এর আগে প্রতিবার দুর্গাপূজায় ভারতে পাঠানো হতো বাংলাদেশের ইলিশ। কিন্তু টানা দেড় দশক ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখা নিয়ে দেখা যাচ্ছে অনিশ্চয়তা। এদিকে ভারতের পক্ষ থেকে ইলিশ পাঠানোর আবদার করে বাংলাদেশের কাছে চিঠি পাঠানোর খবর পাওয়া গেছে।
তবে এবার ভারতে কোনো ইলিশ যাবে না বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এমন সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খুললেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি মনে করেন, দুর্গাপূজায় ভারতে ইলিশ পাঠানো বরং বড় মনের পরিচয় দেওয়া। যদিও ফারুকী তার এই মন্তব্যের শুরুতে ‘অপ্রিয় মত’ বলে অভিহিত করেন।
আজ মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে ফারুকী লেখেন, ‘আন পপুলার অপিনিয়ন কিন্তু কথাটা না বলে পারছি না। আমি চিরকাল আমাদেরকে উদার, উষ্ণ বলেই জানতাম। আমাদের নাখালপাড়ায় ছোটবেলার একটা রেগুলার দৃশ্য ছিলো কোনো বাসায় ভালো কিছু রান্না হলে পাশের বাসায় বাটিতে করে পাঠিয়ে দেওয়া। এটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জানালা টু জানালা হতো।
ফলে পূজায় কলকাতায় ইলিশ না দেওয়ার সিদ্ধান্তটা আমার কাছে ভালো লাগে নাই। আপনি মোদী সরকারের বহু নীতির তীব্র সমালোচনা করতে পারেন। আমিও করেছি। আমার বহু ভারতীয় বন্ধুও মোদীর তীব্র সমালোচক। কিন্তু ভারত মানে একশো কোটি মোদী নিশ্চয়ই না। যেমন পাকিস্তান মানেই সব ইয়াহিয়া খান না। ভারতের ভিতরেও যে কত ভারত আছে।’
শেষে ফারুকী লেখেন, ‘যাই হোক, পূজায় ইলিশ পাঠিয়ে বড় মনের পরিচয় দিলে খুশী হতাম।’ উল্লেখ্য, দুর্গাপূজার সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বাড়ে ইলিশের চাহিদা। ইলিশকে পূজার অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবেও বিবেচনা করেন অনেকে। এই দুর্গাপূজার আগে কলকাতার মানুষের জন্য ইলিশ পাঠাতেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এবার পূজায় পশ্চিমবঙ্গে আর ইলিশ পাঠাবে না বাংলাদেশ। এতে করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে কলকাতায় বাড়বে ইলিশের দাম। এছাড়া বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশের স্বাদ থেকেও বঞ্চিত হবেন তারা।
তবে এবার ভারতে কোনো ইলিশ যাবে না বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এমন সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খুললেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি মনে করেন, দুর্গাপূজায় ভারতে ইলিশ পাঠানো বরং বড় মনের পরিচয় দেওয়া। যদিও ফারুকী তার এই মন্তব্যের শুরুতে ‘অপ্রিয় মত’ বলে অভিহিত করেন।
আজ মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে ফারুকী লেখেন, ‘আন পপুলার অপিনিয়ন কিন্তু কথাটা না বলে পারছি না। আমি চিরকাল আমাদেরকে উদার, উষ্ণ বলেই জানতাম। আমাদের নাখালপাড়ায় ছোটবেলার একটা রেগুলার দৃশ্য ছিলো কোনো বাসায় ভালো কিছু রান্না হলে পাশের বাসায় বাটিতে করে পাঠিয়ে দেওয়া। এটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জানালা টু জানালা হতো।
ফলে পূজায় কলকাতায় ইলিশ না দেওয়ার সিদ্ধান্তটা আমার কাছে ভালো লাগে নাই। আপনি মোদী সরকারের বহু নীতির তীব্র সমালোচনা করতে পারেন। আমিও করেছি। আমার বহু ভারতীয় বন্ধুও মোদীর তীব্র সমালোচক। কিন্তু ভারত মানে একশো কোটি মোদী নিশ্চয়ই না। যেমন পাকিস্তান মানেই সব ইয়াহিয়া খান না। ভারতের ভিতরেও যে কত ভারত আছে।’
শেষে ফারুকী লেখেন, ‘যাই হোক, পূজায় ইলিশ পাঠিয়ে বড় মনের পরিচয় দিলে খুশী হতাম।’ উল্লেখ্য, দুর্গাপূজার সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বাড়ে ইলিশের চাহিদা। ইলিশকে পূজার অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবেও বিবেচনা করেন অনেকে। এই দুর্গাপূজার আগে কলকাতার মানুষের জন্য ইলিশ পাঠাতেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এবার পূজায় পশ্চিমবঙ্গে আর ইলিশ পাঠাবে না বাংলাদেশ। এতে করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে কলকাতায় বাড়বে ইলিশের দাম। এছাড়া বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশের স্বাদ থেকেও বঞ্চিত হবেন তারা।