অবশেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে শিক্ষা সনদ ছিঁড়ে ফেলা সেই বাদশা মিয়াকে চাকরি দিলো এসকেএম লিমিটেড। এসকেএম লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুফতি সাইফুল ইসলাম মুঠোফোনে যোগাযোগ করে বাদশা মিয়াকে চাকরির প্রস্তাব দিলে তিনি কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। গত ৬ জুন ওই প্রতিষ্ঠানে এসে দেখা করে চাকরির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে কোম্পানির চেয়ারম্যান মুফতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরে আমরা জানতে পারি, বাদশা মিয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন আবেদন করেও চাকরি পাননি। এক পর্যায়ে চরম হতাশ হয়ে ফেসবুক লাইভে গিয়ে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার সমস্ত সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলেন। এরপরই আমরা বাদশা মিয়াকে চাকরির প্রস্তাব দিই। দুয়েক দিনের মধ্যেই তিনি ঢাকার কামরাঙ্গির চরে আমাদের কোম্পানির মূল ব্র্যাঞ্চে জয়েন করবেন।’
এ কোম্পানির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বাদশা মিয়া বলেন, ‘এসকেএম লিমিটেড কোম্পানিতে আমি আমার যোগ্যতা এবং উদ্যমতার পুরোটাই দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাদের প্রতি আমি অনেক কৃতজ্ঞ। কারণ তারা আমাকে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ দিয়েছেন। তাদের প্রতি আমি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো। তারা আমার দুর্দিনে পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমাকে চাকরি দিয়েছেন।’
এদিকে বাদশা মিয়া বলেন, ‘পরিবারে অর্থকষ্ট থাকা সত্ত্বেও নানা উপায়ে টাকা-পয়সার ব্যবস্থা করে পড়াশোনা করেছি। যখন আমার চাকরি হয়নি এবং চাকরির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বয়সও আমার শেষ হয়ে গেল; তখন খুব হতাশ হয়ে পড়ি। দীর্ঘদিন পড়াশোনা করে সার্টিফিকেট অর্জন আমার কাছে অনর্থক মনে হতে থাকে। সেই হাতাশা থেকেই মূলত ফেসবুক লাইভে গিয়ে সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলি এবং গ্রামেই কৃষিকাজ শুরু করি।’
জানা যায়, এসকেএম লিমিটেড কোম্পানি মূলত চামড়ার জুতা, পাঞ্জাবি তৈরি এবং বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান। দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় তাদের শোরুম আছে। পাশাপাশি তারা স্কিল ডেভেলপমেন্টের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরিতে কাজ করেন। এরই মধ্যে তারা শতাধিক আলেমের মাঝে ফ্রি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।
এদিকে ২০১৪ সালে নীলফামারী সরকারি কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক পাস করেন বাদশা মিয়া। তবে অর্থাভাবে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করতে পারেননি। এর আগে ২০০৭ সালে বিজ্ঞান বিভাগে দাখিল, ২০০৯ সালে বিজ্ঞান বিভাগে আলিম পাস করেন। প্রায় ২০টি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়েও চাকরি পাননি নীলফামারীর ডিমলার এই তরুণ।
এ বিষয়ে কোম্পানির চেয়ারম্যান মুফতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরে আমরা জানতে পারি, বাদশা মিয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন আবেদন করেও চাকরি পাননি। এক পর্যায়ে চরম হতাশ হয়ে ফেসবুক লাইভে গিয়ে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার সমস্ত সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলেন। এরপরই আমরা বাদশা মিয়াকে চাকরির প্রস্তাব দিই। দুয়েক দিনের মধ্যেই তিনি ঢাকার কামরাঙ্গির চরে আমাদের কোম্পানির মূল ব্র্যাঞ্চে জয়েন করবেন।’
এ কোম্পানির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বাদশা মিয়া বলেন, ‘এসকেএম লিমিটেড কোম্পানিতে আমি আমার যোগ্যতা এবং উদ্যমতার পুরোটাই দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাদের প্রতি আমি অনেক কৃতজ্ঞ। কারণ তারা আমাকে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ দিয়েছেন। তাদের প্রতি আমি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো। তারা আমার দুর্দিনে পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমাকে চাকরি দিয়েছেন।’
এদিকে বাদশা মিয়া বলেন, ‘পরিবারে অর্থকষ্ট থাকা সত্ত্বেও নানা উপায়ে টাকা-পয়সার ব্যবস্থা করে পড়াশোনা করেছি। যখন আমার চাকরি হয়নি এবং চাকরির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বয়সও আমার শেষ হয়ে গেল; তখন খুব হতাশ হয়ে পড়ি। দীর্ঘদিন পড়াশোনা করে সার্টিফিকেট অর্জন আমার কাছে অনর্থক মনে হতে থাকে। সেই হাতাশা থেকেই মূলত ফেসবুক লাইভে গিয়ে সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলি এবং গ্রামেই কৃষিকাজ শুরু করি।’
জানা যায়, এসকেএম লিমিটেড কোম্পানি মূলত চামড়ার জুতা, পাঞ্জাবি তৈরি এবং বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান। দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় তাদের শোরুম আছে। পাশাপাশি তারা স্কিল ডেভেলপমেন্টের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরিতে কাজ করেন। এরই মধ্যে তারা শতাধিক আলেমের মাঝে ফ্রি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।
এদিকে ২০১৪ সালে নীলফামারী সরকারি কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক পাস করেন বাদশা মিয়া। তবে অর্থাভাবে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করতে পারেননি। এর আগে ২০০৭ সালে বিজ্ঞান বিভাগে দাখিল, ২০০৯ সালে বিজ্ঞান বিভাগে আলিম পাস করেন। প্রায় ২০টি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়েও চাকরি পাননি নীলফামারীর ডিমলার এই তরুণ।