এবার পাকিস্তানের সমুদ্রসীমায় একটি বিশাল পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত আবিষ্কৃত হয়েছে। এই মজুত এত বড় যে এর সঠিক ব্যবহারে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির ভবিষ্যৎ বদলে যেতে পারে। গতকাল শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানি ডন নিউজ টিভিকে একজন উচ্চপদস্থ নিরাপত্তা কর্মকর্তা বিষয়টি জানিয়েছেন।
এ বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওই কর্মকর্তা জানান, পেট্রোলিয়াম ও গ্যাসের এই মজুত নিশ্চিত করার জন্য একটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের সহযোগিতায় তিন বছরের একটি জরিপ পরিচালনা করা হয়। ভৌগোলিক এই জরিপের মাধ্যমে তেল ও গ্যাসের এই মজুতের অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে পাকিস্তান। এরই মধ্যে সরকারকে পাকিস্তানি জলসীমায় পাওয়া এই সম্পদের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
এই প্রচেষ্টাকে সুনীল অর্থনীতি থেকে সুবিধা অর্জনের উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি জানান, দরপত্র ও অনুসন্ধানের প্রস্তাবগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। শিগগিরই অনুসন্ধান কাজ শুরু হতে পারে। তবে তিনি এ-ও বলেন, কূপ খনন ও তেল উত্তোলনের কাজ করতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে।
এদিকে সুনীল অর্থনীতি থেকে শুধু তেল ও গ্যাস নয়, আরও বেশি ফল পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা করছেন পাকিস্তানি কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, সমুদ্র থেকে আরও অনেক মূল্যবান খনিজ ও উপাদান আহরণ করা যেতে পারে। ওই কর্মকর্তা বলেন, দ্রুত উদ্যোগ নিলে এবং সঠিকভাবে কাজ করলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে পারে।
কিছু অনুমান অনুসারে, এই আবিষ্কার বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম তেল ও গ্যাস মজুত হতে পারে। বর্তমানে তেল মজুতে শীর্ষে রয়েছে ভেনেজুয়েলা। দেশটির প্রায় ৩.৪ বিলিয়ন ব্যারেল তেল মজুত রয়েছে। সর্বাধিক অপরিশোধিত শেল তেলের মজুদ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সৌদি আরব, ইরান, কানাডা ও ইরাক শীর্ষ পাঁচের বাকি অংশ পূরণ করে।
ডন নিউজ টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে, ওগরা-এর সাবেক সদস্য মুহাম্মদ আরিফ বলেন, আশাবাদী থাকা উচিত। তবে মজুত নিয়ে যেমনটি আশা করা হয়েছে, তেমনটি আবিষ্কৃত হবে এমন শত ভাগ নিশ্চয়তা নেই। এই মজুত দেশটির জ্বালানি চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি উৎপাদনের আকার ও উত্তোলনের হারের ওপর নির্ভর করে। যদি এটি একটি গ্যাসের মজুদ হয়, তবে এটি এলএনজি আমদানির জায়গা নিতে পারবে। আর যদি এটি তেলের মজুত হয়, তাহলে আমরা আমদানিকৃত তেলের বিকল্প পেতে পারি।
তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, এটি তখনই বাস্তবায়িত হবে যখন মজুতের সম্ভাবনাগুলো বিশ্লেষণ করা হবে এবং ড্রিলিং প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই অনুসন্ধান কাজের জন্য প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের প্রয়োজন হবে এবং চার থেকে পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে।
এ বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওই কর্মকর্তা জানান, পেট্রোলিয়াম ও গ্যাসের এই মজুত নিশ্চিত করার জন্য একটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের সহযোগিতায় তিন বছরের একটি জরিপ পরিচালনা করা হয়। ভৌগোলিক এই জরিপের মাধ্যমে তেল ও গ্যাসের এই মজুতের অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে পাকিস্তান। এরই মধ্যে সরকারকে পাকিস্তানি জলসীমায় পাওয়া এই সম্পদের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
এই প্রচেষ্টাকে সুনীল অর্থনীতি থেকে সুবিধা অর্জনের উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি জানান, দরপত্র ও অনুসন্ধানের প্রস্তাবগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। শিগগিরই অনুসন্ধান কাজ শুরু হতে পারে। তবে তিনি এ-ও বলেন, কূপ খনন ও তেল উত্তোলনের কাজ করতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে।
এদিকে সুনীল অর্থনীতি থেকে শুধু তেল ও গ্যাস নয়, আরও বেশি ফল পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা করছেন পাকিস্তানি কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, সমুদ্র থেকে আরও অনেক মূল্যবান খনিজ ও উপাদান আহরণ করা যেতে পারে। ওই কর্মকর্তা বলেন, দ্রুত উদ্যোগ নিলে এবং সঠিকভাবে কাজ করলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে পারে।
কিছু অনুমান অনুসারে, এই আবিষ্কার বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম তেল ও গ্যাস মজুত হতে পারে। বর্তমানে তেল মজুতে শীর্ষে রয়েছে ভেনেজুয়েলা। দেশটির প্রায় ৩.৪ বিলিয়ন ব্যারেল তেল মজুত রয়েছে। সর্বাধিক অপরিশোধিত শেল তেলের মজুদ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সৌদি আরব, ইরান, কানাডা ও ইরাক শীর্ষ পাঁচের বাকি অংশ পূরণ করে।
ডন নিউজ টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে, ওগরা-এর সাবেক সদস্য মুহাম্মদ আরিফ বলেন, আশাবাদী থাকা উচিত। তবে মজুত নিয়ে যেমনটি আশা করা হয়েছে, তেমনটি আবিষ্কৃত হবে এমন শত ভাগ নিশ্চয়তা নেই। এই মজুত দেশটির জ্বালানি চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি উৎপাদনের আকার ও উত্তোলনের হারের ওপর নির্ভর করে। যদি এটি একটি গ্যাসের মজুদ হয়, তবে এটি এলএনজি আমদানির জায়গা নিতে পারবে। আর যদি এটি তেলের মজুত হয়, তাহলে আমরা আমদানিকৃত তেলের বিকল্প পেতে পারি।
তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, এটি তখনই বাস্তবায়িত হবে যখন মজুতের সম্ভাবনাগুলো বিশ্লেষণ করা হবে এবং ড্রিলিং প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই অনুসন্ধান কাজের জন্য প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের প্রয়োজন হবে এবং চার থেকে পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে।