এবার খুলনার কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন নির্মাণকাজ শেষ না করে ঠিকাদারি কাজের বিল তুলে পালিয়েছেন পাইকগাছা-কয়রা এলাকার সাবেক এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু। এতে বন্ধ রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবনের নির্মাণকাজ। কবে নাগাদ শেষ হবে কাজ সেটা কেউ বলতে পারছে না। ফলে রোগী ও স্বজনদের দুর্ভোগ বাড়ছে।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পরপরই আত্মগোপনে চলে যান সাবেক এমপি বাবু। সম্প্রতি বাবুর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন—দুদক। অনেকে বলছেন, তিনি সিঙ্গাপুর অথবা মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন আক্তারুজ্জামান বাবু নামমাত্র কাজ করে ১ কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা বিল তুলে নেওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
এদিকে সূত্র জানিয়েছে, ১৯৬৪ সালে কয়রা উপজেলার জায়গীরমহল গ্রামে স্থাপিত হয় ৩১ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সেখানে ২০১১ সালে ১৯ শয্যার একটি ভবন নির্মাণ করা হয় এবং ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। পরে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট পুরনো ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ২০২২ সালে অপসারণ করা হয়। একই বছরের ১৬ আগস্ট ৩১ শয্যার তিনতলা ভবন নির্মাণে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। যার কাজের মেয়াদ ছিল ২০২৩ সালের ১২ জুন পর্যন্ত। ছয়তলা ফাউন্ডেশনের তিনতলা ভবন নির্মাণ কাজের ব্যয় ধরা হয় ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৭৬ হাজার ৫৮০ টাকা। কাজের মেয়াদ শেষ হলেও হয়েছে মাত্র ১১ শতাংশ কাজ। কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় গতি বাড়াতে বারবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয় খুলনা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। একপর্যায়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজের মেয়াদ বর্ধিত করা হয়। দুদফা মেয়াদ শেষে কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক না হওয়ায় কাজ বাতিলের সুপারিশ করেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী।
সূত্রে জানা গেছে, কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের কার্যাদেশ দেওয়া হয় ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট। ৩১ শয্যা বিশিষ্ট তিনতলা ভবনটি নির্মাণের কার্যাদেশ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জিয়াউল ট্রেডার্স ও মেসার্স শামীম আহসান ট্রেডার্স। এ কাজ বাস্তবায়নের মেয়াদ ছিল নয় মাস। কার্যাদেশ পাওয়ার পর দুবছর পার হলেও ১৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এই কাজের বিপরীতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ১ কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কাজ আদায় করতে পারছে না স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। এ অবস্থায় ১৯ মার্চ কাজ বাতিলের সুপারিশ করে পত্র দেন খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী।
পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, নির্মাণ কাজটি অত্যন্ত ধীরগতিতে চলমান ছিল এবং চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ১০টি পাইল ক্যাপ কাস্টিং করা হয়। তারপর থেকে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বাকি পাইল ক্যাপ দ্রুত কাস্টিং করার নির্দেশনা প্রদান করা হলেও কার্যত কোনো অগ্রগতি অর্জিত হয়নি। কার্যাদেশ ও অনুমোদিত সম্প্রসারিত সময়সীমা অনুযায়ী বর্ণিত কাজটি শতভাগ সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে কাজটির ভৌত অগ্রগতি মাত্র ১৮%। কাজটি বাতিলের সুপারিশের পরে মাত্র এক শতাংশ কাজ করে বন্ধ রেখেছেন ঠিকাদার।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জিয়াউল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী জিয়াউল হাসান বলেন, আমার লাইসেন্সে হলেও কাজটি নেন সাবেক এমপি বাবু। কাজের অগ্রগতির বিষয়ে তিনি ভালো জানেন। তিনি সাবেক এমপি বাবুর সঙ্গে কথা বলতে বলেন। এ বিষয়ে সাবেক এমপি আক্তারুজ্জামান বাবুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন বলে তার ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন।
এদিকে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, হাসপাতালের ৩১ শয্যার ভবনটি ভেঙে ফেলার পর থেকে চরম শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। নতুন ভবন নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। কক্ষের অভাবে চিকিৎসা সেবা চরম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার হাসান মহিউদ্দিন বলেন, কাজে ধীরগতির জন্য ইতোমধ্যে কার্যাদেশ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। কাজটি অন্য কেউ করলেও আমরা মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পরপরই আত্মগোপনে চলে যান সাবেক এমপি বাবু। সম্প্রতি বাবুর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন—দুদক। অনেকে বলছেন, তিনি সিঙ্গাপুর অথবা মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন আক্তারুজ্জামান বাবু নামমাত্র কাজ করে ১ কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা বিল তুলে নেওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
এদিকে সূত্র জানিয়েছে, ১৯৬৪ সালে কয়রা উপজেলার জায়গীরমহল গ্রামে স্থাপিত হয় ৩১ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সেখানে ২০১১ সালে ১৯ শয্যার একটি ভবন নির্মাণ করা হয় এবং ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। পরে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট পুরনো ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ২০২২ সালে অপসারণ করা হয়। একই বছরের ১৬ আগস্ট ৩১ শয্যার তিনতলা ভবন নির্মাণে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। যার কাজের মেয়াদ ছিল ২০২৩ সালের ১২ জুন পর্যন্ত। ছয়তলা ফাউন্ডেশনের তিনতলা ভবন নির্মাণ কাজের ব্যয় ধরা হয় ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৭৬ হাজার ৫৮০ টাকা। কাজের মেয়াদ শেষ হলেও হয়েছে মাত্র ১১ শতাংশ কাজ। কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় গতি বাড়াতে বারবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয় খুলনা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। একপর্যায়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজের মেয়াদ বর্ধিত করা হয়। দুদফা মেয়াদ শেষে কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক না হওয়ায় কাজ বাতিলের সুপারিশ করেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী।
সূত্রে জানা গেছে, কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের কার্যাদেশ দেওয়া হয় ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট। ৩১ শয্যা বিশিষ্ট তিনতলা ভবনটি নির্মাণের কার্যাদেশ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জিয়াউল ট্রেডার্স ও মেসার্স শামীম আহসান ট্রেডার্স। এ কাজ বাস্তবায়নের মেয়াদ ছিল নয় মাস। কার্যাদেশ পাওয়ার পর দুবছর পার হলেও ১৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এই কাজের বিপরীতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ১ কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কাজ আদায় করতে পারছে না স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। এ অবস্থায় ১৯ মার্চ কাজ বাতিলের সুপারিশ করে পত্র দেন খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী।
পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, নির্মাণ কাজটি অত্যন্ত ধীরগতিতে চলমান ছিল এবং চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ১০টি পাইল ক্যাপ কাস্টিং করা হয়। তারপর থেকে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বাকি পাইল ক্যাপ দ্রুত কাস্টিং করার নির্দেশনা প্রদান করা হলেও কার্যত কোনো অগ্রগতি অর্জিত হয়নি। কার্যাদেশ ও অনুমোদিত সম্প্রসারিত সময়সীমা অনুযায়ী বর্ণিত কাজটি শতভাগ সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে কাজটির ভৌত অগ্রগতি মাত্র ১৮%। কাজটি বাতিলের সুপারিশের পরে মাত্র এক শতাংশ কাজ করে বন্ধ রেখেছেন ঠিকাদার।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জিয়াউল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী জিয়াউল হাসান বলেন, আমার লাইসেন্সে হলেও কাজটি নেন সাবেক এমপি বাবু। কাজের অগ্রগতির বিষয়ে তিনি ভালো জানেন। তিনি সাবেক এমপি বাবুর সঙ্গে কথা বলতে বলেন। এ বিষয়ে সাবেক এমপি আক্তারুজ্জামান বাবুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন বলে তার ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন।
এদিকে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, হাসপাতালের ৩১ শয্যার ভবনটি ভেঙে ফেলার পর থেকে চরম শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। নতুন ভবন নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। কক্ষের অভাবে চিকিৎসা সেবা চরম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার হাসান মহিউদ্দিন বলেন, কাজে ধীরগতির জন্য ইতোমধ্যে কার্যাদেশ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। কাজটি অন্য কেউ করলেও আমরা মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি।