এবার ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচায় কিস্তির টাকা দিতে না পারায় এক পরিবারের গরু ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এনজিওকর্মীর বিরুদ্ধে। শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে ‘দক্ষিণ আইচা গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থা’ নামের এক এনজিওর কর্মী এ ঘটনা ঘটান।
এ ঘটনা জানাজানি হলে ওই এনজিওর বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং অভিযুক্তদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এদিকে ভুক্তভোগী দৌলতপুর গ্রামের কাঞ্চন মিস্তিরির স্ত্রী কুলসুম বেগম বলেন, ‘সম্প্রতি দক্ষিণ আইচা গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থা থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করি। সেই টাকার কিস্তি হিসেবে সপ্তাহে ২৫শ টাকা করে ১৩টি কিস্তি দেই।
হঠাৎ দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় ওই এনজিওর মাঠকর্মী হাসিনা ও ম্যানাজার মো. শামীম আমার বাড়িতে এসে গোয়ালঘর থেকে একটি গাভী গরু ছিনিয়ে নেন। ওই সময় গরুটি নিতে তাদেরকে নিষেধ করলে তারা আমার কোনো কথা শুনেন নাই। আমি কোনো রকম ক্ষেতখামারে কাজ করে সংসার চালাই। আমি তাদেরকে বলছি সমিতির টাকা পরিশোধ করব, তাও শুনেন নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই গরুটি নিয়ে যাওয়ার সময় তাদেরকে বলছি, গরুটির একটি ৪ মাসের বাচ্চা রয়েছে। বাচ্চাটি এখন চিৎকার করছে তার মায়ের জন্য। তবুও তারা গরুটি ছাড়েনি।’
এদিকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ছালাউদ্দিন মুন্সি বলেন, এনজিওর টাকা দিতে না পারায় গোয়ালঘর থেকে একটি গরু ছিনিয়ে নিয়ে অমানবিক কাজ করেছেন এনজিওর লোকজন। আইনগতভাবে এটা করতে পারে না। এনজিওটির বিরুদ্ধে তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
সংস্থার মাঠকর্মী হাসিনা বেগম বলেন, ‘এনজিও থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে কয়েকটি কিস্তি চালিয়েছে কুলসুম বেগম। এরপর ঋণ খেলাপি করছেন তিনি। সেই টাকা পরিশোধ করতে বারবার বলি। টাকা পরিশোধ না করায় তার একটি গরু নিয়ে আসছি।’
গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থার ম্যানেজার মো. শামীম জানান, কিস্তির টাকা পাওনা থাকায় একটি গরু নিয়ে গেছেন। এদিকে দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ আহমেদ জানান, ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনা জানাজানি হলে ওই এনজিওর বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং অভিযুক্তদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এদিকে ভুক্তভোগী দৌলতপুর গ্রামের কাঞ্চন মিস্তিরির স্ত্রী কুলসুম বেগম বলেন, ‘সম্প্রতি দক্ষিণ আইচা গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থা থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করি। সেই টাকার কিস্তি হিসেবে সপ্তাহে ২৫শ টাকা করে ১৩টি কিস্তি দেই।
হঠাৎ দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় ওই এনজিওর মাঠকর্মী হাসিনা ও ম্যানাজার মো. শামীম আমার বাড়িতে এসে গোয়ালঘর থেকে একটি গাভী গরু ছিনিয়ে নেন। ওই সময় গরুটি নিতে তাদেরকে নিষেধ করলে তারা আমার কোনো কথা শুনেন নাই। আমি কোনো রকম ক্ষেতখামারে কাজ করে সংসার চালাই। আমি তাদেরকে বলছি সমিতির টাকা পরিশোধ করব, তাও শুনেন নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই গরুটি নিয়ে যাওয়ার সময় তাদেরকে বলছি, গরুটির একটি ৪ মাসের বাচ্চা রয়েছে। বাচ্চাটি এখন চিৎকার করছে তার মায়ের জন্য। তবুও তারা গরুটি ছাড়েনি।’
এদিকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ছালাউদ্দিন মুন্সি বলেন, এনজিওর টাকা দিতে না পারায় গোয়ালঘর থেকে একটি গরু ছিনিয়ে নিয়ে অমানবিক কাজ করেছেন এনজিওর লোকজন। আইনগতভাবে এটা করতে পারে না। এনজিওটির বিরুদ্ধে তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
সংস্থার মাঠকর্মী হাসিনা বেগম বলেন, ‘এনজিও থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে কয়েকটি কিস্তি চালিয়েছে কুলসুম বেগম। এরপর ঋণ খেলাপি করছেন তিনি। সেই টাকা পরিশোধ করতে বারবার বলি। টাকা পরিশোধ না করায় তার একটি গরু নিয়ে আসছি।’
গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থার ম্যানেজার মো. শামীম জানান, কিস্তির টাকা পাওনা থাকায় একটি গরু নিয়ে গেছেন। এদিকে দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ আহমেদ জানান, ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।