এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ইমাম হাসান তাইম হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশে চার ঘণ্টা আটকে রেখে আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় পুলিশ এসে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে নেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলে। শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় অবস্থান নিয়েছিলেন। নিহত ইমাম হাসান তাইম রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের এসআই মো. ময়নাল হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে।
এদিকে নিহত ইমাম হাসানের মা পারভীন আক্তার বলেন, ‘আমার পোলারে পুলিশে গুলি কইরা মারছে। কে কে মারছে তারে আমি চিনি। আমি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে গেছি কিন্তু কেউ আমার পোলা হত্যার বিচার করে না। আমার পোলার হাতে তো গুলি আছিল না তারপরেও কিল্লিগা আমার পোলারে পুলিশে এমনে মারল। আমিও তো পুলিশ পরিবারের লোক আর হেই পুলিশ আমার কলিজার পোলাডারে মারল।
নিহত ইমাম হাসানের ভাই রবিউল বলেন, ‘মামলা নেয়ার পর থেকে পুলিশ শুধু আমাদের থেকে সময় নিচ্ছেন। যার কাছে যাই সে ২৪ ঘণ্টা ৪৮ ঘণ্টা করে সময় নেয় কিন্তু কেউ বিচার করেন না। আজ ২৩ দিন পার হয়ে গেলেও তারা আমাদের ভাই হত্যার কাউকে ধরতে পারল না। তাই আজ আমার ভাইয়ের সহপাঠীরা সড়কে নামছে বিচারের দাবিতে। তার ভাই হত্যার বিচারের দাবিতে। আমরা চাই আমাদের ভাইয়ের খুনির দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওয়াতায় আনার।’
এদিকে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) আবু নাইম বলেন, ‘বেলা ১১টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক এলাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা ইমাম হত্যা মামলার দ্রুত বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। এতে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে ফিরিয়ে এনেছি।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন জানিয়েছেন, ‘আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে যার যার বাড়িতে ফেরানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গেল ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী নগর এমডব্লিউ কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমাম হাসান তাইম (১৯)। এ ঘটনায় ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। গত ২০ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহাম্মদের আদালতে ওই শিক্ষার্থীর মা পারভীন আক্তার এ মামলা করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলে। শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় অবস্থান নিয়েছিলেন। নিহত ইমাম হাসান তাইম রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের এসআই মো. ময়নাল হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে।
এদিকে নিহত ইমাম হাসানের মা পারভীন আক্তার বলেন, ‘আমার পোলারে পুলিশে গুলি কইরা মারছে। কে কে মারছে তারে আমি চিনি। আমি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে গেছি কিন্তু কেউ আমার পোলা হত্যার বিচার করে না। আমার পোলার হাতে তো গুলি আছিল না তারপরেও কিল্লিগা আমার পোলারে পুলিশে এমনে মারল। আমিও তো পুলিশ পরিবারের লোক আর হেই পুলিশ আমার কলিজার পোলাডারে মারল।
নিহত ইমাম হাসানের ভাই রবিউল বলেন, ‘মামলা নেয়ার পর থেকে পুলিশ শুধু আমাদের থেকে সময় নিচ্ছেন। যার কাছে যাই সে ২৪ ঘণ্টা ৪৮ ঘণ্টা করে সময় নেয় কিন্তু কেউ বিচার করেন না। আজ ২৩ দিন পার হয়ে গেলেও তারা আমাদের ভাই হত্যার কাউকে ধরতে পারল না। তাই আজ আমার ভাইয়ের সহপাঠীরা সড়কে নামছে বিচারের দাবিতে। তার ভাই হত্যার বিচারের দাবিতে। আমরা চাই আমাদের ভাইয়ের খুনির দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওয়াতায় আনার।’
এদিকে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) আবু নাইম বলেন, ‘বেলা ১১টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক এলাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা ইমাম হত্যা মামলার দ্রুত বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। এতে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে ফিরিয়ে এনেছি।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন জানিয়েছেন, ‘আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে যার যার বাড়িতে ফেরানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গেল ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী নগর এমডব্লিউ কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমাম হাসান তাইম (১৯)। এ ঘটনায় ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। গত ২০ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহাম্মদের আদালতে ওই শিক্ষার্থীর মা পারভীন আক্তার এ মামলা করেন।