিপ্রবিতে গণজাগরণ মঞ্চের নেত্রী ছিলেন সিলেট অফিস জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করে এবং ছাত্র আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে দেশজুড়ে সমালোচিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সাময়িক বরখাস্তকৃত) তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পক্ষে সাফাই গেয়ে অনবরত লিখে গেছেন।
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এই ঊর্মি বিতর্কিত শিক্ষক ও লেখক অধ্যাপক জাফর ইকবালের সঙ্গী ছিলেন। গণজাগরণ মঞ্চেও তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। অনুসন্ধানে এসব তথ্য জানা গেছে। ঊর্মি শাবি থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়ালেখা শেষ করে ২০২২ সালে সরকারি চাকরিতে ঢোকেন। স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানতে চাইলে রোববার ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি পোস্ট দিয়েছি এটাই তো যথেষ্ট। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’