এবার বৈরী আবহাওয়ায় সমুদ্রে আটকে পড়া ১২ বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেছেন ভারতীয় মৎস্যজীবীরা। উত্তাল সমুদ্রে ট্রলার ভেঙে প্রায় ১৫ ঘণ্টার বেশি সময় ভেসে ছিলেন তারা। বাংলাদেশি ওই ট্রলারে মোট ১৩ জন থাকলেও একজন সমুদ্রে তলিয়ে গেছেন।
গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপকূলের দিকে ফেরার সময় ভারত বাংলাদেশ চলো সীমা কেআর দ্বীপের কাছে ভাসমান অবস্থায় দুই মৎস্যজীবীকে দেখতে পান ভারতীয় ফিশিং ট্রলার এমভি পারমিতা ৫। উদ্ধারের পর তারা জানান, কাছাকাছি ভেসে রয়েছেন আরো ১১ জন মৎস্যজীবী। পরে অন্ধকার সমুদ্রে কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর বাঁশ কাঠ নিয়ে কোনমতে ভেসে থাকা ১০ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেন ভারতীয় মৎজীবীরা।
এদিকে উদ্ধারকৃতদের খাবার ও প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মৎস্যজীবীদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে ভারতীয় মৎসজীবীরা সিদ্ধান্ত নেন সমুদ্র থেকেই তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হবে। যেহেতু উপকূলে পৌঁছালে ভারতীয় আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে তাই বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিতে ভারতের ট্রলার থেকে কোস্ট গার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
কোস্ট গার্ড জানায় চার ঘণ্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে আসবেন তারা। তবে ভারতীয় মৎস্যজীবীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত নয়টা থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত কোস্ট গার্ডের জন্য অপেক্ষা করলেও তারা আসেননি। এদিকে সমুদ্র আরো উত্তাল হতে থাকায় ১২ বাংলাদেশিকে নিয়েই উপকূলে ফিরে আসেন তারা।
এদিকে ভারতের সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, ১২ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করার পর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমার ফেরিঘাটে নিয়ে আসা হয়। তাদের সঙ্গে থাকা একজন মৎস্যজীবী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। উপকূলে নিয়ে আসার পর বাংলাদেশি এসব মৎস্যজীবীদের পাথরপ্রতিমা থানার হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, মৎস্যজীবীদের কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে তোলা হবে।