এবার বিজয়-২৪ উদযাপন উপলক্ষে গরু-খাসি নিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় লুঙ্গি ও গামছা পড়ে বিজয় উল্লাসে মেতে উঠতে দেখা যায় হলের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থীকে।
গতকাল শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় শহীদ জিয়াউর হল গেইট থেকে গরু-খাসি নিয়ে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, প্যারিস রোড, পশ্চিম পাড়াসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করেন তারা।
এদিকে আনন্দ র্যালিতে শিক্ষার্থীরা ‘গরু-খাসির জোড়া শিং, জিয়া হল রাবির কিং’, ‘খাবো মোরা গরু খাসি, জিয়া হলকে ভালোবাসি’, ‘গরু খাসি কাটবে কারা, জিয়া হলের শিক্ষার্থীরা’, ‘ডানে গরু, বামে খাসি, আমি তোমায় ভালোবাসি’, ‘পশ্চিম পাড়ার লেডি, গরু-খাসি রেডি’, ‘ডানে গরু, বামে খাসি, পশ্চিমপাড়াকে ভালোবাসি’-সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিকে, ২৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বিজয়-২৪ উদযাপনের মূল অনুষ্ঠান। এ দিন ভোরে গরু ও খাসি জবাই করবেন হলের শিক্ষার্থীরা। পরে বিজয় র্যালি, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, হলের সাবেক-বর্তমানদের মিলন মেলা, মধ্যাহ্ন ভোজ ও সবশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ অনুষ্ঠান।
সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের কাছে উৎসবমুখর করতে থাকছে দেশের জনপ্রিয় দুটি ব্যান্ড সায়ানাইট ও সপ্তক যার স্পনসরে থাকছেন রিয়েল স্টার প্রোপার্টিজ। এছাড়াও হলের সাংস্কৃতিক কর্মীরাও এ অনুষ্ঠানে গান পরিবেশনা করবেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হল মাঠে অনুষ্ঠিত হবে এবং সকল শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে বলে জানান হলের আয়োজক কমিটি।
আনন্দ মিছিলে অংশ নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে নাচতে দেখা যায় শহীদ জিয়াউর হলের শিক্ষার্থী রাব্বি আল নাহিয়ানকে। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আমাদের পরিকল্পনা ছিল বড় আয়োজনের মাধ্যমে বিজয়-২৪ উদযাপন করা। সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এই প্রোগ্রাম ও বিজয় মিছিল সফলতা কামনা করছি। একদিকে বিজয় উদযাপন অন্যদিকে হলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পারস্পরিক সম্পর্ক ও ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে উঠবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী আবু হাসনাত হিমেল বলেন, সকল প্রকার বৈষম্যের বিরুদ্ধে যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল সেই আন্দোলনের একজন যোদ্ধা হিসেবে আমি স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেছিলাম। ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে আমরা নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি তারই প্রেক্ষিতে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক ছাত্ররা আজকের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। আজকের অনুষ্ঠান ছিল খুবই প্রাণবন্ত ও মুখরিত। নতুন এই স্বাধীনতা পেয়ে আমরা সবাই খুবই আনন্দিত।
হলের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী শাহ আলম বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। সে উপলক্ষে বিজয়-২৪ উদযাপন করতে আমরা আনন্দ মিছিল করেছি। আমরা আজকে সকল অন্যায় অপশাসন রুখে দিয়ে ন্যায়, সাম্য ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ পেতে যাচ্ছি। শহিদ জিয়াউর রহমান হলের প্রতিটি শিক্ষার্থীর আজ খুশির দিন। আজ তারা সবাই এই বিজয় উপভোগ করছে। তারা পেয়েছে মানসিক শান্তি। সর্বোপরি আমরা সবার সহযোগিতায় একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারবো বলে প্রত্যাশা করছি।
এদিকে সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাহবুবার রহমান বলেন, আমি হলে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই হলের শিক্ষার্থীরা আমার কাছে দাবি জানান বিজয়-২৪ উদযাপন করার। আমি তাদের যৌক্তিক দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছি। আর অনুষ্ঠানকে সফল করতে তাদেরই একজন হয়ে কাজ করে যাচ্ছি। সকলের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা এ অনুষ্ঠানকে সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
গতকাল শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় শহীদ জিয়াউর হল গেইট থেকে গরু-খাসি নিয়ে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, প্যারিস রোড, পশ্চিম পাড়াসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করেন তারা।
এদিকে আনন্দ র্যালিতে শিক্ষার্থীরা ‘গরু-খাসির জোড়া শিং, জিয়া হল রাবির কিং’, ‘খাবো মোরা গরু খাসি, জিয়া হলকে ভালোবাসি’, ‘গরু খাসি কাটবে কারা, জিয়া হলের শিক্ষার্থীরা’, ‘ডানে গরু, বামে খাসি, আমি তোমায় ভালোবাসি’, ‘পশ্চিম পাড়ার লেডি, গরু-খাসি রেডি’, ‘ডানে গরু, বামে খাসি, পশ্চিমপাড়াকে ভালোবাসি’-সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিকে, ২৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বিজয়-২৪ উদযাপনের মূল অনুষ্ঠান। এ দিন ভোরে গরু ও খাসি জবাই করবেন হলের শিক্ষার্থীরা। পরে বিজয় র্যালি, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, হলের সাবেক-বর্তমানদের মিলন মেলা, মধ্যাহ্ন ভোজ ও সবশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ অনুষ্ঠান।
সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের কাছে উৎসবমুখর করতে থাকছে দেশের জনপ্রিয় দুটি ব্যান্ড সায়ানাইট ও সপ্তক যার স্পনসরে থাকছেন রিয়েল স্টার প্রোপার্টিজ। এছাড়াও হলের সাংস্কৃতিক কর্মীরাও এ অনুষ্ঠানে গান পরিবেশনা করবেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হল মাঠে অনুষ্ঠিত হবে এবং সকল শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে বলে জানান হলের আয়োজক কমিটি।
আনন্দ মিছিলে অংশ নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে নাচতে দেখা যায় শহীদ জিয়াউর হলের শিক্ষার্থী রাব্বি আল নাহিয়ানকে। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আমাদের পরিকল্পনা ছিল বড় আয়োজনের মাধ্যমে বিজয়-২৪ উদযাপন করা। সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এই প্রোগ্রাম ও বিজয় মিছিল সফলতা কামনা করছি। একদিকে বিজয় উদযাপন অন্যদিকে হলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পারস্পরিক সম্পর্ক ও ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে উঠবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী আবু হাসনাত হিমেল বলেন, সকল প্রকার বৈষম্যের বিরুদ্ধে যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল সেই আন্দোলনের একজন যোদ্ধা হিসেবে আমি স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেছিলাম। ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে আমরা নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি তারই প্রেক্ষিতে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক ছাত্ররা আজকের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। আজকের অনুষ্ঠান ছিল খুবই প্রাণবন্ত ও মুখরিত। নতুন এই স্বাধীনতা পেয়ে আমরা সবাই খুবই আনন্দিত।
হলের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী শাহ আলম বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। সে উপলক্ষে বিজয়-২৪ উদযাপন করতে আমরা আনন্দ মিছিল করেছি। আমরা আজকে সকল অন্যায় অপশাসন রুখে দিয়ে ন্যায়, সাম্য ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ পেতে যাচ্ছি। শহিদ জিয়াউর রহমান হলের প্রতিটি শিক্ষার্থীর আজ খুশির দিন। আজ তারা সবাই এই বিজয় উপভোগ করছে। তারা পেয়েছে মানসিক শান্তি। সর্বোপরি আমরা সবার সহযোগিতায় একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারবো বলে প্রত্যাশা করছি।
এদিকে সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাহবুবার রহমান বলেন, আমি হলে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই হলের শিক্ষার্থীরা আমার কাছে দাবি জানান বিজয়-২৪ উদযাপন করার। আমি তাদের যৌক্তিক দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছি। আর অনুষ্ঠানকে সফল করতে তাদেরই একজন হয়ে কাজ করে যাচ্ছি। সকলের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা এ অনুষ্ঠানকে সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।